দীর্ঘদিন পর বন্ধু ফেরদৌসের সাথে ঘোরাফেরা ও নদীতে গোসল করার গল্প (প্রথম পর্ব)।
গত কিছুদিন ধরে প্রচন্ড গরম পড়েছে। প্রথম ১৫ টা রোজা বেশ আরামে কাটিয়েছিলাম। কিন্তু গত কয়েকটা রোজায় গরমের কারণে একটু কষ্ট হচ্ছে। এই গরমের ভেতরে ফেরদৌস প্রস্তাব দিলো নদীতে গোসল করার। প্রথমে তার প্রস্তাবে আমি বললাম আজকে তো জুম্মাবার। আজকে কখন নদীতে গোসল করবো? তখন সে বলল নামাজ পড়ে আমরা দুপুরের পর গোসল করতে যাবো। আমি প্রথমে কিছুটা অরাজি ছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে আবহাওয়ার কথা চিন্তা করে রাজি হয়ে গেলাম। আপনারা জানেন নদীতে গোসল করতে আমার কাছে বরাবরই ভালো লাগে। যাইহোক ফেরদৌসের সাথে কথা হোলো বেলা ২:৩০ টার দিকে আমরা এক জায়গায় মিলিত হবো। তারপর সেখান থেকে রাফসানের এলাকার উদ্দেশ্যে যাবো। সেখান থেকে রাফসানকে নিয়ে যাবো নদীতে গোসল করতে। পরবর্তীতে অবশ্য প্ল্যান পরিবর্তন হয়েছিলো। আমরা যাওয়ার সময় কিছুটা পিছিয়ে ছিলাম। বেলা তিনটার দিকে আমি নির্ধারিত স্থানে উপস্থিত হয়েছিলাম।
সেখানে আমি পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পর ফেরদৌস এসে উপস্থিত হোলো। তারপর ফেরদৌসের মোটরসাইকেল করে দুই বন্ধুর রওনা দিলাম রাফসানের এলাকার উদ্দেশ্যে। কিন্তু রাফসানের শোরুম এর কাছে পৌঁছে দেখি রাফসান সেখানে নেই। আমরা দুই বন্ধু মিলে চিন্তা করতে লাগলাম রাফসান কোথায় থাকতে পারে? পরবর্তীতে ফেরদৌস বলল তাহলে চলো রাফসানের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিয়ে আসি। ফেরদৌসের কথা মতো দুজনে রওনা দিলাম রাফসানের বাড়িতে। সেখানে পৌঁছে দেখি রাফসান বাড়িতেই রয়েছে।
পরবর্তীতে আমরা রাফসানের সাথে গল্প করতে লাগলাম। অনেকদিন পর রাফসানদের বাড়িতে গিয়েছি। সেখানকার বেশ কিছু পরিবর্তন দেখতে পেলাম। ওদের বাড়ির পেছনে একটা জংলা মতো জায়গা ছিলো। সেই জায়গাটা দেখলাম বেমালুম গায়েব হয়ে গিয়েছে। সেখানে বিশাল বড় একটা পুকুর দেখতে পেলাম। জানতে পারলাম সেই পুকুরে নাকি মাছ চাষ করা হয়। যদিও মাছ রাফসান চাষ করে না। ওরা পুকুর লিজ দিয়ে দিয়েছে। রাফসানের পরিচিত কেউ কিছু ছেলে পুকুর লিজ নিয়ে সেখানে মাছের চাষ করছে। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রথম কয়েকটা রোজা বেশ আরামে কেটেছিল। কিন্তু সত্যি বলতে ভাই অবস্থা এখন খারাপ। এতো গরম দুপুরে ঘরে থাকা যায় না। অনেকদিন পর তাহলে আপনার বন্ধু ফেরদৌস ভাই এলাকায় এসেছে। নদীতে গোসল করার বুদ্ধি টা ভালো ছিল। আমিও ভাবছি আজকালের মধ্যে একদিন নদীতে গোসল করতে যাব।
আমাদের এখানে ১৯ রোজা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছিল, তাই রোজা রাখতে কোনো কষ্ট হয়নি। কিন্তু ২০ রোজার পর থেকে প্রচন্ড গরম পরেছে এবং রোজা রাখতে একটু কষ্ট হচ্ছে। যাইহোক এই গরমে পদ্মা নদীতে গোসল করার আইডিয়াটা কিন্তু দারুণ। তাছাড়া রোজা রেখে দুপুরে খাওয়া দাওয়ার কোনো ঝামেলা নেই, তাই জুম্মার নামাজের পর গোসল করার আইডিয়াটা একেবারে পারফেক্ট হয়েছে। পুকুরের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো ভাই। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
একা একা ঘরে বসে সময় কাটানো টা আসলেই বেশ কষ্টের দাদা। তবে এটা ঠিক যে, ইদানিং বেশ গরম পড়েছে। আমাদের এখানেও খুব খারাপ অবস্থা। যাইহোক, দীর্ঘদিন পর আপনার বন্ধু ফেরদৌসের সাথে দেখা হয়েছে, জেনে ভালো লাগলো। যদিও এখনো পর্যন্ত আপনারা গোসল করেন নি, এজন্য সেটা নিয়ে কিছু বললাম না। দেখা যাক, পরবর্তী পর্বে গোসল করা নিয়ে কি কথা জানা যায়।