তীব্র শীতে জনজীবনে অচল অবস্থা।
আরো এক শ্রেণীর মানুষ রয়েছে যারা তাদের থেকেও খারাপ অবস্থায় রয়েছে। তারা হচ্ছে ভূমিহীন বা গৃহহীন মানুষ। তাদের দুঃখ-কষ্ট ভাষায় বর্ণনা করার মতো না। বর্তমানে গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর প্রভাবে প্রকৃতি পুরো উল্টোপাল্টা আচরণ করছে। আমার মতো শীতকাল পছন্দ করা লোকের কাছেও এই প্রচন্ড শীত কিছুটা অসহ্য মনে হচ্ছে। শুনতে পাচ্ছি সামনে আরো কিছুদিন এরকম শীত থাকবে। সাথে নাকি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এইরকম তীব্র শীতের সাথে যদি বৃষ্টি শুরু হয় তাহলে সাধারণ মানুষের জীবনে অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্ট নেমে আসবে। তাছাড়া শীতকালীন অনেক সবজি এবং ফসলেরও ক্ষতি হবে। যার ফলে পরবর্তীতে সবজি এবং অন্যান্য ফসলের দামও বেড়ে যাবে। যাই হোক প্রচন্ড শীতের ভেতরেও আজকে সকালে আমি হাঁটতে বের হয়েছিলাম। প্রথমে একবার মনে করেছিলাম এই তীব্র শীতের ভেতরে হাঁটতে বের হওয়ার দরকার নেই। তবে পরবর্তীতে মনে হোলো যদি একবার হাঁটাহাঁটি বন্ধ করি তাহলে আবার শুরু করতে সমস্যা হবে। সে চিন্তা করেই এই প্রচন্ড শীতের ভেতর হাঁটতে বের হয়েছিলাম।
হাঁটতে বের হয়ে দেখি রাস্তাঘাটে লোকজন একেবারেই কম যাই। হোক হাঁটাহাঁটি শেষ করে বাসায় আসতেই আমার প্রচন্ড ঘুম এলো। যখন ঘুম ভাঙলো তখন মনে পড়লো আগামী দু তিন দিন বৃষ্টি হওয়ার কথা। যার ফলে কিছু টুকিটাকি বাজার করতে হবে। তখন আমি তৈরি হয়ে চলে গেলাম বাজারে। যেহেতু সকালে হাঁটতে বের হয়ে নাস্তাটা আগেই সেরে নিয়েছিলাম। তাই নাস্তা করার আর কোন ঝামেলা ছিল না। ঘুম থেকে উঠে চা খেয়েই বাজারে চলে গেলাম। বাজারে গিয়ে আমার টুকিটাকি প্রয়োজনীয় বাজার বেশ দ্রুত সেরে নিলাম। তবে একটা জিনিস খেয়াল করে দেখলাম মার্কেটের আশেপাশে ফুটপাতে যে সমস্ত লোকজন কাপড়-চোপড় বিক্রি করছে। সেই সমস্ত দোকানে প্রচন্ড ভিড়। দেখে মনে হোলো এই তীব্র শীত থেকে বাঁচার জন্য নিম্নবিত্ত লোকজন প্রস্তুতি নিচ্ছে। শীতের কাপড় কেনার জন্য নিম্নবিত্ত লোকের মূল ভরসা ফুটপাতের এই দোকানগুলো। কারণ এই সমস্ত দোকানে বেশ অল্প দামে শীতের মোটা কাপড় চোপড় পাওয়া যায়। এ সমস্ত লোকজনের কথা চিন্তা করে বেশ খারাপ লাগতে লাগলো।
যাইহোক যেহেতু আমাকে এসে বাসায় ফিরে আবার যোহরের নামাজে যেতে হবে। তাই বাজারে সময় নষ্ট না করে তাড়াতাড়ি সব কেনাকাটা সেরে ফেললাম। আর ফেরার সময় দুপুরে খাওয়ার জন্য নিয়ে এসেছিলাম মোরগ পোলাও। কারণ এই শীতের ভেতরে আমার স্ত্রী রান্না করতে চাইছিলো না। এ কারণে দুপুরে মোরগ পোলাও খাওয়ার কথা বলেছিল। তার কথাটা আমার পছন্দ হয়েছিলো। কারণ আমি এমনিতেই বাইরের খাবার খেতে পছন্দ করি।আর এই শীতের ভেতরে যদি ধোঁয়া ওঠা মোরগ পোলাও খাওয়া যায়। তাহলে ব্যাপারটা একেবারে মন্দ হয় না। মোরগ পোলাও কেনা শেষ হলে আর বেশিক্ষণ দেরি করিনি। সোজা বাসায় ফিরে এসেছি। আর পরবর্তী কয়েক দিনের শীতের জন্য মনে মনে প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। আপনারাও সকলে সাবধানে থাকবেন। বিশেষ করে যাদের পরিবারে বাচ্চাকাচ্চা আছে তাদের জন্য সাবধানে থাকাটা বেশি জরুরী। কারণ এই ধরনের আবহাওয়ায় বাচ্চারা এবং বৃদ্ধ লোকেরা সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই সকলে যার যার পরিবারের বৃদ্ধ লোকজন এবং বাচ্চাদেরকে বিশেষ যত্ন রাখবেন।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
শীত নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনি ঠিকই বলেছেন, গণমাধ্যমের কথা ভুল প্রমান করে শীত তার কাজ করে যাচ্ছেন আপন মনে। সেই সাথে বৃষ্টি আসলে শীতের তীব্রতা আরো বাড়বে। প্রান্তিক মানুষ গুলোর জন্য কষ্ট হচ্ছে। লেখাটি শেয়ার দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
শীতের শুরুতে আমার কাছেও মনে হয়েছিল, এবার তেমন একটা শীত পরবে না। কিন্তু এবার সারাদেশে প্রচন্ড শীত পরেছে। এই শীতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট করছে দিনমজুরেরা এবং গৃহহীন মানুষেরা। তাদের কষ্ট দেখলে নিজের কাছেই অনেক খারাপ লাগে। এই তীব্র শীতের মধ্যে যদি বৃষ্টি শুরু হয়, তাহলে কি অবস্থা হবে সেটাই ভাবছি। যাইহোক সবার উচিত যথাসম্ভব সাবধানতা অবলম্বন করা। কারণ ঘরে ঘরে জ্বর ঠান্ডায় ভুগছে অনেক মানুষ। যাইহোক সময়োপযোগী একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।