রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্ট।
সেদিন আমি আর ফেরদৌস ঘুরতে ঘুরতে গিয়েছিলাম শহরের মূল সুইচগেট এর কাছাকাছি। সেখান থেকে এই ছবিটি তুলেছিলাম। সুইচগেটের এলাকাটা এখন লোকজনের বিনোদনের মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। লোকজন বিকালে এখানে আসে সময় কাটাতে। বিশেষ করে যখন থেকে সুইচগেটের নদীর দুই পাড় বোল্ডার দিয়ে বাঁধানো হয়েছে তারপর থেকে এখানে লোকসমাগম বেড়েছে।
এই ছবিটিও সুইচগেটের ওখান থেকেই তোলা। ছবিতে যে জায়গাটি দেখতে পাচ্ছেন এই জায়গাটার কথা আমি আমার কয়েকটা পোস্টে উল্লেখ করেছি। এই জায়গাটাতে এখন লোকজনের সবচাইতে বেশি ভিড় হয়। কারণ বিকালে বা সন্ধ্যার পরে আড্ডা দেয়ার জন্য এই জায়গাটি আমার কাছে সবচাইতে বেশি পছন্দ হয়েছে। শহরে আড্ডা দেয়ার মত এখন খুব বেশি জায়গা অবশিষ্ট নেই। যে কটা জায়গা আছে তার ভিতরে এই জায়গাটায় আমার কাছে সবচাইতে ভালো মনে হয়েছে।
এই ছবিটিও ওই একই জায়গা থেকে তোলা। ছবিতে খেয়াল করে দেখুন কিছু মানুষ একটি নৌকায় করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সুইচগেটের ওখানে যে দর্শনার্থীরা ঘুরতে আসে তারা অনেকেই নৌকা ভাড়া করে নদীতে ঘুরে বেড়ায়। তবে আমার ঘুরতে যেতে সাহস হয় না। কারণ আমার কাছে মনে হয় এখানে যে কোন সময় একটা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
সেদিন আমি আর ফেরদৌস যখন ঘুরতে বেরিয়েছিলাম। তখন একটি ব্রিজের উপর থেকে এই ছবিটি তুলেছিলাম। খেয়াল করে দেখুন ছবিতে দেখা যাচ্ছে কয়েকজন লোক নৌকায় করে মাছ ধরতে বের হয়েছে। আসলে এই সময় নদী-নালা খাল বিলে নতুন পানি ঢোকে। সেই পানির সাথে প্রচুর মাছও আসে নদী থেকে। যার ফলে লোকজনের এই সময় মাছ ধরার আগ্রহ অনেক বেড়ে যায়। এই সময় এই ধরনের ছোট খালেও অনেক মাছ পাওয়া যায়।
এই ছবিটিও তুলেছিলাম কয়েকদিন আগে। ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন একটা নদীতে কয়েকটি হাঁস ভেসে বেড়াচ্ছে। ছবিটি দেখেই ভালো লেগে গেলো। তাই হাঁসগুলোর কয়েকটা ছবি তুলেছিলাম। সেখান থেকে একটি ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন গাঢ় সবুজ ফসলের মাঠ। আসলে এই সময় গ্রাম বাংলার প্রকৃতি গাঢ় সবুজ রঙে সেজে ওঠে। যার ফলে গ্রাম অঞ্চলের রূপ পুরোপুরি পরিবর্তন হয়ে যায় বছরের এই সময়টাতে।
ছবিতে আপনারা যেটা দেখতে পাচ্ছেন এটা আসলে একটি শাখা নদী। কিন্তু মানুষজনের দখলের কারণে নদীটা এখন সরু খালে পরিণত হয়েছে। মানুষজনের যন্ত্রণায় দেশের বেশিরভাগ শাখা নদী গুলোর অবস্থা এমন হয়ে গিয়েছে। এক সময় শুনেছি এই শাখা নদী দিয়ে বড় বড় নৌকা চলতো। এখন তো ছোট ডিঙ্গি নৌকার বেশি কিছু চলা সম্ভব নয় তারপরও সেটা যদি সেটা বর্ষা মৌসুমে হয় তাহলেই সম্ভব।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
| ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
|---|---|
| ফটোগ্রাফার | @rupok |
| স্থান | ফরিদপুর |
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ওয়াও! ফটোগ্রাফি গুলো এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে ভাই। বর্ষার সময় নদ নদী বা বিলের দিকে ঘুরাঘুরি করতে সত্যিই খুব ভালো লাগে। চারিদিকে পানি থৈথৈ করে। সুইচগেট জায়গাটা জাস্ট অসাধারণ। এমন জায়গায় সময় কাটাতে দারুণ লাগে। প্রতিটি ফটোগ্রাফি খুব ভালো লেগেছে। কোনটা রেখে কোনটার প্রশংসা করবো সেটা বুঝতে পারছি না। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
গ্রাম বাংলা প্রকৃতি নিয়ে করা আপনার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু বেশ সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে যেন জীবন্ত ফটোগ্রাফি। অসাধারণ গ্রাম বাংলার প্রতিচ্ছবি তুলে ধরেছেন আপনি আপনার ফটোগ্রাফিতে।
ফেরদৌস ভাইকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করার কিছু সুন্দর সুন্দর মুহূর্তের ফটোগ্রাফি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া।বর্ষার মৌসুমী নদীর পারে ঘুরতে গিয়েছে নিশ্চয়ই সেখানে অনেক সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছেন।এত সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। সুইচগেট কাছের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে ভাই আমার কাছে। আসলে এই সমস্ত জায়গায় বিকেল বেলায় আড্ডা দিতে বেশ ভালোই লাগে। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।