পিঠা উৎসব ভ্রমণের অভিজ্ঞতা (পঞ্চম পর্ব)।
প্রথম ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন একটি স্টলে মেলায় আগত দর্শনার্থীরা ছবি তুলছে। আসলে এখন ছবি তোলাটা যে কোন উৎসব উদযাপনের একটা অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষ কোথাও গিয়ে আগে ছবি তোলার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কাজের তাগিদে আমাকেও ছবি তুলতে হয়। তবে আমি চেষ্টা করি দ্রুত কিছু ছবি তুলে বাদবাকি সময়টা নিজের মতো করে উপভোগ করতে। তবে এই দৃশ্যটা প্রতিটি স্টলেই দেখতে পাচ্ছিলাম। দর্শণার্থীরা প্রথমে প্রতিটি স্টলে গিয়ে সেখানে কি কি খাবার পাওয়া যায় সেগুলোর ছবি তুলছিলো।
এই পিঠা উৎসবের আর একটা দিক আমার কাছে ভালো লেগেছিলো। ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের ছাত্র-ছাত্রীরা বেশ ইউনিক কিছু নাম দিয়েছিল স্টল গুলির। ছবিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন খুব মজাদার কিছু নাম। স্টল গুলির এই নামগুলো সবাই বেশ মজা নিয়ে পড়ছিলো। তাছাড়া দু একটা স্টলের সামনে এমন ছবি তোলার স্ট্যান্ড বানানো হয়েছিলো। যেখানে গিয়ে দর্শণার্থীরা ছবি তুলছিলো। এই সমস্ত জায়গায় সাধারণত একটু বেশি ভিড় হয়ে থাকে। আমার মেয়েও ছবি তোলার এই জায়গাটার পেছনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে চাচ্ছিলো। কিন্তু ভিড়ের কারণে সেটা সম্ভব হচ্ছিলো না।
উপরের ছবিতে আপনারা যে খাবারটি দেখতে পাচ্ছেন সেটা আসলে এক ধরনের চপ। যদিও আমার কাছে চপের ফিনিশিং টা খুব একটা ভালো মনে হয়নি। সম্ভবত তারা ব্রেডক্রাম্প দিয়ে কোন চপ বানানো চেষ্টা করেছিলো। যাই হোক আমার কাছে যেহেতু ঝাল খাবার গুলো পছন্দ তাই এই চপটি দেখে খেতে ইচ্ছা হয়েছিলো।
এখন ছবিতে যে খাবারটি দেখতে পাচ্ছেন এটা আমাদের সকলেরই প্রিয় খাবার সিঙ্গারা। আমার অত্যন্ত পছন্দের একটি খাবার। তবে এটা কিন্তু নরমাল সিঙ্গারা না। তারা বলছিলো এটা কলিজার সিঙ্গারা। যদিও আমি খাওয়ার সময় ভিতরে কলিজার পরিমান পেয়েছিলাম খুবই কম। তার পরেও অনেকদিন পর কলিজার সিঙ্গারা খেয়ে বেশ ভালো লেগেছিলো। এমনিতেও আমার কয়েকদিন ধরে শুধু কলিজার সিঙ্গারা খেতে ইচ্ছা করছিলো। একটা সময় আমাদের শহরে কলিজার সিঙ্গারা পাওয়া যেতো। তবে এখন আর কলিজার সিঙ্গারা পাওয়া যায় না।
উপরে আপনারা যে পিঠাটা দেখতে পাচ্ছেন এটার নাম দিয়েছিল পাখির বাসা। পিঠাটা খেতে কেমন হবে জানিনা তবে দেখতে কিন্তু বেশ দারুন লাগছিলো। পিঠাটার উপরে সেমাই ব্যবহার করা হয়েছিল কোটিং হিসেবে। এ ধরনের পিঠা আমি এর আগে কখনো দেখেছি বলে মনে পড়ে না।
উপরে যে দুটো খাবার দেখতে পাচ্ছেন এ দুটো দেখতে পিঠার মত হলেও আমার কাছে মনে হয়েছে খেতে কিছুটা অন্যরকম হবে। সম্ভবত ঝাল স্বাদের কোন খাবার হবে। তবে নানা রকম পিঠার আয়োজনে ভেতরে এমন ঝাল খাবার গুলোই দর্শনার্থীদের বেশি নজর কাটতে সমর্থ্য হয়েছিলো। অনেকে দেখছিলাম ঝাল খাবার গুলোই বেশি খাচ্ছিলো। আমি নিজেও পিঠা উৎসবে গিয়ে শুধু ঝাল খাবারই খেয়েছিলাম। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কোথাও গিয়ে যদি সারাক্ষণ ছবি তোলা নিয়ে ব্যস্ত থাকি,তাহলে সময়টা সেভাবে উপভোগ করা যায় না। সেজন্য দ্রুত কিছু ছবি তুলে,তারপর নিজেদের মতো উপভোগ করতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়। যাইহোক ঝাল জাতীয় পিঠা খেতে আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। কারণ ঝাল আমার ভীষণ পছন্দ। আর মিষ্টি জাতীয় পিঠা তেমন একটা খাওয়া যায় না। পাখির বাসা নামক পিঠাটা একেবারে ইউনিক লেগেছে। এই পিঠা এর আগে কখনো দেখা হয়নি আমার। ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকারভাবে ক্যাপচার করেছেন ভাই। সব মিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।
মাথা নষ্ট পিঠা বেশ মজার নাম তো।পাখির বাসা পিঠাটা আমি একবার বানিয়েছিলাম।বেশ ভালোই ক্রিস্পি টাইপের।সিংগারা আমার কাছে ভালোই লাগে তবে ছোট বেলায় তেমন একটা পছন্দ করতাম না।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
ঠিক বলেছেন ভাইয়া। কোথাও ঘুরতে গেলে দেখা যায় মানুষজন শুধু ছবি তোলা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। কিন্তু যে জায়গাটা ঘুরতে গিয়েছে সেই জায়গায় কিছুটা আনন্দ উপভোগ করার থেকে তারা ছবি তোলাটাকেই বেশি উপভোগ করে থাকে। পিঠা উৎসবের পিঠাগুলো কিন্তু সেই রকম ছিল ভাইয়া। বিশেষ করে পাখির বাসা পিঠাটি আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। পিঠাটির নামটি যেমন দেখতে খুব চমৎকার। আমিও মিষ্টি পিঠা থেকে ঝাল পিঠা খেতে বেশি পছন্দ করি। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে। পিঠা উৎসব ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
গত বছর আমি কলকাতার এক পিঠা উৎসবে গিয়েছিলাম দাদা। সেখানেও প্রচুর ভিড় থাকে। যাইহোক, আমার কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় লাগলো এই পিঠা উৎসবে আসা কয়েকটি স্টলের নাম। বেশ সুন্দর এবং ইউনিক ছিল নামগুলো। তাছাড়া বিভিন্ন পিঠা গুলোর মধ্যে আমার কাছে "পাখির বাসা" পিঠাটা সব থেকে বেশি ইউনিক মনে হল। আর বাকিগুলোও বেশ সুন্দর ছিল। এইগুলো দেখেই তো লোভ লেগে যাচ্ছে দাদা।
পিঠা উৎসবের ভ্রমণের কিছু অভিজ্ঞতা আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ।পিঠা উৎসবে যেয়ে আপনার পরিচিত মানুষের সাথে দেখা হয়েছে। উৎসবটি শহর থেকে একটু বাইরে হয়েছিল তাই আপনার চিন্তা একটু বেশি হয়েছিল ।সব পিঠাগুলো অনেক লবণীয় হয়েছে ভাইয়া দেখেই জিভে জল চলে আসলো। সব থেকে আমার পাখির বাসা পিঠাটা দেখতে অনেক বেশি লবনীয় লাগছে। ধন্যবাদ ভাইয়া পিঠা উৎসবের ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।