আরো একটি ব্যস্ত দিনের গল্প।
মাংস কিনে এনে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আমার স্ত্রীকে বললাম চলো আজকে নানী এবং খালার জন্য শাড়ি কিনে নিয়ে আসি। আমি যখন তাকে ডাক দিলাম তখন সে ঘুমাচ্ছিলো। সেই কারন সে কিছুটা বিরক্ত হয়ে ঘুম থেকে উঠলো। তারপর আমি তাকে বললাম তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নিতে। সে দ্রুত সময়ের ভেতর তৈরি হয়ে এসে দেখে আমি বসে বসে খেলা দেখছিলাম। কারণ সে এতো তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে যাবে এটা আমি চিন্তা করিনি। যাইহোক আমিও খেলা দেখা বাদ দিয়ে উঠে তাড়াতাড়ি কাপড়চোপড় পড়ে দুজন মিলে বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। কোথা থেকে শাড়ি কিনব সেটা আমরা আগে থেকেই ঠিক করেছিলাম। যার ফলে আমরা মার্কেটে পৌঁছে সরাসরি চলে গেলাম নকশি কাঁথায়। কারন আমরা আগে থেকেই আমরা ঠিক করেছিলাম নকশি কাঁথা থেকে কেনাকাটা করবো। আমাদের শহরে নকশি কাঁথা নামের একটি বড় কাপড়-চোপড়ের দোকান আছে। ওটাকে দোকান না বলে একটা মিনি মল বলা যেতে পারে। সেখান থেকে কেনাকাটার একটা সুবিধা হচ্ছে সেখানে এক জায়গায় সমস্ত রকমের কাপড়-চোপড় পাওয়া যায়। আর সেখানে দামাদামি করার কোন অপশন নেই। সেখানে সমস্ত জামা কাপড় ফিক্সড প্রাইসে বিক্রি হয়।
সেখানে গিয়ে নকশী কাঁথার যেই সাইডে শাড়ি বিক্রি হয় সেখানে গিয়ে আমরা শাড়ি দেখাতে বললাম। দোকানদার আমরা বলার সাথে একে একে অনেকগুলো শাড়ি দেখাতে লাগলো। এদিকে আমার স্ত্রীর পছন্দ হচ্ছিলো না। আর আমি তাকে বারবার তাড়া দিচ্ছিলাম পছন্দ করার জন্য। শেষ পর্যন্ত হয়তো আমার জোরাজুরির কারণেই সে দ্রুত দুটি শাড়ি পছন্দ করে নিলো। শাড়ি কেনা হয়ে গেলে আমরা যখন নকশি কাঁথা থেকে বের হলাম। তখন আমার স্ত্রী জানালো বাসায় কিছু কাঁচা বাজার করতে হবে।
তার এই কথা শুনে আমি কিছুটা বিরক্ত হলাম। কারণ আমি গতকালকেও বাজারে গিয়েছিলাম তখন সে আমাকে এই কথাটা বলেনি। যাই হোক তখন আমি তাকে বললাম তাহলে তুমি তোমার কাজ শেষ করো। আমি আমার কেনাকাটা শেষ করে বাসায় চলে যায়। এই কথা বলে আমি প্রথমে স্টেশনারীর দোকানে গেলাম। সেখানে গিয়ে স্টিকি প্যাড, মার্কার এবং গ্লু স্টিক কিনলাম। তারপর চলে গেলাম কাঁচা বাজারের দিকে। সেখানে গিয়ে আমার কেনাকাটা শেষ করে দ্রুত বাসায় ফিরে এলাম। কারণ বাইরে প্রচন্ড রোদের তাপে থাকা যাচ্ছিলো না। এভাবেই আমার দিনের প্রথমার্ধের ব্যস্ততা শেষ হোলো।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে সামনে ঈদ থাকলে দুনিয়াবী অনেক ধরনের ব্যস্ততায় চলে আসে। তবে আমার মনে হয় সব থেকে বড় ব্যস্ততা হচ্ছে এই কেনাকাটা করা। আশা করি একে একে শপিং করতে করতে এক পর্যায়ে সবার শপিং কমপ্লিট হয়ে যাবে। যাইহোক আজকে আপনার নানী এবং খালার জন্য শাড়ি কিনতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। আশা করি শাড়িগুলো পেয়ে তারা খুশি হবেন। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে সব মিলিয়ে এই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এই গরমে শপিং করা বেশ কষ্ট কর আর গিফটের জন্য পছন্দ করা আরো বেশি কষ্টকর।যাই হোক অবশেষে তাগাদা দিয়ে যে দুইটি শাড়ি পছন্দ করতে পেরেছে তাই অনেক।আসলে শপিং করাটা বেশ ভালো লাগতো আর এখন শপিং করাটা বেশ ভয়ংকর লাগে।
ভাই কয়েকদিন ধরে যে পরিমাণে গরম পরেছে, বাহিরে গিয়ে বেশিক্ষণ থাকা যায় না। যাইহোক সুমা আপুকে ঘুম থেকে উঠিয়ে, আপনার নানী এবং খালার জন্য শাড়ি কিনতে গিয়েছিলেন তাহলে। নকশি কাঁথা নামক শো-রুম টা তো খুব সুন্দর। এসব জায়গায় শপিং করতে খুব ভালো লাগে। কারণ সবকিছু হাতের সামনেই পাওয়া যায়। শাড়ি কেনার পর, কিছু সবজিও কিনেছিলেন তাহলে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমিও দাদা এক দামের দোকানে কেনাকাটা করতে বেশি পছন্দ করি। আমার আবার দামাদামি করার ব্যাপারটা পছন্দ হয় না। যাইহোক, শেষ পর্যন্ত অনেক জোরাজুরি করে যে দুটো শাড়ি পছন্দ হয়েছে, এটাই ভালো ব্যাপার। তবে দাদা এরকমটা কিন্তু আমার ক্ষেত্রেও হয়, যে বাড়িতে বাজার না থাকলেও অনেক সময় মনে থাকে না, সেটা আনতে বা কাউকে বলতে। আপনার দিনের প্রথমার্ধের ব্যস্ততা অনেকটাই ছিল, যেটা আপনার পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারলাম দাদা।