রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্ট।
উপরে আপনারা যে ছবিটা দেখতে পাচ্ছেন এটা ফরিদপুর রেলস্টেশনের ছবি। ফরিদপুর রেল স্টেশন কিন্তু অনেক পুরাতন। ব্রিটিশ আমল থেকে ফরিদপুরে রেল স্টেশন ছিলো। এখন যে বিল্ডিংটা দেখতে পাচ্ছেন এখানেই পুরাতন ভবন ছিলো। কয়েক বছর আগে সেই পুরাতন ভবন ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন ফরিদপুরের উপর দিয়ে নিয়মিত রেল চলাচল করতো। মধ্যে দীর্ঘদিন রেল বন্ধ ছিলো। গত কয়েক বছর আগে আবার চালু হয়েছে। আমাদের ফরিদপুরের এই রেল স্টেশনটা বেশ ব্যস্ত। এই স্টেশন থেকে প্রতিদিন অনেক মানুষ বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া আসা করে।
উপরের ছবিতে যে জায়গাটা দেখতে পাচ্ছেন এটা রেলস্টেশনের সামনের চত্বর। এখানে প্রতিদিন সকালে অনেক মানুষজন আসে। যারা মূল ব্যায়াম করতে আসে। তেমন কিছু মানুষকে আপনারা ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন। তবে এই জায়গাটা আমার কাছে সবচাইতে ভালো লাগে দুপুরের সময়। কারন তখন এই জায়গাটা থাকে চমৎকার ছায়াঘেরা। তখন অনেকেই এখানে এসে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নেয়।
উপরের ছবিতে আপনারা রেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম দেখতে পাচ্ছেন। প্লাটফর্মে বেশ কিছু যাত্রী ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছে। আমাদের শহরের এই রেল স্টেশনটার একটা সমস্যা হচ্ছে এটা পুরোপুরি খোলামেলা। এখানে যে কেউ যেকোনো সময় ঢুকে যেতে পারে। যার ফলে বাইরের হকার এবং ভিক্ষুকরা প্ল্যাটফর্মে এসে যাত্রীদেরকে অনেক বিরক্ত করে।
উপরের ছবি দুটোতে আপনারা চিংড়ি মাছ এবং লইটটা মাছ দেখতে পাচ্ছেন। চিংড়ি মাছ তো বাংলাদেশের সমস্ত মাছ বাজারে একটা কমন মাছ। তবে আমাদের শহরের মাছ বাজারে ইদানিং খেয়াল করে দেখেছি। বেশ কিছু সামুদ্রিক মাছ পাওয়া যাচ্ছে। শহরের মানুষের টেস্ট অনেক পরিবর্তন হয়েছে মনে হচ্ছে। কারণ একটা সময় আমাদের শহরের মাছ বাজারে এই ধরনের মাছ একেবারেই দেখা যেতো না। তবে উপরের ছবিটাতে আপনারা যে চিংড়িটা দেখতে পাচ্ছেন এটা সম্ভবত গলদা চিংড়ি। সেদিন বাজারে বেশ ভালো সাইজের গলদা চিংড়ি উঠেছিলো।
উপরের ছবিতে আপনারা একজন হকার কে ড্রাগন ফল বিক্রি করা দেখতে পাচ্ছেন। আমাদের শহরে এবছর খেয়াল করে দেখেছি রাস্তাঘাটে বিভিন্ন জায়গায় হকাররা ড্রাগন ফল বিক্রি করছে। দেখে মনে হচ্ছে শহরের আশেপাশে প্রচুর ড্রাগন ফলের চাষ হয়েছে। বাজারে প্রচুর ড্রাগন ফল আসার কারণে ড্রাগন ফলের দামও অনেক কমে গিয়েছে। দুই তিন বছর আগেও আমাদের শহরে ড্রাগন ফল ৪০০ ৫০০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হোতো। এবার ১০০/১৫০ টাকা হলেই ভালো মানের ড্রাগন ফল পাওয়া যাচ্ছে।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
| ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
|---|---|
| ফটোগ্রাফার | @rupok |
| স্থান | ফরিদপুর |

| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness

OR









Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে আমরা যারা ব্লগিং করি, তাদের তো ফটোগ্রাফি করাটা এক ধরনের নেশা হয়ে গিয়েছে। বাহিরে গিয়ে সুন্দর কিছু দেখলেই ফটোগ্রাফি করতে ইচ্ছে করে। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। বিশেষ করে রেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম এবং চিংড়ি মাছের ফটোগ্রাফি দুটি সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বেশ সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি দেখলাম আপনার পোস্টের মাধ্যমে। আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া এখনকার মোবইল গুলোতে অনেক জায়গা থাকে। তবে আজ কিন্তু আপনার পোস্ট দেখে ফরিদপুর জেলার কিছু সুন্দর সুন্দর জায়গা দেখা হয়ে গেল। ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আসলে আমরা যখন ফটোগ্রাফি গুলো ক্যামেরায় বন্দি করে শেয়ার করি তখন মনে হয় আমরা যে পোস্ট করি তার মধ্যে ফটোগ্রাফি পোস্ট হচ্ছে সবচেয়ে সহজ। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে যে ফটোগ্রাফিগুলো করা হয় এগুলো ঠিকমতো ক্যামেরায় ধারণ করা এবং এগুলো সম্পর্কে বর্ণনা করা আসলেই আমার কাছে অনেক কঠিন মনে হয়। ভাইয়া আপনার বিভিন্ন জিনিসের করা ফটোগ্রাফিগুলো আমার কাছে বেশ সুন্দর লাগছে। তবে আপনি রেল স্টেশনের যে ফটোগ্রাফিগুলো শেয়ার করেছেন সেগুলো থেকে ফরিদপুর রেল স্টেশনের কিছুটা ধারণা পেয়ে গেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
ফরিদপুরো রেলওয়ে স্টেশন বেশ কয়েকবার দেখেছি এই রুট দিয়ে যাতায়াত করার জন্য। কিন্তু কখনও নেমে বাইরে থেকে এভাবে দেখার সৌভাগ্য হয়নি। স্টেশন এর অন্য ছবি গুলো বেশ ভালো লাগছে। চিংড়ি মাছটা বেশ আকর্ষণীয় লাগছে। বেশ চমৎকার করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো ভাই। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।এই রেনডম ফটোগ্রাফির মধ্যে আমরা বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি উপভোগ করতে পারি।আপনার তোলা সব গুলো ফটোগ্রাফি দারুণ হয়েছে। ধন্যবাদ ভাই পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন ভাইয়া, যেগুলো দেখতে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। রেলস্টেশন থেকে তোলা ফটোগ্রাফি গুলো ও দেখতে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। বড় বড় চিংড়ি মাছ গুলো দেখতে তো অনেক সুন্দর লাগছে। মাছের ফটোগ্রাফিও আপনি অনেক বেশি সুন্দর ভাবে করেছেন। আর ড্রাগন ফলের ফটোগ্রাফি দেখতেও খুব ভালো লেগেছে। খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেন আপনি।