শাহবাগ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা।
আজকে শাহবাগে ঘোরাফেরার অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো। যাইহোক যেহেতু আগে থেকেই চিন্তা ভাবনা করে রেখেছিলাম ঘুরতে বের হবো তাই সকাল সাড়ে দশটা থেকে এগারোটার ভেতরে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়লাম। প্রথমে কিছুটা রিকশা করে তারপর বাসে করে শাহবাগ পৌছালাম। গতকাল বাসে তেমন একটা ভিড় ছিলো না। হয়তো রমজান মাসের কারণে মানুষজন বাড়ি থেকে কিছুটা কম বের হচ্ছে। রামপুরা থেকে শাহবাগ পর্যন্ত পৌঁছাতে আমার প্রায় ৪০ মিনিট মতো সময় লেগেছিলো। যদিও অন্যান্য সময় এর থেকে অনেক বেশি সময় লাগতো। যাইহোক শাহবাগ পৌঁছে আমি সরাসরি চলে গেলাম আজিজ সুপার মার্কেটে। এই জায়গাটা আমার বেশ পছন্দের। আমি ঢাকায় এলে সময় সুযোগ পেলেই আজিজ মার্কেটে যাই। সেখানকার টি শার্টের কালেকশন আমার কাছে বেশ ভালো লাগে।
আমি যতবারই আজিজ মার্কেট গিয়েছি ততবারই দু-একটা টি শার্ট সেখান থেকে কিনেছি। গতকাল প্রথমে আমি গিয়ে বিভিন্ন দোকানপাট ঘুরে ফিরে দেখতে লাগলাম। আমার উদ্দেশ্য ছিল টি-শার্ট দেখার। তবে খেয়াল করে দেখলাম যেহেতু রমজান মাস শুরু হয়েছে তাই প্রত্যেকটা দোকানে পাঞ্জাবি ডিসপ্লেতে রাখা হয়েছে বেশি। দোকানের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছিলো তাদের এখন টি-শার্ট ব্যবসায়ে খুব একটা মনোযোগ নেই। মূলত তারা ঈদের বাজার ধরার জন্যই পাঞ্জাবি বিক্রিতে বেশি জোর দিয়েছে। অবশ্য আজিজ সুপার মার্কেটের কাপড়-চোপড়ের কালেকশন আমার কাছে বরাবরি ভালো লাগে। তাদের পাঞ্জাবিগুলোও বেশ ভালোই ছিলো। কিন্তু যেহেতু আমি পাঞ্জাবি কিনবো না তাই আমার আর সেগুলো খুব একটা বেশি দেখা হয়নি। তারপরও আমি ঘুরে ফিরে বেশ কয়েকটা দোকানপাট দেখতে লাগলাম। খেয়াল করে বুঝতে পারলাম টি-শার্ট ব্যবসায় এখন তাদের গরজ কম। তাছাড়া টি-শার্টের কালেকশনও দেখতে পেলাম কম।
ঢাকা শহর যে দু একটা কারণে আমার কাছে ভালো লাগে তার ভিতর একটা হচ্ছে খাওয়া দাওয়া করা। তবে রোজার দিন হওয়ায় কিছু খেতে পারছিলাম না। মনে হচ্ছিল এখানে যদি রোজার সময় না এসে অন্য সময় আসতাম তাহলে এখান থেকে হালকা কিছু খাওয়া দাওয়া করা যেতো। বিশেষ করে আজিজ মার্কেটের নিচ তলায় কিছু জুসের দোকান আছে। যাদের জুসগুলো অত্যন্ত সুস্বাদু। যাইহোক বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করো যখন কোন টি শার্ট পছন্দ করতে পারলাম না তখন শাহবাগের ঘোরাফেরা পর্ব শেষ করে রওনা দিলাম বায়তুল মোকাররমের দিকে। এভাবেই এবারে শাহবাগ ভ্রমণ পর্ব শেষ হোলো।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া আপনি শাহবাগ এলেই আজিজ মার্কেটে যান।যদিও আমি আশাপাশে থেকেও কখনও যাইনি।আপনি টিশার্ট কিনবেন বলে ঠিক করেছিলেন।কিন্তু টিশার্ট পেলেন না।আসলে ১০ /১৫ রোজার আগে কোন মার্কেটেই আপনি নতুন ও ভালো কিছু পাবেন না।তাদের পাঞ্জাবীর কালেকশন ও ভালো বললেন।আপনি খুব খেতে পছন্দ করেন আমি পোস্ট পড়ে জেনেছি।এখন রোজার সময় না হলে এই মার্কেটের নীচ তলার জুুসের দোকান থেকে জুস কিনে খেতেন।কারন ওনাদের জুস খুব সুস্বাদু যা আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
শাহবাগের দিকে প্রায়ই যাওয়া হয়,তবে আজিজ সুপার মার্কেটে তেমন একটা যাওয়া হয় না। হয়তো এই পর্যন্ত হাতেগোনা ২/৩ বার এই মার্কেটে ঢুকেছি। আমি সাধারণত এলিফ্যান্ট রোড এবং নিউ মার্কেট থেকে শপিং করি বেশি। তাছাড়া মাঝেমধ্যে নয়া পল্টনের পলওয়েল মার্কেট থেকে জিন্সের প্যান্ট এবং জুতা কেনা হয়। যাইহোক রমজান মাসে ঘুরাঘুরি করতে এমনিতেও তেমন ভালো লাগে না। আজিজ সুপার মার্কেটে টি-শার্ট পছন্দ হয়নি বিধায়, বায়তুল মোকাররম এলাকার দিকে গিয়েছেন। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আজিজ মার্কেটের জুসের দোকানে আমিও জুস খেয়েছি।আসলে রমজান মাস হোক আর অন্য কোন দিন হোক ঢাকায় ঘুরতে তেমন মজা পাইনা অতিরিক্ত জ্যামের কারণে। আর একটা সময় শাহবাগে অনেক প্রোগ্রাম করেছি।আপনার শাহবাগ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা পরিবেশ ভালো লাগলো।