পছন্দের কিছু খাবারের ছবি নিয়ে ফুড ফটোগ্রাফি পোস্ট।

in আমার বাংলা ব্লগ6 months ago

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


আপনারা যারা আমার পোস্ট পড়েন তারা জানেন আমি খেতে ভালবাসি। বিশেষ করে বাইরের খাবার খাওয়ার জন্য আমার ভেতরে অন্যরকম আকর্ষণ কাজ করে। যদিও আজকালকার বেশিরভাগ মানুষই এই সমস্যাতে আক্রান্ত। সমস্যা বললাম এই কারণে যে বাইরের খাবার খাওয়াটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। খেতে ভালো হলেও আমাদের উচিত বাইরের খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা। তবে সবকিছু বোঝার পরেও কেন জানি আমি বাইরের খাবার দেখলে আর ঠিক থাকতে পারিনা। এমনিতেই আমাদের দেশের খাদ্য নিরাপত্তার অবস্থা খুবই খারাপ। চারিদিকে শুধু ভেজাল আর বিষ যুক্ত খাবারের ছড়াছড়ি। এর ভেতর থেকে ভাল খাবারটা বেছে বের করা খুব মুশকিল। তার উপরে যুক্ত হয় রেস্টুরেন্টের অস্বাস্থ্যকর রান্নাঘর এবং পরিবেশ।

সবকিছু মিলিয়ে সেই ভেজাল এবং বিষাক্ত খাবার গুলো আরো খারাপ রূপ ধারণ করে। এত কিছু বোঝার পরও আমি এখনো বাইরের খাবার খেয়েই চলেছি। হা হা হা। যাইহোক আজকে পোস্ট করতে বসে চিন্তা করলাম একটা ফুড ফটোগ্রাফি পোস্ট করি। গত বেশ কিছু দিনে আমি যে খাবারগুলো খেয়েছি তার ভেতরে সবচাইতে মুখরোচক খাবারগুলির ছবি নিয়ে আজকের এই পোস্টটি তৈরি করেছি। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে দেখে নেয়া যাক খাবারের ছবিগুলো।

IMG_20240125_153159.jpg

প্রথম ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন আপনারা চিকেন চাওমিন। এই চিকেন চাওমিন আমাদের এলাকায় তৈরি হওয়া একটি নতুন রেস্টুরেন্ট থেকে খেয়েছিলাম। কিন্তু খুবই দুঃখের বিষয় রেস্টুরেন্টটি মাত্র দুদিন আগে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অবশ্য রেস্টুরেন্টটা যখন শুরু হয় তখনই আমরা বন্ধু-বান্ধব মিলে আলোচনা করছিলাম। এলাকার ভিতরে এই রেস্টুরেন্ট বেশিদিন টিকবে না। শেষ পর্যন্ত যেটা বলছিলাম সেটাই হয়েছে। মাত্র ৪/৫ মাসের মাথায় তারা ব্যবসা গুটিয়ে এখান থেকে চলে গিয়েছে। তারা চলে যাওয়াতে আমার কাছে বেশ খারাপ লেগেছে। কারন এই রেস্টুরেন্টের চিকেন চাওমিনটা আমার খুবই পছন্দের একটা খাবার ছিলো।

IMG_20240125_153035.jpg

উপরে ছবিতে আপনারা যে খাবারটা দেখতে পাচ্ছেন এটা চিকেন নাচোস। এই নাচোস আমার খুব পছন্দের একটা খাবার। তবে এই নাচোসটাতে তারা অতিরিক্ত সস দিয়ে কিছুটা বেশি মিষ্টি করে ফেলেছিলো। তাছাড়া সবকিছু মোটামুটি ঠিকঠাক ছিলো। নতুন চালু হওয়া একটি রেস্টুরেন্ট থেকে এই নাচোসটা খেয়েছিলাম।

IMG_20240125_153005.jpg

উপরের পিজাটা খেয়েছিলাম বেলিরোডের ডোমিনোজ পিজার আউটলেট থেকে। পিজাটা দেখতে যতটা ভালো মনে হচ্ছে খেতে আসলে মোটেও ভালো ছিলো না। এর আগে আমার কখনো ডমিনোজ থেকে পিজা খাওয়া হয়নি। প্রথমবারে ডোমিনোজ থেকে পিজা খাওয়ার অভিজ্ঞতাটা বেশ খারাপ হলো। আর প্রথমবার কোন জায়গার খাবার খারাপ হলে সেখান থেকে পরবর্তীতে আর খেতে ইচ্ছা করে না।

IMG_20240125_152926.jpg

এটা হচ্ছে ঢাকার বিখ্যাত হাজির বিরিয়ানি। নকল হাজি না একদম পুরান ঢাকার নাজিরা বাজারের আসল হাজির বিরিয়ানি থেকে এই বিরিয়ানিটা খেয়েছিলাম। হাজীর বিরিয়ানি নিয়ে একেক জন একেক রকম মতামত দেয়। তবে আমার কাছে এটা খেতে বেশ ভালোই লাগে। যদিও এটাকে আমি একটা ভালো মানের তেহারি মনে করি। কারণ বিরিয়ানি বলতে আমরা সাধারণত যে ধরনের মসলাদার বিরিয়ানিটা খেয়ে থাকি এটা তার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।

IMG_20240125_152810.jpg

এটা একটা চাইনিজ সেট মেন্যু। কিছুদিন আগে পরিবার নিয়ে একটি রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে এই চাইনিজ সেট মেনু নিয়েছিলাম। এর সাথে অবশ্য থাই সুপ আর অনথন ও ছিলো। খাবারটা খেতে মোটামুটি ভালোই ছিলো। তবে একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের জন্য পরিমাণ কিছুটা কম মনে হয়েছিলো। অবশ্য সবকিছু শেষ করার পরে তখন আর খুব একটা কম মনে হয়নি।

IMG_20240125_152746.jpg

এটা হচ্ছে মোরগ পোলাও। এখন সারা দেশ জুড়ে হাজী বিরিয়ানি বা এই টাইপের নাম নিয়ে অসংখ্য ছোট ছোট বিরিয়ানির দোকান গড়ে উঠেছে। এই দোকানগুলোর বিরিয়ানি খেতে মোটামুটি ভালোই। আমার কাছে এই বিরিয়ানির দোকানের একটা প্রিয় খাবার হচ্ছে মোরগ পোলাও। মোরগ পোলা বলতে আসলে সাদা পোলাওয়ের সঙ্গে মসলা সহ এক পিস রোস্ট দিয়ে দেবে। যদিও প্রথম প্রথম আমার কাছে এই খাবারটাকে মোরগ পোলাও মনে হোতো না। আমি এটাকে বলতাম পোলাও এর সাথে চিকেন রোস্ট। অরিজিনাল মোরগ পোলাও এর রেসিপিটা এমন কিনা সেটা আমার জানা নেই। তবে খাবারটা খেতে বেশ ভালো।

IMG_20240123_122146.jpg

কয়েকদিন আগে আমার স্ত্রী মুরগির মাংস দিয়ে এই খাবারটা তৈরি করেছিলো। এটার আসলে বিশেষ কোনো নাম নেই। আমরা একসময় রেস্টুরেন্ট থেকে হট উইংস নামে একটা খাবার খেতাম। পরবর্তীতে আমার স্ত্রী সেটার মতো করেই বাসায় মুরগির মাংস দিয়ে এই আইটেমটা তৈরি করতে শুরু করে এবং এটা খেতে রেস্টুরেন্ট থেকে ভালো সাদের হয়। এই খাবারটা আমার বেশ পছন্দের।


আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসহুয়াই নোভা 2i
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানফরিদপুর

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 6 months ago 

ভাই এটা ঠিক যে আমাদের দেশে বর্তমান বাইরের খাবার মানে প্রচুর ভেজাল আর বিষ যুক্ত ৷ তবুও কেন যেনো সব বুজেও লোভ সামলে উঠতে পারি না ৷এটাই সত্

যা হোক ভাইয়া খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দারুন ছিল ৷ তবে এসব খাবার খুব কম খেয়েছি ৷ কারন আমি গ্রামের মানুষ আর তার জন্য এসব খাবার খাওয়া হয় না ৷ তবে মুরগির মাংস প্রায় খাই ৷ যা হোক ভালো লাগলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ৷

 6 months ago 

ভাই খাবার গুলো দেখে তো জিভেতে জল চলে আসলো। বিশেষ করে মোরগ পোলাও আমার সব থেকে বেশি ফেভারিট খাবার। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর ফুড ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিত ভাবে শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার কিছু পছন্দের খাবারের ফটোগ্রাফি নিয়ে একটি পোস্ট। এমনিতেই খাবারের ফটোগ্রাফি দেখলে প্রত্যেকটা মানুষের জিভে জল চলে আসে। আপনার লোভনীয় খাবার গুলোর মধ্যে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে পিজ্জা। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর ফুড ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

বাহিরের খাবারের সকল খারাপ দিক আমরা জানি ।কিন্তু মানি না। আর মানি না বলেই দিন দিন খাবারের দোকানের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেশ লোভনীয় লাগছে খাবার গুলো। আর এজন্যই সবাই বাহিরের খাবের খেতে বেশি পছন্দ করে। বেশ সুন্দর হয়েছে খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো। মজাদার খাবের ফটোগ্রাফি সুন্দর বর্ণনা সহ উপস্থাপনের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

 6 months ago 

ফুল, প্রকৃতির ফটোগ্রাফির মতো ফুড ফটোগ্রাফি ও দারুন লাগে দেখতে।মজার মজার খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে চোখ দিয়েই খেয়ে নেয়া যায়, হিহিহি।আপনি আজ চমৎকার কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন। এই খাবারগুলো আপনি বিভিন্ন সময়ে খেয়েছেন। একটি খাবার আপু নিজে করেছিল।আপনি এই খাবারটি খুব পছন্দ করেছেন বললেন।আমার কাছে তো বিরিয়ানি, ফ্রাইড রাইস,মোরগ পোলাও,পিজ্জা ভীষণ পছন্দ। চিকেন চাওমিন খুব লোভনীয় একটি খাবার।তবে রেস্টুরেন্টটি বন্ধ হয়ে গেলো।আপনার পছন্দের এই খাবারটি এখন অন্য কোথাও থেকে খেতে হবে।আপু ই হয়তো অনেক মজা করে আপনাকে রান্না করে খাওয়াবেন।টেনশন করবেন না। খাবারের সবগুলো ফটোগ্রাফি ই দারুন ছিল ভাইয়া।

 6 months ago 

আমি তো দাদা বাইরের খাবার সব সময় এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। আর আপনি ঠিকই বলেছেন দাদা, বর্তমানে খাবারে অনেক বেশি পরিমাণ ভেজাল দিচ্ছে। যদিও আমাদের এদিকটাতে এত বেশি ভেজাল দেয় না। তারপরও সবাইকে সাবধানে থাকা উচিত। আর আপনার খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো অত্যন্ত সুন্দর হয়েছে দাদা। এগুলো আমার কাছে অনেক লোভনীয় মনে হচ্ছে ।

 6 months ago 

ভাই আপনার পোস্ট নিয়মিত পড়া হয় বিধায় খুব ভালোভাবেই জানি যে, আপনি বাহিরের খাবার কতোটা পছন্দ করেন। আমিও একসময় বাহিরের খাবার প্রচুর খেতাম। তবে এখন অনেকটা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। এখন বাসায় সরিষার তেলে ভেজে, বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়ার চেষ্টা করি। যাইহোক আপনার শেয়ার করা প্রতিটি খাবারের ফটোগ্রাফি বেশ লোভনীয় লাগছে দেখতে। বিশেষ করে ডমিনোজ এর পিজ্জা এবং চিকেন নাচোস দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। যাইহোক এতো মজাদার খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

Posted using SteemPro Mobile

 5 months ago 

বাইরের খাবার গুলোর প্রতি সবাই এক প্রকার আকৃষ্ট হয়ে গেছি। আমরা জানি বাইরের খাবার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না তারপরও এই খাবার গুলো দেখলে কেন জানি লোভ সামলাতে পারি না। ভাইয়া আপনি দারুন কিছু ফুড ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ফুড ফটোগ্রাফি গুলো দেখে লোভ সামলানো বড় দায়। প্রত্যেকটি খাবার অনেক লোভনীয়। অনেক ধন্যবাদ ভাই লোভনীয় কিছু ফুড ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 57610.17
ETH 3118.28
USDT 1.00
SBD 2.39