ট্রেনে করে ঢাকা থেকে ফরিদপুর ফেরার অভিজ্ঞতা (প্রথম পর্ব)।
যাইহোক দুটো পেয়ে সেই দুটো টিকিট কেটেছিলাম। তখন অবশ্য জানতাম না আমরা কেমন ধরনের সিট পাবো। কারণ ট্রেনের সিটের নাম গুলি দেখে সিট গুলো কেমন সেটা বুঝতে পারছিলাম না। অবশ্য যারা রেগুলার ট্রেনে যাতায়াত করে না তারা ছাড়া অন্য কারো বুঝতে পারারও কথা নয়। যাই হোক ফেরার দিন আমরা বেলা তিনটার আগেই স্টেশনে এসে পৌঁছেছিলাম। আমাদের ট্রেনের ছাড়ার সময় ছিল দুপুর তিনটা। আমি মনে মনে চিন্তা করেছিলাম হয়তো ট্রেন কিছুটা লেট হতে পারে। তবে প্ল্যাটফর্মে গিয়ে দেখলাম ট্রেন যথাস্থানে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তখন সেখানে গিয়ে আমরা আমাদের সিট খুঁজতে লাগলাম। টিকিটে অবশ্য বগির নাম এবং সিটের নাম্বার দেয়া ছিলো। শেষ পর্যন্ত খুঁজে খুঁজে আমরা নির্ধারিত বগিতে উঠে আমাদের টিকিটের নাম্বারের সাথে মিল পেয়ে সিটে বসে পড়লাম।
তবে কিছুক্ষণ পর মনে এক ধরনের সন্দেহ তৈরি হোলো। কারণ আমাদের সামনের সিটেই এক ভদ্রলোক বসেছিলেন। এক যাত্রী এসে তার টিকেট দেখে তাকে জানালো তার সিট অন্য জায়গায়। আমরা যে টিকিট কেটেছিলাম সেটার নাম ছিল ফার্স্ট ক্লাস সিট। কিন্তু আমরা ভুলবশত গিয়ে বসে ছিলাম শোভন চেয়ারে। আমাদের সামনের সেই লোকটি উঠে যাওয়ার পর আমাদের সিটের ওখানে এক লোক এসে জানালো তার সিট এখানে। এক লাইনে তিনটি সিট ছিলো তার সিটের নাম্বার ছিলো নয়। আর আমাদের সিট দুটোর নাম্বার ছিল ৭-৮। তবে লোকটির কথাতে আমার মনে কিছুটা সন্দেহ তৈরি হওয়াতে আমি ট্রেনে দায়িত্বরত এক লোককে আমার টিকেট দেখিয়ে জানতে চাইলাম আমার আসন আসলে কোথায়? তখন সে জানালো আপনি ভুল জায়গায় বসেছেন। আপনার আসন কেবিনে।
তখন আমি আবার পরিবারের সবাইকে নিয়ে সাথে লাগেজ গুলো নিয়ে ক্যাবিনে গিয়ে বসলাম। তবে আমরা কেবিনে ঢোকার পরে মনে হচ্ছিল ক্যাবিন থেকে শোভন চেয়ার ভালো ছিলো। কারণ সেই জায়গাটা খোলামেলা ছিলো। আর এখানে ছোট্ট একটা কেবিন তার ভেতরে আলো বাতাস কম। যাই হোক যেহেতু না বুঝে সেখানকার সিট কেটেছি তাই আপাতত আর কিছু করার ছিলো না। আমরা আমাদের সিটে বসে চিন্তা করছিলাম কখন ট্রেন ছাড়বে? তবে তিনটা বাজার পাঁচ মিনিট পরে অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ের ৫ মিনিট পরে ট্রেন ছেড়ে দিলো। বিষয়টা আমার কাছে বেশ ভালই লাগলো। তবে আমি খেয়াল করে দেখলাম শোভন চেয়ারে বেশ কিছু সিট খালি রয়েছে। কিন্তু আমি যখন টিকিট কাটতে গিয়েছিলাম তখন সব টিকিট বুকিং হয়ে গিয়েছে দেখাচ্ছিলো। বিষয়টা আমি বুঝতে পারলাম না। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ঢাকা |
![logo.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZEaz6VZmitMY1N8dSXHuT2tfgXFnDKjY8iV7jNGuNwEE/logo.png)
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
![standard_Discord_Zip.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/standard_Discord_Zip.gif)
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
হ্যাঁ ভাই ট্রেন জার্নি করে ঢাকা যাওয়ার সময় আপনাদের বাজে অভিজ্ঞতা হয়েছিল। যাইহোক ভালো মানের সিট পেয়ে অনলাইনে দুটি টিকেট কেটে নিলেন। তবে কেবিনে বসে যেতে ততোটা ভালো লাগার কথা নয়। কারণ কেবিনের স্পেসটা ছোট। তার চেয়ে শোভন চেয়ার অনেকটা ভালো, কারণ একেবারে খোলামেলা পরিবেশ। তবে অনলাইনে টিকেট কাটার সময় সিট সম্পর্কে বুঝা যায় না তেমন। যারা নিয়মিত যাতায়াত করে ট্রেনে তারা বুঝতে পারে। কিছুদিন আগে আমি অনলাইন থেকে ঢাকা টু কক্সবাজারের টিকেট কিনতে গিয়েও এমন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলাম। পরবর্তী টিকেট কেনা হয়নি আমার। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।
ট্রেনে করে ঢাকা থেকে ফরিদপুর গেলেন বিষয়টা খুবই ভালো লাগার। আসলে ট্রেনে করে যাওয়ার অভিজ্ঞতা একদম নেই বললে চলে ভাইয়া। যেহেতু এখন কক্সবাজারে ট্রেন চালু হল আশা করি কক্সবাজার থেকে ঢাকাতে যাব কোন একদিন। তবে আপনার অবস্থা শুনে বুঝতে পারলাম কেবিনের চেয়ে খোলামেলা পরিবেশে বেশ ভালই লাগবে ট্রেনে। অনেক ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি পড়ে।
ট্রেনে করে ফরিদপুর থেকে ঢাকা যাওয়ার অনুভূতি খুব একটা ভালো ছিল না।তাই ট্রেনের জার্নিটা মেয়ের পছন্দ হয়নি হয়তো।তবে ঢাকা থেকে ফরিদপুর ট্রেনে গেলেন।অনলাইনে আসলে সবটা বোঝা সম্ভব নয়।তাইতো ট্রেনে এসে বুঝতে পারলেন কেবিন থেকে শোভন চেয়ার অনেকটা ভালো। আর খোলামেলা।নির্ধারিত সময়ের ৫ মিনিট পরে ট্রেন ছেড়ে দিল।এটা বেশ ভালোই লাগলো আপনার। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আমার কাছেও কিন্তু ভাইয়া কেবিন থেকে শোভন চেয়ারের সীট গুলো ভালো লাগলো। তবে আজকাল ট্রেনের টিকেট কাটতে গেলে কিন্তু বেশ জটিলতার মধ্যে পড়তে হয়। সীট অনেক সময় ভুল কাটা হয়ে যায়। এই যেমন আপনাদের কে যেতে হলো ক্যাবিনে। তবে শান্তির বিষয় হলো যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ট্রেন ছেড়েছে। পরবর্তী পর্ব পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
আপনার মেয়ের ট্রেন জার্নি পছন্দ নয় তারপরও ট্রেনের টিকিট কেটেছেন জেনে একটু অবাক হলাম।যাইহোক ট্রেনে চড়তে আমার বেশ ভালোই লাগে।অনলাইনে টিকিট কাটলে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়,আশা করি আপনাদের জার্নি ভালো ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি তাহলে মধুমতি ট্রেনের টিকিট কেটেছিলেন। আপনার কথা শুনে মনে হলো আপনি কেবিন না কেটে শোভন শ্রেণি কাটলেই ভালো করতেন। কারণ ওগুলো তে আমি বেশে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে থাকি। যাইহোক শেষ পযর্ন্ত ভালোভাবে ফিরেছেন এটাই ভালো। এর চেয়ে ভালো অভিজ্ঞতার জন্য বেনাপোল অথবা সুন্দরবন এক্সপ্রেস এ ভ্রমণ করতে পারেন ভাই।