মেয়ের ফুচকা খাওয়ার জিদ পূরণ।

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


গত কয়েকদিন ধরে আমাদের এখানে থেমে থেমে সারাদিন বৃষ্টিপাত হচ্ছে। অবশ্য শুধু আমাদের কথা বলে লাভ নেই। সারা বাংলাদেশেই মনে হয় একই অবস্থা। এর ভেতর আমার মেয়ে বায়না ধরেছে তাকে ফুচকা খাওয়াতে বাইরে নিয়ে যেতে হবে। কয়েকদিন ধরেই সে ঘ্যানঘ্যান করছে। তবে এই আবহাওয়ার ভিতর তাকে নিয়ে বাইরে যেতে ইচ্ছা করছিলো না। তবে শেষ পর্যন্ত আজকে তার জিদের কাছে পরাজিত হয়ে তাকে নিয়ে আমাদের সেই প্রিয় ফুচকার দোকানে যেতে হয়েছিলো। আজ সকাল থেকেই সে আমাকে বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছিলো তাকে ফুচকা খাওয়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা। আমি মনে করেছিলাম বিকালের দিকে যদি বৃষ্টিপাত হয় তাহলে আর বাইরে যেতে হবে না। তবে শেষ পর্যন্ত বিকালের দিকে আর বৃষ্টিপাত হয়নি। তবে আমার মেয়েকে যখন ফুচকা খেতে যাওয়ার কথা বললাম।

Messenger_creation_04062ad9-dd61-4abc-b815-a2798a703862.jpeg

তখন সে বললো সে তার মাকে ছাড়া বাইরে যাবে না। কিন্তু আমার স্ত্রীর আজকে বাইরে যাওয়ার মোটেই ইচ্ছা ছিলো না। তাকে ফুচকা খেতে যাওয়ার কথা বললে সে জানালো তার শরীরটা খুব একটা ভালো লাগছে না। তবে মেয়ে জীদ ধরে ছিলো সে তার মাকে নিয়ে যাবেই। শেষ পর্যন্ত তার মাকেও তার জিদের কাছে হার মানতে হলো। তবে ততক্ষণে বেশ কিছুটা দেরি হয়ে গিয়েছে। আমি তখন তাদেরকে বললাম মাগরিবের নামাজের পরে তোমরা তৈরি হয়ে থাকবে। আমি বাইরে থেকে এসে তোমাদেরকে নিয়ে ফুচকা খেতে যাবো। কিন্তু আমি নামাজ থেকে ফিরে দেখি তখনো তারা তৈরি হয়নি। এমনিতেই সেই ফুচকার দোকানে শুক্রবারে অনেক ভিড় থাকে। তারপর আবার দেরি করে গেলে দেখা যাবে যে আমাদের পছন্দের খাবারটি পেলাম না। তাই আমি তাদেরকে তাড়াহুড়া তাড়াতাড়ি তৈরি হতে বললাম।


Messenger_creation_e3bcb93a-36ad-44ba-bb47-c969bc9c681a.jpeg

যাইহোক আমি তাড়া দেয়ার কিছুক্ষণের ভেতরেই তারা তৈরি হয়ে গেলো। তারা তৈরি হতেই আমরা রওনা দিলাম সেই ফুচকার দোকানের উদ্দেশ্যে। বাসা থেকে বের হয়ে একটা রিকশা নিয়ে সেই ফুচকার দোকানের দিকে যেতে লাগলাম। দোকানটা আমাদের বাসা থেকে তিন চার কিলোমিটার মতো দূরে। যার ফলে রিক্সা করে সেখানে যেতে খুব একটা বেশি সময় লাগেনি। তবে সেখানে পৌঁছানোর আগে মনে মনে টেনশন হচ্ছিলো যে সেখানে গিয়ে কাঙ্খিত খাবার পাবো কিনা। কারণ এর আগেও কয়েকবার এমন হয়েছে সেখানে গিয়ে আমাদের পছন্দের খাবারটা পাইনি। তবে যাই হোক এবার পৌঁছে দেখি সেই ফুচকার দোকানের সবগুলো টেবিল বুকড। যার ফলে আমাদের কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিলো টেবিল পাওয়ার জন্য। একটা টেবিল খালি হতেই আমরা সেখানে বসে ফুচকার অর্ডার করলাম।


Messenger_creation_b85fc231-7ac7-4e08-aabc-a8b462622181.jpeg

তবে যথারীতি তারা ফুচকা পরিবেশন করতে অনেকটা দেরি করলো। তাদের ফুচকার দোকানে এটা একটা বড় সমস্যা। ফুচকা পরিবেশন করতে তারা বরাবরই অনেক দেরি করে। যাই হোক টেবিলে খাবার পরিবেশন করতেই আমরা খেতে শুরু করলাম। খেয়াল করে দেখলাম আমরা। যে আইটেমটা অর্ডার করেছিলাম সেটা তারা আগে থেকে পরিমাণে বেশ কিছুটা কম দিয়েছে। আমাদের প্রথম আইটেমটা খাওয়া শেষ হলে আমার স্ত্রী বললো ঝাল ফুচকা অর্ডার করতে। পরবর্তীতে তার জন্য একটা ঝাল ফুচকা অর্ডার করলাম। এই ফুচকাটা অবশ্য তাড়াতাড়ি পেয়েছিলাম। আমি অবশ্য সেই ঝাল ফুচকা খাইনি। আমার স্ত্রী আর মেয়ে সেটা খেয়েছিলো। যাইহোক ফুচকা খাওয়া শেষ হলে তাড়াতাড়ি বিল মিটিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। কারণ ততক্ষণে প্রায় এশার নামাজের সময় হয়ে গিয়েছে।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসappo reno 8t
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানফরিদপুর

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 months ago 

আসলে ছোট মানুষ এর এর জেদ এর কাছে আমাদের সবারই হার মানতে হয়। যাক মেয়ের ইচ্ছা পূরণ করেছেন এটাই অনেক। এইতো কয়দিন আগে আমার এক ছোট্ট কাজিন এমন বায়না ধরেছিলো। তাকে আইস্ক্রিম খাওয়াতেই হবে। আর কি । পরে নিয়ে যেতে হয়েছিলো।

 2 months ago 

বাচ্চাদের জেদ এর কাছে হার মানতেই হয় ভাই হা হা হা। আমাদের এখানেও বেশ কয়েকদিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। যাইহোক সুমা আপু এবং আপনার মেয়েকে নিয়ে ফুচকা খেতে গিয়েছেন,জেনে খুব ভালো লাগলো। মাঝেমধ্যে সন্ধ্যার সময় ফুচকা খেতে বেশ ভালোই লাগে। তাছাড়া ফুচকার ছবি দেখেই মনে হচ্ছে খেতে দারুণ লেগেছিল। যাইহোক বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি দেখে। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 months ago 

ফুচকার দোকানের সামনে গিয়ে আসলে অপেক্ষা করতে মোটেই ভালো লাগেনা। কারণ ফুচকা এমন একটা জিনিস যেটা দেখলেই লোভ লাগে খেতে। তবে সব থেকে ভালো লাগলো এটা জেনে যে, আপনি মেয়ের জেদের কাছে হেরে গেলেন। হা হা হা.... যাই হোক, সবাই মিলে ফুচকা খেয়ে সুস্থ ভাবে বাড়ি এসেছেন, এটা জেনে খুব ভালো লাগছে। খুব ভালো লাগলো দাদা আপনার পোস্ট টি পড়ে।

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.16
JST 0.028
BTC 68160.40
ETH 2442.97
USDT 1.00
SBD 2.37