বাবা মেয়ে মিলে বাইরে ঘোরাফেরা ও হালকা খাওয়া দাওয়ার অভিজ্ঞতা ( শেষ পর্ব)।

in আমার বাংলা ব্লগ11 months ago

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


রেস্টুরেন্টে যখন প্রবেশ করলাম। তখন ঘড়ির দিকে তাকিয়ে খেয়াল করে দেখি মাগরিবের আজান হতে আর বেশি সময় বাকি নেই। তাই তাড়াহুড়ো করে আমি খাবার অর্ডার করলাম। তবে খাবার অর্ডার করতে গিয়ে আমাকে ওয়েটারের সাথে কিছুটা সময় কথা বলতে হোলো। আমরা যে রেস্টুরেন্টটাতে গিয়েছিলাম কিছুদিন আগেও আমি পরিবার নিয়ে সেই রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম। তাদের একটা সমস্যার কথা আমি আগের পোস্টেও উল্লেখ করেছি। তারা খাবার পরিবেশন করতে অনেক সময় নেয়। তাছাড়া আমি যখনই নিজের পছন্দমত কোন খাবার অর্ডার করতে গিয়েছি খেয়াল করে দেখেছি তারা সেই খাবারগুলো অর্ডার করতে নিরুৎসাহিত করে। বিশেষ করে যে খাবারগুলো প্রস্তুত করতে সময় কিছুটা বেশি লাগবে সেই খাবারগুলো অর্ডার করতে তারা নিরুৎসাহিত করে। এই ধরনের কাজ আমি অন্য রেস্টুরেন্টে কখনোই দেখিনি।

IMG_20231001_184313.jpg

যাই হোক যথারীতি সেদিনও একটি খাবার অর্ডার করলে ওয়েটার আমাকে জানালো স্যার এটা তৈরি হতে অনেক সময় লাগবে। তখন আমি জিজ্ঞেস করলাম কত সময় লাগবে? সে জানালো ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট সময় লাগবে। তখন আমি তাকে বললাম আচ্ছা সমস্যা নেই সময় লাগুক। তারপর খাবার অর্ডার করে আমি ওয়েটারকে বলে মেয়েকে নিয়ে নামাজ পড়তে চলে গেলাম। চিন্তা করেছিলাম নামাজ পড়ে ফিরতে ফিরতে অন্তত একটা খাবার তারা পরিবেশন করবে। কিন্তু নামাজ শেষ করে যখন আমাদের নির্ধারিত টেবিলে এসে বসলাম। তখন ওয়েটার এসে আমাকে জানালো তাদের একটা ভুল হয়েছে। আমি যে দুটো খাবার অর্ডার করেছিলাম তার ভেতর একটি খাবার তারা এখন পরিবেশন করতে পারবে না। এই কথা শুনে আমার মেজাজটা খুবই খারাপ হলো। তখন আমি সেই অর্ডারটা ক্যানসেল করে অন্য আরেকটি খাবারের অর্ডার করলাম।


IMG_20231001_183828.jpg

খাবার অর্ডার করা শেষ হলে আমি আর আমার মেয়ে বসে অপেক্ষা করতে লাগলাম। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর আমাদের টেবিলে খাবার এলো। যেহেতু সন্ধ্যার নাস্তা করতে গিয়েছি তাই অল্প খাবার অর্ডার করেছিলাম। প্রথমে তারা পরিবেশন করলো বারবিকিউ চিকেন নাচোজ। রিভেরা লাউঞ্জ এর এই খাবারটা আমাদের বেশ পছন্দের। আমি আর আমার মেয়ে দুজনে বেশ মজা করে খাবারটা শেষ করলাম। সন্ধ্যার সময় আমি ভারী কিছু খাবো না এই জন্য আমার জন্য আর কিছু অর্ডার করিনি। তবে মেয়ের জন্য একটা বারবিকিউ রাইস বোল অর্ডার করেছিলাম।


IMG_20231001_182642.jpg

নাচোজ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণের ভেতরে রাইস বোলটাও তারা টেবিলে দিয়ে গেলো। তারপর আমার মেয়ে ধীরে সুস্থে সেটা খেতে লাগলো। খাওয়া-দাওয়া শেষ হলে বিল মিটিয়ে আমরা সেদিনের মতো বাড়ি ফিরতে লাগলাম। বাসায় ফেরার পথে মেয়েকে জিজ্ঞেস করলাম আজকে ঘোরাফেরাটা কেমন লাগলো? সে বলল বাবা খুবই ভালো লেগেছে। তখন আমি তাকে বললাম আর কয়েকদিন পরে তোমার আম্মুকে সাথে নিয়ে আমরা আবার বাইরে ঘুরতে বের হবো। এই কথা শুনে সে খুবই খুশি হোলো। এভাবেই বাপ মেয়ের ঘোরাফেরা শেষ হোলো।


IMG_20231001_183039.jpg

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসহুয়াই নোভা 2i
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানফরিদপুর


🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 11 months ago 

রেস্টুরেন্টে যখন গেলেন তার কিছু সময় পর মাগরিবের আজান হলো।সত্যি ভাইয়া কোন খাবার অর্ডার করলে সেটা না করতে চাইলে খারাপ লাগারই কথা।আমিও কখনও দেখিনি এমন না করতে।যাই হোক নামাজ পড়ে এসে মেয়ের খাবার দিলেন। খেয়ে দুজন বাসায় চলে এলেন।অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। মেয়ে খুব খুশী হয়েছে জেনে ভালো লাগলো।আসলে বাচ্চারা অল্পতেই খুশি হয়ে যায়।

 11 months ago 

যে খাবার তৈরি করতে সময় বেশি লাগে, কিছু কিছু রেস্টুরেন্টে সেই খাবার অর্ডার করতে তারা নিজেরাই নিষেধ করে। এটা আসলেই খুব খারাপ একটি কাজ। কারণ মেন্যুতে যেহেতু রয়েছে, কাস্টমার অর্ডার দিলে অবশ্যই তৈরি করে দেওয়া উচিত। যাইহোক খাবার অর্ডার দিয়ে নামাজ পড়তে যাওয়ার পর, নামাজ শেষ করে আসার পর এসব কথা শুনলে যে কারোরই মেজাজ খারাপ হবে। কতটা অপেশাদার হলে এমনটা করতে পারে। এসব কারণে রেস্টুরেন্টের সুনাম নষ্ট হয়। যাইহোক ঘুরাঘুরি এবং খাওয়া দাওয়া করে দারুণ সময় কাটিয়েছেন। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

ভাইয়া আপনি খাবার অর্ডার করে নামাজে গেলেন কিন্তু ফিরে এসে জানলেন একটি খাবার তারা পরিবেশন করতে পারবেন না।এটা আগে বললেই তো পারতো তারা।যেহেতু এতোটা সময় নিয়েছিল খাবার প্রস্তুত করতে ।এটা আসলেই দুঃখজনক।তারপর আপনি ওই অর্ডার ক্যানসেল করলেন এবং অন্য খাবার অর্ডার করলেন।আপনার মেয়ে খুব খুশি হয়েছে এরপর তার আম্মুকে নিয়ে যাওয়ার কথা শুনে।সব মিলিয়ে সুন্দর সময় ছিল একটু সমস্যায় পড়তে হয়েছিল যদিও।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59834.01
ETH 2665.66
USDT 1.00
SBD 2.46