বেশ কিছুদিন পর বন্ধু ফেরদৌসের সাথে ঘোরাফেরার অভিজ্ঞতা (দ্বিতীয় পর্ব)।

in আমার বাংলা ব্লগlast year

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


যখন রাস্তার শেষ মাথায় গিয়ে ঠিক নদীর পাড়ে দাঁড়ালাম। তখন মুগ্ধ বিষয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে রইলাম। কারন আমি যতবারই এই নদীর পাড়ে এসেছি তখনই এখানে পানি কম দেখেছি। এর আগে কখনোই আমার বর্ষা মৌসুমে এই নদীর পাড়ে আসা হয়নি। যদিও অনেকদিন থেকেই ইচ্ছা ছিল বর্ষা মৌসুমে এই নদীর চেহারা কেমন দেখায় সেটা দেখার। দেখলাম সেই ছোট্ট সরু খাল বেশ বড় নদীতে পরিণত হয়েছে। সেখানে গিয়ে বেশ কয়েকটি ছবি তুললাম। তারপর আমি আর ফেরদৌস দুজন সেখানে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ গল্প করলাম।

IMG_20230827_164050.jpg

আমরা আলাপ করছিলাম ইটের রাস্তা থেকে আগেকার মাটির রাস্তাটাই ভালো ছিল। দেশের সমস্ত এলাকার রাস্তাঘাট বদলে যাচ্ছে। তবে আমাদের কাছে গ্রামীণ রাস্তাঘাট গুলো পুরোপুরি পরিবর্তন না হলেই ভালো লাগে। কারণ সব রাস্তা যদি শহরের মতো পাকা রাস্তা হয়ে যায় তখন গ্রামের সেই সৌন্দর্যটা আর থাকে না। আমরা যেখানে গিয়েছিলাম সেই গ্রামটি অনেকটা ভেতরের দিকে। বলতে গেলে প্রত্যন্ত অঞ্চল বলা যায়। সেখানেও রাস্তাঘাটের উন্নয়ন দেখে কিছুটা অবাক হলাম। সেখানে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে আমরা অন্যদিকে যেতে লাগলাম। তেমন কোন নির্দিষ্ট জায়গায় নয় আমরা গ্রামের ভেতরেই বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করছিলাম। উদ্দেশ্য ছিল বিকালের মনোরম পরিবেশে গ্রামীণ সৌন্দর্য অবলোকন করা।


IMG_20230827_163751.jpg

তবে যেখানেই যাচ্ছিলাম দেখতে পাচ্ছিলাম ফসলের মাঠগুলো পানিতে ডুবে বিল সৃষ্টি হয়েছে। দৃশ্যগুলো দেখতে দারুন লাগছিলো। বিল গুলো দেখে আমি আর ফেরদৌস বলাবলি করছিলাম যে এখানে নৌকায় করে বিকালে ঘুরতে পারলে অনেক ভালো লাগতো। তাছাড়া বিকালের সময়টাতে গ্রামের রাস্তাঘাট দিয়ে ঘুরতে আমার কাছে বরাবরই ভালো লাগে। বেশ কিছুক্ষণ এভাবে উদ্দেশ্যহীন ঘোরাফেরার পরে আসরের নামাজের সময় হয়ে গেলো। আমি মনে মনে একটি মসজিদ খুঁজছিলাম। তবে এর ভেতরে হঠাৎ করে রাস্তার পাশে আমরা একটি ভাজাপোড়া দোকান দেখতে পেলাম। এই দোকানটি দেখে আমাদের কয়েক মাস আগের কথা মনে পড়ে গেলো। কারণ আমরা তখন হঠাৎ করে লোকালয়ের ভেতরে এমন দোকান দেখে কিছুটা অবাক হয়েছিলাম।


IMG_20230827_163743.jpg

এটা কোন অন্য দোকানগুলোর মত কোন দোকান নয়। একটি বাড়ির সামনে সেই বাড়ির লোকেরা দোকানটি দিয়েছে। দোকানটি দেখে আমি আর ফেরদৌস সেখানে থাকলাম ভাজাপোড়া খাওয়ার জন্য। তবে থামার পরে দোকানদার বলল তাদের খাবার এখনো প্রস্তুত হয়নি। আরো বেশ কিছুটা সময় লাগবে খাবার প্রস্তুত হতে। এদিকে নামাজের সময় হয়ে গিয়েছে। তাই আমি ফেরদৌসকে চললাম চলো আমরা সামনের দিকে আগাতে থাকি। এভাবে বেশ কিছুদুর আগানোর পর একটি মসজিদ দেখতে পেলাম। তারপর ফেরদৌসকে সেখানে মোটরসাইকেল থামাতে বলে আমরা দুজন সেখানে নামাজ আদায় করলাম। তারপর আমরা আবার শহরের দিকে ফিরতে লাগলাম। (চলবে)


IMG_20230827_163625.jpg

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসহুয়াই নোভা 2i
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানফরিদপুর

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

ভাইয়া এটা খুব সত্যি কথা ই বলেছেন গ্রামের রাস্তা ও যদি শহরের মতো হয় তবে গ্রামের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। গ্রাম গ্রামের মতো না থাকলে আসলে ভালো লাগে না।আপনারা নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে কিছু সময় গল্প করলেন।নদীতে পানি ভরপুর দেখে খুব ভালো লাগলো। একটি ভাজাপোড়ার দোকান দেখে সামনে গেলেন কিন্ত তখনও খাবার রেডি হয়নি।তাই আপনারা দুজন কিছুটা এগিয়ে গিয়ে মসজিদে আছরের নামাজ আদায় করলেন।আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর লেগেছে।ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।

 last year 

এখন আর গ্রামের রাস্তা মাটির রাস্তা নেই। সব রাস্তা গুলো কে যেন পাকা রাস্তা করে ফেলছে। বেশ অসাধারন আপনাদের এই বিলের দৃশ্য গুলো। বর্ষাকালে গ্রামের নিচু জায়গাগুলো যখন পানিতে ভরাট হয়ে যায় ঠিক তখন সেই বিলের দৃশ্যগুলো কিন্তু অপরূপ রূপে সজ্জিত হয়। আমার কিন্তু বর্ষাকালের এমন দৃশ্য বেশ ভালো লাগে। ইস্ আমার যদি ফেরদৌস ভাইয়ের মত একজন বান্ধবী থাকতো।

 last year 

ভাইয়া আপনাদের ঘুরাঘুরির যে রাস্তাটা দেখলাম সেটা তো একেবারে বিলের মাঝখান দিয়ে যাচ্ছে। বর্ষা চলে গেলে হয়তো মূল রাস্তাটা পানির নিচ থেকে বের হয়ে আসবে। এত প্রত্যন্ত এলাকায় রাস্তা নির্মান দেখে আমিও আপনাদের মত অবাক হচ্ছি। আপনাদের দুুই বন্ধু ভালই ঘোরাঘুরি করছেন। সেই সাথে বিভিন্ন জিনিষ খাওয়া দাওয়া করছেন। গ্রামীন পরিবেশে ঘুরলে মনটা অনেক ফ্রেশ হয়। ধন্যবাদ।

 last year 

ভাই বাংলাদেশ তো উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে। মাটির রাস্তাঘাট এখন পাকা হয়ে যাচ্ছে। বাহিরের দেশ থেকে ঋণ নিয়ে হোক, আর যেভাবেই হোক রাস্তা ঘাট উন্নত করতেই হবে। দেশের সামগ্রিক অবস্থা দেখার সময় নেই তাদের। যাইহোক বর্ষাকালে ফসলের ক্ষেতগুলোও একেবারে বিলে পরিণত হয়। চারিদিকে পানি থৈ থৈ করে,যা দেখতে সত্যিই দারুণ লাগে। এমন জায়গায় বিকেলে নৌকা দিয়ে ঘুরতে সত্যিই খুব ভালো লাগে। সবমিলিয়ে চমৎকার সময় কাটালেন সেখানে।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 59378.58
ETH 2646.25
USDT 1.00
SBD 2.46