প্রচন্ড শীতের ভেতরে সকালে হাঁটার অভিজ্ঞতা।
অনেকেই আমার এই কথায় অবাক হতে পারেন। তবে আমি আগেও অনেকবার বলেছি। গরমের থেকে আমার কাছে শীতকালটা অনেক বেশি পছন্দের। কারণ শীতের সময় হেঁটে মজা পাওয়া যায়। কিন্তু গরমের ভিতরে অল্প একটু হাঁটলেই আমি ঘেমে একাকার হয়ে যায়। এই কারণে হাটাহাটির জন্য শীতকালটা আমার খুবই পছন্দের। তাছাড়া যতই শীত পড়ুক না কেন আপনি ভারী কাপড়-চোপড় গায়ে দিয়ে হাঁটাহাঁটি করতে পারবেন। কিন্তু বেশি গরমের ভেতরে হাটাহাটি করার কোন উপায় থাকে না। যাইহোক আজকে সকালে সাড়ে সাতটার একটু পরে বের হয়েছিলাম হাঁটতে। বেশ কয়েকদিন পর হাঁটতে বের হয়ে বেশ ভালোই লাগছিলো।
বাইরে প্রচন্ড ঠান্ডা থাকার কারণে আমি যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়ে বের হয়েছিলাম। তবে কিছুক্ষণ হাঁটার পরই দেখি আমার রীতিমতো গরম লাগছে। যেহেতু কয়েকদিন পর হাঁটতে বের হয়েছিলাম তাই চিন্তা করলাম আজকে আধাঘন্টা হাটি করবো। তারপর আস্তে আস্তে করে আবার সময় বাড়ানো যাবে। মনে মনে বাসা থেকে পরিকল্পনা করে বের হয়েছিলাম হাটাহাটি শেষ করে মাছ বাজারে গিয়ে কিছু মাছ কিনে আনবো। সেই উদ্দেশ্য মাথায় নিয়ে হাটতে বের হয়েছিলাম। হাঁটতে বের হয়ে দেখতে পেলাম রাস্তাঘাটে মানুষজন খুব একটা বেশি নেই। নিতান্তই বাধ্য না হলে এই আবহাওয়ায় কারো বের হওয়ার কথাও নয়। কারণ বেশিরভাগ মানুষই শীতে জুবুথুবু হয়ে ঘরে বসে রয়েছে।
হাঁটতে হাঁটতে যখন ফরিদপুর পৌরসভার সামনে পৌঁছলাম। তখন খেয়াল করে দেখি পৌরসভার সামনের ফুলের বাগানটাতে প্রচুর ফুল ফুটে রয়েছে। শীতকাল হচ্ছে ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য সবচাইতে সেরা সময়। চমৎকার সব ফুল ফুটে থাকতে দেখে সেখানে দাঁড়িয়ে ফুলগুলোর কিছু ছবি তুলে নিলাম। একবার মনে হচ্ছিলো বাগানের ভেতরে গিয়ে ছবি তুলি। পরবর্তীতে বাগানের ভেতরে প্রবেশ নিষেধ কিনা সেটা বুঝতে না পেরে সেই পরিকল্পনা বাতিল করে দিলাম। যাইহোক ফুলের ছবি তোলা শেষ হলে আমি আবার সামনের দিকে আগাতে লাগলাম। হাটতে হাটতে আরও কিছু দূর সামনে যাওয়ার পর দেখি ফরিদপুর জেলা স্কুলের সামনে মর্নিং শীফটের বাচ্চা এবং তাদের গার্জিয়ানদের বেশ ভিড়। এত সকালে প্রচন্ড শীতের ভিতরে ছোট ছোট বাচ্চাদেরকে স্কুলে আসতে দেখে তাদের কষ্টটা বুঝতে পারছিলাম।
যাইহোক জেলা স্কুল পার হয়ে আরও কিছুদূর সামনে এগিয়ে তারপর বাজারের দিকে ফিরতে লাগলাম। একটা সময় কিছুটা ক্লান্ত লাগছিলো। মনে হচ্ছিল রিক্সা বা অটো রিক্সাতে করে বাজারে চলে যায়। পরবর্তীতে সেই চিন্তাটা বাতিল করে দিলাম। কারণ তখন রিকশায় উঠলে আমার তিরিশ মিনিট হাটার লক্ষ্যটা আর পূরণ হবে না। তাই একটু কষ্ট হলেও বাজারের উদ্দেশ্যে হাঁটতে লাগলাম। এর ভিতরে অবশ্য আরো কিছু ছবি তুলেছিলাম। শেষ পর্যন্ত ৩০ মিনিটের কিছু পরে বাজারে পৌঁছে গেলাম। আর আজকের মতো হাঁটার পর্ব শেষ হলো।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
শীতের সকালে হাটাহাটি করা নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আসলেই সারাদেশে তীব্র শীত। ঢাকা শহরেও তীব্র শীত বয়ে যাচ্ছে এবার। আপনার মত শীতকাল আমারও পছন্দের।গরমের থেকে শীত অনেক ভালো। পোস্টকৃত ছবি গুলোও অনেক সুন্দর হয়েছে। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রতিটা মানুষের কাছে পছন্দের মৌসুম থাকে ।শীতকাল কারোর কাছে আবার কারোর কাছে গরমকাল। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো শরীরের জন্য যেটা পারফেক্ট মৌসুম সেজন্যই সবার কাছে সেই মৌসুমটা পছন্দ হয়। আপনার কাছে শীতকাল অনেক পছন্দ জেনে ভালো লাগলো। শীতকাল যদি আমার পছন্দ কিন্তু ঠান্ডা থাকার কারণে অনেক সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। শীতের সকালে হাঁটার অনুভূতিটা অন্যরকম ছিল। সকাল সকাল ঘুম থেকে এভাবে হাঁটতে পারলে ভালই লাগে।
আসলে ভাইয়া আমাদের সকালে ঘুম থেকে উঠে হাটা অর্থাৎ শরীরচর্চা করা খুবই দরকার। যদিও এখন শীত অনেক বেশি তারপরেও আপনি সকালে হাঁটতে গিয়েছেন এবং সেখানে ফুলের বাগান থেকে বেশ কয়েকটি সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দেখে মুগ্ধ হলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ভাই আপনার মতো আমারও শীতকাল খুব পছন্দ। শীত যতই বেশি হোক না কেনো, আমার তেমন সমস্যা হয় না। বরং শীতকালটা বেশ উপভোগ করছি। যাইহোক শীতের সকালে হাঁটাহাঁটি করতে বের হয়েছেন,এটা দেখে খুব ভালো লাগলো। শীতকালে হাঁটাহাঁটি এবং ঘুরাঘুরি করতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার ভাবে ক্যাপচার করেছেন ভাই। আপনার ফটোগ্রাফির দক্ষতা কিন্তু অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে ভাই। একসময় তো বলতেন আপনি ফটোগ্রাফি করতে পারেন না ততোটা ভালোভাবে। যাইহোক রিকশা দিয়ে না গিয়ে, হেঁটে বাজারে যাওয়ায় খুব ভালো হয়েছে। পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।