সকালের মনোরম পরিবেশে প্রাত ভ্রমণের অভিজ্ঞতা।
বিষয়টা বুঝিয়ে বলি। ধরুন সপ্তাহে তিন দিন আমি বেশ ভালোভাবে হাঁটাহাঁটি করলাম। পরের তিন দিন দেখা যাবে কোনো না কোনো কারণে আমার আর হাঁটতে বের হওয়া হয় না। এই কারণে আমার শারীরিক অবস্থার খুব একটা উন্নতি হচ্ছে না। গত এক মাসে আমার ওজন বেশ কিছুটা বেড়েছে। এখন এই বাড়তি ওজন কমানোর জন্য খাওয়া-দাওয়ার কন্ট্রোল করার সাথে হাটাহাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কয়েকদিন ধরে আবার হাঁটাহাঁটি শুরু করেছি। তবে এবারও সেই একই কাজ হচ্ছে। একদিন হাঁটতে বের হই তো পরের দিন কোন না কোন কারণে আর বের হওয়া হয় না। যাইহোক আজ সকালে আমি হাঁটতে বের হয়েছিলাম। তবে হাঁটতে বের হয়েই পেটে বেশ ক্ষুধা অনুভব করলাম।
তখন চিন্তা করলাম নাস্তা করে তারপর হাঁটাহাঁটি শুরু করি। যদিও আজকে আমার হাঁটতে বের হতে দেরি হয়ে গিয়েছিলো। আজকে পরিকল্পনা করেছিলাম হাটাহাটি শেষ করে পদ্মার পাড়ে যাবো। সেখানে পছন্দ মতো কোনো মাছ পেলে সেটা কিনবো। যাইহোক ক্ষুধা লাগার কারণে হাঁটাহাঁটি শুরুর আগে চলে গেলাম একটা রেস্টুরেন্টে নাস্তা করতে। আমি যেই রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম তাদের সকালে মুরগির মাংস দিয়ে রান্না করা খিচুড়িটা আমার বেশ পছন্দের। পোলাও চালের সাথে মুরগির মাংস মিশিয়ে তারা চমৎকার একটা খিচুড়ি রান্না করে। যেটার স্বাদ দুর্দান্ত। সরাসরি সেই হোটেলে গিয়ে খিচুড়ি অর্ডার করলাম। অর্ডার করার কিছুক্ষণের ভেতরেই টেবিলে গরম গরম খিচুড়ি পরিবেশন করলো।
যেহেতু পেটে বেশ ক্ষুধা ছিলো তাই খিচুড়ি সামনে আসার সাথেই খেতে শুরু করলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষ হতে বিল মিটিয়ে হাঁটতে বের হলাম। তবে আপনারা জানেন খাওয়া দাওয়া করার পরপরই হাঁটা কিছুটা কষ্টকর। যার ফলে আমার এক দেড় কিলোমিটার হাটার পরে আর হাটতে ইচ্ছা করলো না। তখন আমি একটা অটোরিকশা নিয়ে চলে গেলাম পদ্মার পাড়ে। সেখানে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ মাছ কেনার জন্য দাঁড়িয়ে রইলাম। তবে পছন্দ মতন মাছ না পেয়ে সেদিনের মত বাসার দিকে রওনা দিলাম। আর এভাবেই আমার আজকের প্রাতঃভ্রমণ শেষ হোলো।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
দাদা সকাল বেলা হাঁটাহাঁটি করতে গিয়ে যদি মুরগির মাংস আর খিচুড়ি খাওয়া হয়, তাহলে তো হাঁটাহাঁটি করার কোন মানেই হয় না। হা হা হা... অবশ্য আমিও যতবার সকালে হাঁটতে গিয়েছি, ততবারই বাইরে থেকে এরকম খেয়ে আসতাম। আর আপনি যে কথাটা বললেন যে, নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করা আসলে হয়ে ওঠে না, এটা কিন্তু একেবারেই ঠিক। আসলে যারা প্রতিনিয়ত কাজে ব্যস্ত থাকে তাদের আসলে এরকম সময় হয় না।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @rupok,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
কয়েকদিন আগে একটা আর্টিকেল পড়লাম। ঐখানে দেখলাম হাঁটা খুবই ভালো । বিখ্যাত বিজ্ঞানী বলেন লেখক বলেন সবাই নাকী দিনের একটা নির্দিষ্ট সময়ে হাঁটতে যেত। এবং এই হাঁটতে গিয়েই তাদের মাথায় বিভিন্ন ক্রিয়েটিভ জিনিস চলে আসতো। আপনার পোস্ট টা পড়ে বেশ ভালো লাগল। হাঁটার কোন বিকল্প নেই হয় না।
সকালে হাঁটাহাঁটি করাটা শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। আমিও আপনার মতো হাঁটাহাঁটি করার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারি না। যাইহোক হাঁটতে বের হয়ে গরম গরম খিচুড়িও খেয়েছেন তাহলে। সবমিলিয়ে সকালটা বেশ ভালোই কেটেছিল আপনার। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।