বৃক্ষ মেলা ২০২৩ এ কাটানো কিছু সময় (প্রথম পর্ব)।
প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে আমাদের শহরে বৃক্ষ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও বৃক্ষ মেলা শুরু হয়েছে কয়েকদিন হয়ে গেলো। বৃক্ষ মেলার যখন প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছিল তখন থেকেই ঠিক করে রেখেছিলাম মেলায় ঘুরতে যাবো। যদিও আমি খুব একটা বৃক্ষ প্রেমী নই। তারপরেও প্রতিবছর বৃক্ষমেলায় আমি একাধিক বার ঘুরতে যাই। এই মেলাটি অন্য আর দশটি মেলার মত নয়। এখানে শুধু বৃক্ষ প্রেমীরাই আসে। যাইহোক মেলা শুরু হয়েছে বেশ কয়েকদিন হয়ে গিয়েছে। এখন বলতে গেলে প্রায় মেলা শেষের পথে।
গত কয়েকদিন ধরে প্রচন্ড গরম পড়ায় মেলায় যাওয়া হয়নি। তাই আজকে সিদ্ধান্ত নিলাম আবহাওয়া যেমনই থাক মেলা থেকে আজকে ঘুরে আসবো। তবে ভাগ্য সহায় বলতে হবে। কারণ বিকালের দিকে দেখলাম আবহাওয়া বেশ কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। মাঝে মাঝে হালকা বাতাস বয়ে যাচ্ছে। বিকালের দিকে একটি ব্যক্তিগত কাজে বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন ছিলো। তাই ঠিক করেছিলাম আসরের নামাজ পড়ে মেলায় ঘুরতে যাবো। নামাজ পড়ে বাসা থেকে তৈরি হয়ে প্রথমে সেই ব্যক্তিগত কাজটা শেষ করলাম। তারপর সেখান থেকে চলে গেলাম বৃক্ষ মেলায় মেলায়। আমার ব্যক্তিগত কাজ যে জায়গাটাতে ছিল মেলাটা ঠিক তার পাশেই অবস্থিত। মেলায় গিয়ে সবগুলো স্টল ঘুরেফিরে দেখতে লাগলাম।
আমাদের শহরের এই বৃক্ষ মেলাটি আকারে একেবারেই ছোট হয়। একটি রাস্তার একপাশে এক সাড়িতে বেশ কিছু স্টল নিয়ে এই বৃক্ষ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। অন্যান্য বারের মতো এবারও সেটাই হয়েছে। এই মেলায় গেলে গাছ সম্বন্ধে বিভিন্ন রকম তথ্য জানা যায়। নতুন নতুন অনেক গাছ চেনা যায়। অনেক ফলের গাছ দেখা যায়। আমি ঘুরে ফিরে মেলার প্রত্যেকটা স্টল দেখছিলাম। তবে এর ভিতর বেশকিছু স্টল দেখতে পেলাম বন্ধ রয়েছে। মেলা চলাকালীন স্টলের লোকজন কোথায় গিয়েছে সেটা ঠিক বুঝতে পারলাম না।
যাইহোক আমি ধীরেসুস্থে এক একটা স্টলে ঢুকছিলাম আর সেই স্টলে কোন ভিন্নধর্মী গাছ আছে কিনা সেটা দেখছিলাম। প্রতিবছর মেলায় একটা জিনিস আমি খুব আগ্রহ নিয়ে দেখি। সেটা হচ্ছে বনসাই। বিভিন্ন রকম বড় গাছের বনসাই করা হয়। এগুলো দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। যে বিশাল আকারের বটগাছ আমরা সাধারণত বাইরে দেখি। যখন সেই বট গাছগুলোকে বনসাই করে ড্রয়িং রুমে রাখার উপযুক্ত করে তোলা হয়। তখন সেটা আমার ভেতরে বিস্ময় জাগায়। মেলায় গাছের স্টল ছাড়া অন্য কোন স্টল ছিল না। তবে রাস্তার অপরপাশে বেশ কয়েকটি ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকান দেখতে পেলাম। সেখানে কেউ ফুচকা নিয়ে এসেছে, আবার কেউ আখের রস নিয়ে বসেছে আর বাঙালির মেলার অন্যতম অপরিহার্য অনুষঙ্গ পাপড় তো রয়েছেই।
এবারে মেলায় গিয়ে আমি অনেক ছবি তুলেছি। তার ভেতর যেমন রয়েছে বিভিন্ন রকম ফলের গাছ। তেমনি রয়েছে বেশ কিছু ফুলের গাছ। আবার কিছু ঔষধি গাছের ছবিও তুলেছি। ঠিক করেছি আগামী কয়েক দিন এক একদিন এক এক ধরনের গাছের পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হবো। আমাদের শহরের এই মেলাটি খুব একটা জমজমাট মেলা না হলেও বৃক্ষ প্রেমীরা সারা বছর এটার জন্য অপেক্ষা করে থাকে। কারণ এখানে যে সমস্ত লোকজন স্টল দেয়। তারা বিভিন্ন রকম ব্যতিক্রমধর্মী গাছ নিয়ে আসে। যেগুলো সচরাচর নার্সারিতে দেখতে পাওয়া যায় না। সেই গাছগুলো থাকে মেলার মূল আকর্ষণ হিসাবে।
মনে আছে বছর দুয়েক আগে এই বৃক্ষ মেলায় একটি বনসায়ের দাম উঠেছিল ১ লাখ টাকার উপরে। অনেক মানুষ সেই গাছটি দেখার জন্য মেলায় আসা শুরু করেছিল। যদিও এবার মেলায় তেমন কিছু দেখতে পাইনি। তবে ঠিক করেছি মেলা থাকতে থাকতে আমি আরো দু'একবার মেলায় যাবো। কারণ আজকে গিয়ে কিছু স্টল বন্ধ দেখেছি। হতে পারে সেই স্টল গুলিতে হয়তো এমন কোন গাছ রয়েছে যেটা দেখলে আমার ভালো লাগতে পারে। যদি সেখান থেকেও ভিন্নধর্মী কোন গাছের ছবি তুলতে পারি। তাহলে সেটাও আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
গাছের প্রতি আমাদের সবার ভালোবাসা থাকাটা জরুরি। কারণ এই গাছ আমাদের বেঁচে থাকার কারণ। আপনি প্রতি বছর বৃক্ষমেলায় ঘুরতে যান এটা বেশ ভালো কাজ। আসলে বৃক্ষ মেলায় বিভিন্ন রকমের, বিভিন্ন ধরনের কাজগুলো দেখতে বেশ ভালো লাগে। দুই বছর আগে এই বৃক্ষমেলায় একটি বনসাইয়ের গাছের দাম উঠেছিল ১ লাখ টাকা জেনে অবাক হওয়ার মতো। আসলে এ ধরনের দামি গাছ উঠলে মেলাতে গাছ দেখার লোক অনেক বেশি হয়। এই পর্বটি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
এ ধরনের বৃক্ষমেলায় ঘুরাঘুরি করতে আমারও ভিষন ভালো লাগে। কিছুদিন আগে আমাদের এখানেও একটি বৃক্ষমেলা হয়েছিল যাওয়ার ইচেছ থাকলেও সমযের অভাবে আর যাওয়া হয় নাই। তবে আমি কিন্তু আশ্চর্য্য না হয়ে পারলাম না যে বৃক্ষ মেলায় লাখ টাকার গাছ। আমার তো মনে হয় এই গাছটি দেখতেই মানুষ বেশী ভিড় জমিয়েছিলো। বেশ ভালো লিখেছেন ভাইয়া।
বৃক্ষ মেলায় গিয়ে বেশকিছু গাছ দেখলেন আর আমাদের মাঝে অনুভূতি গুলো শেয়ার করলেন।এ ধরনের মেলায় গেলে ভীষন ভালো লাগে। আমরা সবাই কম-বেশী গাছ পছন্দ করি। বছর দুই আগে একটি বনসাইয়ের দাম ১ লক্ষ টাকা হয়েছিল। অবাক হওয়ার মতো ই।এতো এতো গাছ তাইতো এতো মানুষের ভীড় এখানে।অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
গাছ আমাদের প্রকৃত বন্ধু। বৃক্ষ মেলায় গিয়ে আপনি গাছ দেখেন এটা অনেক ভালো লাগলো জেনে। বৃক্ষ মেলায় ফুল ফল ঔষধি সব ধরনের গাছ রয়েছে। এই সব রকমের গাছগুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে। তবে বৃক্ষ মেলায় লাখ টাকার গাছ শুনে অবাক হয়েছি।আমার মনে হয় এই দামি গাছটি কি জন্য লাখো টাকা
তা দেখতে অনেক লোকের ভিড় হয়ে ছিল। অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।