ঢাকায় গিয়ে পরিবার নিয়ে বড় আপুর সাথে ঘোরাফেরা ও খাওয়া-দাওয়া ( তৃতীয় পর্ব)।
আমার মেয়ে সেখানে গিয়ে বেশ খুশি হয়ে গেলো। তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম কোন রাইডে চড়তে চাও? সাথে তাকে এটাও বলে দিলাম আমাদের কিন্তু এখানে বেশি সময় নষ্ট করা যাবে না। কারণ এখান থেকে আমাদের বাসায় ফিরতে অনেক সময় লেগে যাবে। আমার মাথায় তখন কাজের টেনশন কাজ করছিলো। সেদিন দাদার সাথে আমার একটা মিটিং ছিলো। আমি চাচ্ছিলাম মিটিং এর আগে যাতে বাসায় পৌঁছাতে পারি। আর রাস্তাঘাটের যে অবস্থা দেখেছি তাতে বাসায় ফিরতে কত সময় লাগবে সেটা নিয়েও কিছুটা দুশ্চিন্তায় ছিলাম। যাইহোক সেখানে গিয়ে প্রথমে মেয়েকে একটি রাইডে উঠালাম। সেই রাইডে চড়তে পেরে আমার মেয়ে বেশ খুশি হোলো। তখন তাকে বললাম এখন চলো আমরা চলে যাই। কিন্তু তার মুখের ভাব দেখে বুঝতে পারলাম সে যাওয়ার জন্য মোটেই প্রস্তুত নয়। সে অন্য আরও রাইডে চড়তে চায়। তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম কোন রাইডে চড়বে? সে আমাকে সেখানে থাকা ট্রাম্পোলিন দেখিয়ে বললো সেখানে গিয়ে লাফালাফি করতে চায়। তবে সেখানে আরো বেশ কিছু বাচ্চাকাচ্চা দেখে আমি তাকে যেতে নিষেধ করলাম। কারন অনেকগুলো বাচ্চা একসাথে হলে লাফালাফি করতে গিয়ে অনেক সময় আঘাত পায়।
তখন আমি তাকে বললাম এই রাইড বাদ দিয়ে দেখো অন্য কোন রাইডে উঠতে চাও কিনা? শেষ পর্যন্ত দূরে আরও একটি রাইড ছিলো সেটি দেখে আমাকে বলল সে এই রাইডটাতে চড়তে চায়। সেই রাইড টার নাম আমার জানা নেই। বাতাস দিয়ে ফোলানো এক ধরনের রাবারের স্ট্রাকচার। যেটাতে বাচ্চারা উপর থেকে উঠে স্লাইড করে নিচে নামছিলো। তখন আমি তাকে টিকিট কিনে দিলাম। কিন্তু সেখানে দেখতে পেলাম বেশ কিছু বাচ্চা হুড়োহুড়ি করে খেলাধুলা করছে। আমার মেয়ে আবার হৈচৈ খুব একটা বেশি পছন্দ করে না। তাছাড়া সে বেশি ভিড় থাকলে সেখানে যেতেও চায় না। টিকেট কাটার পরে সে বলল আমি এটাই চড়বো না। শুধু শুধু আমার টিকেটের টাকাটা নষ্ট হোলো। সেই রাইড থেকে নেমে আসার পরে মেয়েকে বললাম এখন আমাদেরকে যেতে হবে। আর সময় দেয়া সম্ভব না। এই কথা বলে মেয়েকে নিয়ে আমি আবার আপুর গাড়ির কাছে ফিরে এলাম।
সেখানে আমরা আসতেই সবাই মিলে গাড়িতে উঠে রওনা দিলাম। গাড়ি কিছুদূর যাওয়ার পর আমার দুলাভাই বলতে লাগলো বাণিজ্য মেলা কিন্তু এখান থেকে খুবই কাছে। যেহেতু তোমরা এতদূর এসেছো তাই বাণিজ্য মেলা থেকে ঘুরে যাও। তখন আমি আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম বাণিজ্য মেলায় যেতে চাই কিনা? তবে সে শারীরিকভাবে কিছুটা অস্বস্তি বোধ করছিলো। আমরা বেশ কিছুক্ষণ দোটানায় ভুগলাম। একবার তার মুখ দেখে মনে হচ্ছিল সে যেতে চায় আবার মনে হচ্ছিল যাওয়ার জন্য খুব একটা আগ্রহী নয়। শেষ পর্যন্ত এভাবে কিছুক্ষণ কাটার পর আমরা সবাই বাণিজ্য মেলার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আমরা যেখানে ছিলাম সেখান থেকে বাণিজ্য মেলা দূরত্ব ছিল খুবই সামান্য। যার ফলে আমরা অল্প সময়ে বাণিজ্য মেলা গেটের কাছে পৌঁছে গেলাম। (চলবে)।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ৩০০ ফিট |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে এমন জায়গায় গিয়ে বাচ্চাদেরকে রাইডে না চড়ালে, তাদের মুখের দিকে তাকানো যায় না। যাইহোক আপনার মেয়ে রাইডে চড়ে অবশেষে বেশ খুশি হয়েছিল তাহলে। ঢাকা শহরে জ্যামের জন্য কোনো কিছুই সময়মতো করা যায় না। বাণিজ্য মেলার দূরত্ব সেখান থেকে খুবই অল্প, তাই আপনারা খুব ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাণিজ্য মেলায় প্রবেশ করার। যাইহোক পরবর্তী পর্বে তাহলে বাণিজ্য মেলায় ঘুরাঘুরি করার গল্প জানতে পারবো। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।