তিন বন্ধুর পুরান ঢাকা অভিযান (চতুর্থ পর্ব)।
বিসমিল্লাহ কাবাবে পৌঁছানোর পরে ফেরদৌস এবং রাসেলের কাবাব খাওয়ার প্রতি তেমন কোন আগ্রহ ছিলো না। তারপরেও তিন বন্ধু মিলে দোকানে ঢুকে একটি টেবিলে বসলাম। তারপর তাদের মেনু কার্ড হাতে নিয়ে দেখতে লাগলাম কি কি কাবাব পাওয়া যাবে? আমি শুনেছিলাম সেখানে মাটন ব্রেন মাসালা পাওয়া যায়। তবে তাদের মেনু কার্ডে দেখলাম আইটেমটি নেই। তখন আমরা অর্ডার করলাম চিকেন চাপ এবং বটি কাবাব সাথে পরোটা। আমরা মনে করেছিলাম অর্ডার করার কিছুক্ষণের ভিতরে খাবার পরিবেশন করবে। কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকার পরও দেখলাম খাবার পরিবেশন করার কোন নাম নেই। তাদের খাবারের মান ভালো হলেও তাদের সার্ভিসটা আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগলো না। যাই হোক ওয়েইটারকে ডেকে যখন বললাম তাড়াতাড়ি খাবার দিতে তার কিছুক্ষণের ভেতরেই সে চিকেন চাপ এবং বটি কাবাব নিয়ে এলো।
এদের চিকেন চাপ অনেকটা ফ্রাইড চিকেন এর মতো। তবে বটি কাবাবটা খেতে ছিলো দারুন। সেই সাথে এরা এক ধরনের সালাদ দিয়েছিলো যেটাতে তেতুলের সস দেয়া ছিলো। সালাদটার সাদও ছিলো অনেক ভালো। পেট ভরা থাকার পরও তিন বন্ধু কাবাব গুলো বেশ আগ্রহ নিয়ে খেতে লাগলাম। কারণ কাবাব গুলো আসলেই বেশ মজার ছিলো। সাধারণত ফুড ব্লগারদের ভিডিওর তথ্যগুলো সঠিক হয় না। তবে বিসমিল্লাহ কাবাবের কাবাব খেয়ে বুঝতে পারলাম ফুড ব্লগাররা মিথ্যা বলে নাই। আমি অবশ্য সাথে ব্রেইন ফ্রাই অর্ডার করতে চেয়েছিলাম। তবে ওদের দুজনের কারো ব্রেন ফ্রাই এর প্রতি আগ্রহ না থাকায় আর সেটা করা হয়নি। যদিও আমার ইচ্ছা ছিল বিসমিল্লাহ কাবাব এর ব্রেন মাসালা টেস্ট করার। কিন্তু মেনু কার্ডে সেটা দেখতে না পেয়ে আমি হতাশ হয়েছিলাম। যাই হোক খাওয়া দাওয়া শেষ করতে করতে হঠাৎ করে মাগরিবের আজান শুনতে পেলাম। আমি তখন ওয়েইটারকে বললাম বিলটা তাড়াতাড়ি দিতে। কিন্তু তার ভেতরে কোন তাড়াহুড়ো দেখতে পেলাম না।
আমি তখন ফেরদৌস আর রাসেল কে বললাম তোরা এখানে বসে থাক। আমি নামাজ পড়ে আসি। পুরান ঢাকার একটা সুবিধা হচ্ছে এখানে আপনাকে মসজিদ খুঁজতে হবে না। কিছুদূর পরপরই আপনি একটা মসজিদ পেয়ে যাবেন। সেই কারণে বিসমিল্লাহ কাবাবের কয়েকটি বিল্ডিং পরেই একটি মসজিদ পেয়ে গেলাম। সেখানে মাগরিবের নামাজ আদায় করে মসজিদ থেকে বের হয়ে যখন বন্ধু রাসেলকে ফোন দিলাম তখন ওরা জানালো ওরা বিসমিল্লাহ কাবাবের পাশেই রয়েছে। যখন ওদের কাছে পৌঁছলাম। তখন জিজ্ঞেস করলাম এখন পরিকল্পনা কি? তখন বন্ধু রাসেল জানালো এখন আমরা বিখ্যাত বিউটির ল্যাস্যির দোকান থেকে ল্যাস্যি খেতে যাবো। আমিও ওদের এই পরিকল্পনায় সম্মতি জানালাম। কারণ বিউটির ল্যাস্যি আমারও অনেক প্রিয়। তাছাড়া বিরিয়ানি কাবাব এরকম ভারী জিনিস খাওয়ার পরে ল্যাস্যি খেলে ভালো লাগবে। তারপর তিন বন্ধু মিলে রওনা দিলাম বিউটির ল্যাস্যির উদ্দেশ্যে। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ঢাকা |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমার কাছে চিকেন চাপের চেয়ে বটি কাবাব বেশি টেস্ট লাগে খেতে। তবে পেট ভরা থাকলে কোনো কিছু খেয়ে তেমন স্বাদ পাওয়া যায় না। যাইহোক আপনারা বিরিয়ানি খেয়ে তারপর কাবাব খেয়েছেন,তবুও যে স্বাদ পেয়েছেন এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। গ্রাহক বেশি থাকলে এমনিতেই খাবার অর্ডার করলে সময় বেশি লেগে যায়। যাইহোক মোটামুটি ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন বিসমিল্লাহ কাবাব ঘরে গিয়ে। পরবর্তী পর্বে তাহলে বিখ্যাত বিউটির ল্যাস্যির দোকান থেকে ল্যাস্যি খাওয়ার গল্প জানতে পারবো। সবমিলিয়ে বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
আরে ভাইয়া দেখেন তো কেমন হলো? এই জন্যেই বলে মক্কার মানুষ হজ্জ পায় না। অনেক শুনেছি এই কাবাব ঘরের কথা । বহুবার যাওয়ার কথা থাকলেও যাওয়া হয়নি। তবে এদের খাবারের মানের দিকে তাকিয়ে কেউ আর এদের সার্ভিসের কথা ভাবে না ভাইয়া। যাক অবশেষে আপনারা তিন বন্ধু বেশ মজা করেই খেয়েছেন তাহলে। ধন্যবাদ সুন্দর মূহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আগের পর্ব যদিও পড়া হয়নি।এই পর্বে কাবাব খেতে বিসমিল্লাহ কাবাব ঘরে গেলেন তিন বন্ধু। আসলে পেট ভরা থাকলে কোন খাবারই তেমন ভালো লাগে না।কিন্তু এরপরে ও কাবাব আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে জেনে বলতে হয় তবে বেশ মজারই কাবার।তিন বন্ধু মিলে মজা করে খেয়েছেন।আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। পরের পর্বে আপনার প্রিয় বিউটি ল্যাসির কথা জানা যাবে।খুব সুন্দর ভাবে অনুভুতি গুলো শেয়ার করলেন। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।