বিকালে দুই বন্ধুর ঘোরাফেরা সাথে হাল্কা খাওয়া দাওয়া।
গত কয়েকদিন যাবত ফেরদৌসের সাথে দেখা হয়নি। যদিও প্রায়ই ফেরদৌসের সাথে ফোনে কথা হচ্ছিলো। ফেরদৌসের বাড়ির লোকজন অসুস্থ ছিল সেই কারণেই ফেরদৌস বাড়ি থেকে বের হতে পারেনি। তাছাড়া গত কয়েকদিন আমাদের শহরের আবহাওয়াটা ছিল খারাপ। বাইরে ঘুরতে না যাওয়ার সেটাও একটা কারণ। যাই হোক কয়েকদিন পর আজ ফেরদৌসের সাথে কথা হলে সে আমাকে জিজ্ঞেস করল বিকেলে ঘুরতে বের হব কিনা? আমি সাথে সাথেই রাজি হয়ে গেলাম। তারপর ঠিক হলো আমরা পৌনে পাঁচটার দিকে এক জায়গায় মিলিত হবো। তারপর সেখান থেকে কোথাও ঘুরতে যাবো।
সঠিক সময় মত আমি টেপাখোলা ইউসুফ ভাইয়ের দোকানে পৌঁছালাম। সেখানে গিয়ে দেখি ফেরদৌস ক্যারাম খেলছে। আমি কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ওর কেরাম খেলা দেখলাম। ফেরদৌসের কেরাম খেলার হাত বেশ ভালো। যদিও আমি সব সময় ফাজলামি করে বলি তুমি ভালোমতো খেলতে পারো না তাহলে খেলতে যাও কেনো? যাইহোক আমি সেখানে পৌঁছে কিছুক্ষণ ওর খেলা দেখলাম। এর ভিতরে আযান দিয়ে দিলো। তখন ফেরদৌস আমাকে বলল তুমি নামাজ পড়ে আসো তারপর ঘুরতে বের হবো। কারণ হচ্ছে তখনও ফেরদৌসের গেমটা শেষ হয়নি। তারপর আমি নামাজ পড়তে চলে গেলাম। নামাজ পড়ে এসে দেখি তখনো ফেরদৌস খেলছে। তখন আমি ফেরদৌসকে বললাম আর খেলতে হবে না এখন চলো।
তারপর ফেরদৌস খেলা শেষ করে হাত ধুয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে এলো। তারপর আমরা দুই বন্ধু মোটরসাইকেলে করে রওনা দিলাম। যদিও তখনও আমরা ঠিক করিনি কোথায় যাবো। যাচ্ছিলাম বন্ধু রাফসানের এলাকার দিকে। তবে রাফসানের এলাকার কাছাকাছি পৌঁছে ঠিক করলাম হাজীগঞ্জ ঘুরতে যাবো। কারণ অনেকদিন সেখানে যাওয়া হয় না। হাজীগঞ্জ আমাদের একটি প্রিয় জায়গা। সেখানে গেলে নদীর সৌন্দর্য যেমন উপভোগ করা হয় তেমনি হালকা কিছু খাওয়া-দাওয়াও করা হয়। যাই হোক আমরা রাফসানের এলাকায় না থেমে সরাসরি হাজীগঞ্জে চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখি নদীর পানি অনেকটা বেড়েছে প্রায় পাড় ছুঁই ছুঁই অবস্থা। আমরা দুই বন্ধু নদীর পাড়ে দাড়িয়ে কিছুক্ষণ নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করলাম। সেখানে কিছুক্ষণ কাটানোর পর ফেরদৌস বলল চলো বাজারের ভিতর থেকে ঘুরে আসি। আমার এমনিতেই গ্রামের বাজার গুলিতে ঘুরতে বেশ ভালো লাগে। তাই ফেরদৌসের এই প্রস্তাবে আর না করলাম না। তারপর দুই বন্ধু চলে গেলাম হাজিগঞ্জ বাজারের ভেতরে।
সেখানে গিয়ে কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা শেষে ফেরদৌস বলল চলো হালকা কিছু খাওয়া দাওয়া করি। হাজিগঞ্জ বাজারের ভেতরে দুটো ভাজা পোড়ার দোকান আছে। যাদের কাছে বিভিন্ন রকমের ভাজাপোড়া জিনিসপত্র পাওয়া যায়। যেগুলো খেতে বেশ ভালো। আমরা হাঁটতে হাঁটতে সেই দোকানে চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখি ডিমের চপ, আলুর চপ, সিঙ্গারা, পিয়াজু ছোলাভুনা ইত্যাদি রয়েছে। তবে আমার কাছে সেখানকার ডিমের চপটা দেখে সবচাইতে বেশি ভালো লাগলো। যার ফলে আমি একটা ডিমের চপ নিয়ে মুখে দিলাম। চপে কামড় দিয়েই বুঝতে পারলাম সাদটা আসলেই বেশ ভালো। এরপরে নিয়ছিলাম ছোলা ভুনা সাথে পেঁয়াজু। ফেরদৌসও আমার মতো এগুলোই খেলো। খাওয়া-দাওয়া শেষ হলে বিল মিটিয়ে সেখান থেকে আমরা ফিরতি পথ ধরলাম।
আমাদের পরবর্তী গন্তব্য ছিল বন্ধু রাফসানের শোরুম। এর ভিতরে হঠাৎ করে আমার বাসা থেকে একটা ফোন এলো। আমার স্ত্রী জানালো শহরে নাকি রীতিমতো ঝড় উঠে এসেছে। আমাদের এখানে কি অবস্থা সেটা জানার জন্যই মূলত ফোন দিয়েছিলো। আমি বললাম আমাদের এখানে তো আকাশ পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি। তবে আমি এটাও বুঝতে পারলাম হয়তো কিছুক্ষণের ভেতরেই আমাদের এদিকেও অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে। তাই কথা বলা শেষে আমি ফেরদৌসকে বললাম তাড়াতাড়ি রাফসানের শোরুমের দিকে চলো। কারণ রাস্তার ভিতরে বৃষ্টিতে আটকা পড়লে ব্যাপারটা খুব খারাপ হবে। কয়েকদিন আগে জ্বর ঠান্ডা কাশি থেকে ভালো হয়েছি। এখন আর বৃষ্টিতে ভিজতে চাই না। কারণ বৃষ্টিতে ভিজলে আবার জ্বর হতে পারে। আমার কথা শোনার পরেই ফেরদৌস রাফসানের দোকানের উদ্দেশ্যে দ্রুত মোটরসাইকেল চালাতে শুরু করলো।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | হাজীগঞ্জ বাজার |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
নদী ও প্রাকৃতিক ফটোগ্রাফি গুলো সত্যিই দারুন ছিল। আর এখন তো বর্ষাকাল আবার বৃষ্টি হচ্ছে প্রতিদিন তাই নদীর পানি বাড়ছে। আর একটি বিষয় হলো শহর থেকে গ্রামের পেঁয়াজু ,চপ, সিংগারা গুলো বেশি মজা হয়ে থাকে। আমি গ্রামে গেলেও এগুলো মিস করি না। ধন্যবাদ ভাইয়া।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ফেরদৌস ভাইয়ার বাসার বেশকিছু সদস্য অসুস্থ তাই আপনাদের দেখা বা কোথাও ঘুরতে যাওয়া হচ্ছিলো না।এরপর দুজন কথা বলে কোথাও ঘুরতে যাবেন ঠিক করলেন।যথা সময়ে যথা স্থানে পৌঁছে দেখলেন ফেরদৌস ভাইয়া ক্যারাম খেলছে।এরপর আপনি নামাজ পরে রওনা দিলেন রাফসান ভাইয়ার এলাকায়। কিন্তু কাছাকাছি গিয়েই হাজীগঞ্জ যাবেন বলে ঠিক করে রওনা দিলেন।সেখানে গিয়ে দেখেন নদীর পানি অনেক বেড়ে গেছে।সেখানে দাঁড়িয়ে নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করলেন।এরপর হাজীগঞ্জ বাজারে গিয়ে ডিম চপ, পেঁয়াজু ও ছোলা ভুনা দুজনই খেয়েছেন।এরপর বৃষ্টি আসার আগেই রওনা দিয়ে দিলেন।আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে ভীষন ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
চারদিকে এখণ জ্বর জারী ভরা। শুনেই যেন খারাপ লাগছে যে ফেরদৌস ভাইয়ার বাসার অনেকেই অসুস্থ্য। তবে আপনার একটি জিনিস কিন্তু আমায় মুগ্ধ করে। আর সেটা হলো আপনি যেখানেই ঘুরতে যান না কেন নামায টা ঠিক রাখেন। যাক তিন বন্ধু নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়ে কিন্তু বেশ ভালো কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন। আর এ মৌসুমে তো নদীর পানি বাড়তিই থাকে। আর মাঝে মাঝে এমন কিছু পোস্ট করেন না যে শুধু লোভ লাগে। এই যে কত কিছুই তো খেলেন। পেঁয়াজু, চপ আরও কি কি। ভালো থাকেন আর ভালো সময় কাটান এ দোয়াই রইল ভাইয়া।
নদী তো দেখছি একেবারে কানায় কানায় পরিপূর্ণ। নদীতে পানি বেশি থাকলে দেখতে খুব সুন্দর লাগে। যাইহোক আপনারা দুইজন চমৎকার একটি জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন বাইকে করে। নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকতে ভীষণ ভালো লাগে। ফুরফুরে বাতাস শরীরটাকে একেবারে শীতল করে দেয়। বিকেল বেলা মাঝেমধ্যে ভাজাপোড়া খেতে দারুণ লাগে। ঘুরাঘুরি এবং খাওয়া দাওয়া করে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন ভাই। পোস্টটি পড়ে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।