নিজের জন্য ঈদ শপিং ও মেয়ের জন্য বাজি কেনা (শেষ পর্ব)।

in আমার বাংলা ব্লগ3 months ago

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


ইজির শোরুম থেকে বের হয়ে আমি রওনা দিলাম স্যান্ডেলের দোকানের উদ্দেশ্যে। কয়েকদিন আগে আমি স্টেপের শোরুমে নিজের জন্য একটা স্যান্ডেল পছন্দ করেছিলাম। চিন্তা করেছিলাম ঈদের দু একদিন আগে স্যান্ডেলটা কিনবো। মূলত সেই উদ্দেশ্যেই আমি স্টেপের শো রুমের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম। কিন্তু পথের মধ্যে ফরিদপুর নিউমার্কেটের কাছে আসতেই আমার মনে পড়লো আমার মেয়ে চাঁদ রাতে বাজি পোড়াতে চেয়েছে। তাই তার জন্য বাজি কিনতে বলেছে। আমি বাজি কেনার জন্য ফরিদপুর নিউমার্কেটে প্রবেশ করলাম। কিন্তু ফরিদপুরে বাজি ক্রয় বিক্রয় এবং ফোটানোর উপর প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে মার্কেটের ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্যে বাজি বিক্রি করে না। তবে শুনেছিলাম গোপনে দু চারজন ব্যবসায়ী বাজি বিক্রি করেন।

IMG_20240410_180441.jpg

IMG_20240410_180415.jpg

যখন মার্কেটে প্রবেশ করে কয়েকজন দোকানদারের কাছে জিজ্ঞেস করলাম তারা সরাসরি অস্বীকার করলো। পরবর্তীতে আমি খোঁজাখুঁজি করতে করতে একটি দোকানের সামনে কয়েকজন লোক দাঁড়ানো দেখতে পেলাম। দেখতে পেলাম সেই দোকানে বাজি বিক্রি করা হচ্ছে। তারপর আমি সেখান থেকে আমার মেয়ের জন্য কিছু বাজি কিনলাম। বাজি কেনা হয়ে গেলে আমি রওনা দিলাম আবার স্টেপের শো রুমের উদ্দেশ্যে। যখন স্টেপের শোরুমের সামনে পৌঁছেছি সেখানে দেখতে পেলাম আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু দাঁড়িয়ে রয়েছে। ওর সাথে তার আগের দিন আমার ফোনে কথা হয়েছিলো। ফরিদপুরে কবে আসবে সেটা জানার জন্য ওকে আমি ফোন দিয়েছিলাম। আমার সেই বন্ধু খুবই আড্ডা প্রিয় মানুষ। আমাকে পেয়ে সেখানেই আমার সাথে গল্প জুড়ে দিলো। গল্পের ভিতর ও জানালো পলাশ নামের আরও এক বন্ধু সেখানে আসছে।


IMG_20240410_180343.jpg

IMG_20240410_180406.jpg

শুনে আমি চিন্তা করলাম তাহলে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করি। পলাশের সাথেও আমার দীর্ঘদিন দেখা হয় না। পলাশ এলে তিন বন্ধু মিলে কিছুক্ষণ গল্প করা যাবে। এদিকে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরও যখন দেখলাম পলাশ আসছেনা। তখন আমি আমার সেই বন্ধুকে প্রস্তাব দিলাম পলাশ আসার আগে আমি একটা কাজ সেরে নেই। ও যখন জিজ্ঞেস করল কি কাজ? আমি তখন বললাম স্টেপের এই শোরুমটা থেকে আমি এক জোড়া স্যান্ডেল কিনবো। তখন ও আমার সাথে স্টেপের শো রুমে প্রবেশ করলো। যেহেতু স্যান্ডেল আমি আগে থেকেই পছন্দ করেছিলাম তাই স্যান্ডেল কিনতে আমাদের বেশি সময় লাগেনি। মাত্র কয়েক মিনিটের ভেতরেই স্যান্ডেল কিনে বিল পরিশোধ করে আবার বাইরে এসে দাঁড়ালাম।


IMG_20240410_180425.jpg

IMG_20240410_180506.jpg

বাইরে এসে দাঁড়াতেই দেখতে পেলাম পলাশ তার স্ত্রী সহ অটো রিক্সা থেকে নামছে। তারপর তিন বন্ধু আর পলাশের স্ত্রী মিলে আমরা সেখানে দাঁড়িয়ে বেশ কিছুক্ষণ গল্পগুজব করলাম। গল্প করতে করতে একসময় জোহরের আজান শুনতে পেলাম। যোহরের আজান হয়ে যাওয়ার পর আমি ওদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ির পথে রওনা দিলাম। তবে বিদায় নেয়ার আগেই আমরা পরিকল্পনা করেছি তারপরে যে কোন একদিন এক জায়গায় বসে আড্ডা দিবো। সেই পরিকল্পনা করে আমি বাড়ির দিকে ফিরতে লাগলাম।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসHONOR 90
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানফরিদপুর

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 3 months ago 

চাঁদ রাতে বাচ্চারা বাজি পোড়াতে খুব পছন্দ করে। একসময় আমরাও অনেক বাজি পুড়িয়েছি। যাইহোক স্যান্ডেল আগে থেকে পছন্দ করা ছিলো বলে খুব সুবিধা হয়েছে। তাইতো একেবারে অল্প সময়ে কিনতে পেরেছেন। নয়তোবা ঘুরাঘুরি করে সময় নষ্ট হতো অনেক। কেনাকাটা করে এবং বন্ধুদের সাথে গল্প গুজব করে সময়টা বেশ ভালোই কেটেছিল আপনার। যাইহোক এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 months ago 

ঈদ উপলক্ষে এক জোড়া স্যান্ডেল কেনার পাশাপাশি বাবুর জন্য বাজি কিনতে ফরিদপুর নিউমার্কেটে উপস্থিত হয়েছেন। তবে এই বাজি ফোটানো বিষয়ে সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকে এবং পুলিশের ধর বাধা থেকে থাকে। এইজন্য যে সমস্ত দোকানগুলোতে বিক্রয় করছে জেনে উপস্থিত হয়েছেন তবে সেখানে তারা কিন্তু মুখ খুলতে চাইনি। অতঃপর এক দোকান থেকে নিয়েছেন। তবে একটা বিষয় কি ভাইয়া বাজি ফোটাতে বা পড়াতে ভালো লাগে কিন্তু অন্যান্যরা এই শব্দ মোটেও পছন্দ করেনা। তবে যাই হোক ছোটদের আনন্দ বলে কথা। তবে এই দিকে খেয়াল রাখতে হবে যেন কোন প্রকার দুর্ঘটনা শিকার না হয় বাজি পোড়াতে গিয়ে। যাইহোক বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার সুন্দর পোস্ট পড়ে। কিছুটা সময়ের জন্য যেন ছোটবেলার সেই ঈদ আনন্দের স্মৃতি মনের মধ্যে ভেসে আসলো, আর ভালোলাগা এক অনুভূতি খুঁজে পেলাম।

 3 months ago 

এখন দাদা কোন জায়গাতেই প্রকাশ্যে বাজি বিক্রি হয় না, সব জায়গায় লুকিয়ে বিক্রি হয়। তবে মার্কেট করতে গিয়ে আপনার সাথে যে আপনার দুই বন্ধুর সাথে দেখা হল, এটা জেনে অনেক ভালো লাগলো। তাছাড়া, আপনারা কিছু সময় আড্ডা দিয়েছেন, গল্প করেছেন, এটা তো বেশ আনন্দের বিষয়। যাইহোক, সব মিলিয়ে আপনার ঈদ শপিং করার টুকটাক অভিজ্ঞতা জেনে অনেক বেশি ভালো লাগলো দাদা।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 64573.45
ETH 3441.06
USDT 1.00
SBD 2.51