বেশ কিছুদিন পর দুই বন্ধুর ঘোরাফেরা ও আড্ডা দেয়া (প্রথম পর্ব)।
যদিও বিশ্বকাপ চলাকালীন আমি ভালো কোন ম্যাচ থাকলে সাধারণত বাসা থেকে বের হই না। তবে ফেরদৌস যেহেতু ঘোরার আগ্রহ প্রকাশ করেছে তাই আর না বলতে পারিনি। সময়মতো নির্ধারিত জায়গায় পৌঁছে ফেরদৌসের সাথে দেখা হোলো। তারপর দুজনে মিলে রওনা দিলাম রাফসানদের এলাকার উদ্দেশ্যে। উদ্দেশ্য ছিলো তিন বন্ধু মিলে কিছুক্ষণ আড্ডা দেবো। বেশ কিছুদিন পর ফেরদৌসের সাথে ঘুরতে বের হয়ে বেশ ভালোই লাগছিল। দুই বন্ধু গল্প করতে করতে যাচ্ছিলাম কিন্তু রাফসানের এলাকায় পৌঁছে দেখি ওর শোরুমটা বন্ধ রয়েছে। তখন আমি আর ফেরদৌস দুজনে মিলে ঠিক করলাম আমরা আমাদের সেই প্রিয় জায়গায় গিয়ে কিছুক্ষণ সময় কাটাবো। ফেরার পথে রাফসানের সাথে আড্ডা দেয়া যাবে। তাই আমরা আর সেখানে দেরি না করে সরাসরি চলে গেলাম সেই ব্রিজের কাছে।
সেখানে যেতেই মনটা ভালো হয়ে গেলো। যদিও খেয়াল করে দেখলাম তেমন একটা লোকজন সেখানে ছিল না। অবশ্য লোকজন কম থাকাতে আমাদের জন্য ভালই হয়েছিলো। নিরিবিলি আমরা বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম। ব্রিজটার অবস্থান একটি বিশাল মাঠের ভেতর দিয়ে চলে যাওয়া রাস্তার ওপরে। ব্রিজের রেলিং এর উপরে বসলে দু'পাশের আদিগন্ত ফসলের মাঠ দেখা যায়। আশেপাশে দু চারটে বাড়ি ও দেখা যায়। যদিও সেগুলো ব্রিজ থেকে বেশ খানিকটা দূরে। এই জায়গাটি আমাদের কাছে খুবই প্রিয় একটি জায়গা। সেখানে বসলে দুপাশের চমৎকার দৃশ্য দেখে মনটা ভালো হয়ে যায়। আমরা বেশ কিছুক্ষণ সেখানে আড্ডা দেয়ার পর ফেরদৌস বলল চলো হাজিগঞ্জ নদীর পাড় থেকে ঘুরে আসি। যেই কথা সেই কাজ। সাথে সাথেই দুই বন্ধু রওনা দিলাম হাজীগঞ্জ বাজারে উদ্দেশ্যে।
আমরা রাফসানদের এলাকায় গেলে সেখান থেকে মাঝে মাঝে হাজীগঞ্জ বাজারে ঘুরতে যাই। তবে গত বেশ কিছুদিন হল হাজীগঞ্জের দিকে যাওয়া হয়নি। সে কারণে আমারও সেখানে যাওয়ার বেশ আগ্রহ ছিলো। আমরা যেখানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম সেখান থেকে হাজিগঞ্জ বাজারে দূরত্ব বেশ কয়েক কিলোমিটার। আর শীতের দিনে বিকালটা দ্রুত শেষ হয়ে যায়। এজন্য ফেরদৌস একটু দ্রুত চালাচ্ছিল সেখানে পৌঁছানোর জন্য। বেশ কিছুক্ষণ পরে আমরা হাজিগঞ্জ বাজারে উপস্থিত হলাম। তবে বাজারের উপরে না থেমে আমরা দুজন সরাসরি চলে গেলাম নদীর পাড়ে। কারণ বাজারের পাশের নদীর অংশটা আমাদের কাছে খুব প্রিয় একটি জায়গা। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অনেক দিন পর ফেরদৌস ভাইয়ের সাথে বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছেন। আপনার পোস্ট নিয়মিত পড়া হয় বিধায়, ফেরদৌস ভাইয়ের সাথে ঘুরাঘুরি করতে যে আপনার খুব ভালো লাগে, সেটা খুব ভালো করেই জানি। যাইহোক এমন ব্রিজে বসে সময় কাটাতে আসলেই খুব ভালো লাগে। একেবারে নিরিবিলি একটি জায়গা। মন খুলে আড্ডা দেওয়া যায়। আশেপাশের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখে তো চোখ দুটি একেবারে জুড়িয়ে গেল। নদীর পাড়ে গিয়েও নিশ্চয়ই দারুণ সময় কাটিয়েছেন। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
ভাইয়া, বন্ধু হিসেবে ফেরদৌস ভাই ও রাফসান আপনার যে খুব কাছের তা কিন্তু আপনার পোস্টগুলো পড়লেই বেশ বুঝতে পারি। আর আপনাদের বন্ধুত্বের বন্ধন আমার কাছেও খুবই ভালো লাগে। যাইহোক ভাইয়া, ফেরদৌস ভাইয়ের সাথে ব্রিজের ওপরে অনেকটা সময় নিরিবিলি পরিবেশে আড্ডা দিয়েছেন এবং হাজিগঞ্জ বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন সেখানেও কিছুটা সময় কাটানোর জন্য। আর অবশেষে হাজীগঞ্জে উপস্থিত হয়ে নদীর পাড়েও চলে গিয়েছিলেন। সবকিছু মিলিয়ে আপনাদের সময়টা খুবই সুন্দর কেটেছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যাই হোক ভাইয়া, বেশ কিছুদিন পর দুই বন্ধুর ঘোরাফেরা ও আড্ডা দেয়ার প্রথম পর্বটি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আসলে ভাইয়া বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো খুবই আনন্দময় হয়ে থাকে। তবে আপনি বন্ধুদের সাথে ঘুরেছেন এবং আড্ডা দিয়ে দারুন একটা সময় যা আপনার পোস্ট দেখে মনে হচ্ছে ।তবে আপনার দ্বিতীয় পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
আপনার সম্পুর্ন পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে অনেক কিছু জানলাম এবং শিখলাম। তবে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে একটি বিষয় সেটা হলো , আপনি বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ে ঘরের বাইরে বের হন না, কিন্তু বন্ধুর ডাকে না করতে পারেননি। এই জিনিসটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগলো। এটা থেকে বুঝা গেল আপনার বন্ধুর প্রতি টান এবং ভালোবাসা দুইটাই আছে।
হঠাৎ যদি শুনি যে আমার সবচাইতে কাছের বন্ধু এলাকায় এসেছে তাহলে সত্যি অনেক আনন্দ হয়। এটা আমি জানি। ঠিকই বলেছেন ভাই শীতের দিনের বিকেল টা একেবারেই খুব দ্রুত শেষ হয়ে যায়। মাঠের মাঝে ব্রীজ এবং একেবারে নিরিবিলি কোন মানুষ নেই। তিনবন্ধু মিলে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন ভালো আড্ডা দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সঙ্গে মূহূর্ত টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
গত সপ্তাহে ফেরদৌস ভাইয়া এলেও আপনার সাথে সময় কাটাতে পারেননি।তাই এ সপ্তাহে ভাইয়ার সাথে সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। রাফসান ভাইয়ার শোরুম বন্ধ ছিল।তাই তাকে আনতে পারেননি।সুন্দর পরিবেশ,প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্যে দুজনে মিলে খুব চমৎকার সময় কাটিয়েছেন। এরপর নদীর পাড়ে গেলেন।এখন বেলা খুব ছোট। তাই সময় বিকেলে বেশী থাকেনা।