ঢাকায় গিয়ে পরিবার নিয়ে বড় আপুর সাথে ঘোরাফেরা ও খাওয়া-দাওয়া ( তৃতীয় পর্ব)।

in আমার বাংলা ব্লগ6 months ago

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারলাম অবস্থা খুব একটা সুবিধার না। যে কোন সময় সে বাসায় ফেরার জন্য গো ধরবে। ভাব গতিক সুবিধার না দেখে আমি তাকে বোঝাবার চেষ্টা করলাম যে এখান থেকে রাইডগুলো অনেকটা দূরে। সেখানে গেলে আমাদের ফিরতে সমস্যা হতে পারে। তবে সে কোন কথাতেই কর্ণপাত করছিলো না। বুঝতে পারলাম যে কথা বলে লাভ হবে না। তখন শেষ পর্যন্ত তাকে নিয়ে রওনা দিলাম সেই রাইডগুলোর উদ্দেশ্যে। বাচ্চাদের সেই রাইডগুলো ছিল কিছুটা দূরে। সেখানে হেটে যেতে আমাদের পাঁচ ছয় মিনিট মতো সময় লেগেছিলো। দূর থেকে যদিও দেখে মনে হচ্ছিল সেখানে কোন মেলা বসেছে। কাছে গিয়ে দেখলাম আসলে তেমন কিছু না। বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকটি রাইড বসানো হয়েছে যেগুলোতে বাচ্চারা বেশ আগ্রহ নিয়ে চড়ছে রাইডগুলোর আশেপাশে বিভিন্ন কালারের লাইটিং করার জন্য দূর থেকে জায়গাটা দেখতে ভালো লাগছিলো।

IMG_20240202_190706.jpg

আমার মেয়ে সেখানে গিয়ে বেশ খুশি হয়ে গেলো। তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম কোন রাইডে চড়তে চাও? সাথে তাকে এটাও বলে দিলাম আমাদের কিন্তু এখানে বেশি সময় নষ্ট করা যাবে না। কারণ এখান থেকে আমাদের বাসায় ফিরতে অনেক সময় লেগে যাবে। আমার মাথায় তখন কাজের টেনশন কাজ করছিলো। সেদিন দাদার সাথে আমার একটা মিটিং ছিলো। আমি চাচ্ছিলাম মিটিং এর আগে যাতে বাসায় পৌঁছাতে পারি। আর রাস্তাঘাটের যে অবস্থা দেখেছি তাতে বাসায় ফিরতে কত সময় লাগবে সেটা নিয়েও কিছুটা দুশ্চিন্তায় ছিলাম। যাইহোক সেখানে গিয়ে প্রথমে মেয়েকে একটি রাইডে উঠালাম। সেই রাইডে চড়তে পেরে আমার মেয়ে বেশ খুশি হোলো। তখন তাকে বললাম এখন চলো আমরা চলে যাই। কিন্তু তার মুখের ভাব দেখে বুঝতে পারলাম সে যাওয়ার জন্য মোটেই প্রস্তুত নয়। সে অন্য আরও রাইডে চড়তে চায়। তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম কোন রাইডে চড়বে? সে আমাকে সেখানে থাকা ট্রাম্পোলিন দেখিয়ে বললো সেখানে গিয়ে লাফালাফি করতে চায়। তবে সেখানে আরো বেশ কিছু বাচ্চাকাচ্চা দেখে আমি তাকে যেতে নিষেধ করলাম। কারন অনেকগুলো বাচ্চা একসাথে হলে লাফালাফি করতে গিয়ে অনেক সময় আঘাত পায়।


IMG_20240202_190652.jpg

তখন আমি তাকে বললাম এই রাইড বাদ দিয়ে দেখো অন্য কোন রাইডে উঠতে চাও কিনা? শেষ পর্যন্ত দূরে আরও একটি রাইড ছিলো সেটি দেখে আমাকে বলল সে এই রাইডটাতে চড়তে চায়। সেই রাইড টার নাম আমার জানা নেই। বাতাস দিয়ে ফোলানো এক ধরনের রাবারের স্ট্রাকচার। যেটাতে বাচ্চারা উপর থেকে উঠে স্লাইড করে নিচে নামছিলো। তখন আমি তাকে টিকিট কিনে দিলাম। কিন্তু সেখানে দেখতে পেলাম বেশ কিছু বাচ্চা হুড়োহুড়ি করে খেলাধুলা করছে। আমার মেয়ে আবার হৈচৈ খুব একটা বেশি পছন্দ করে না। তাছাড়া সে বেশি ভিড় থাকলে সেখানে যেতেও চায় না। টিকেট কাটার পরে সে বলল আমি এটাই চড়বো না। শুধু শুধু আমার টিকেটের টাকাটা নষ্ট হোলো। সেই রাইড থেকে নেমে আসার পরে মেয়েকে বললাম এখন আমাদেরকে যেতে হবে। আর সময় দেয়া সম্ভব না। এই কথা বলে মেয়েকে নিয়ে আমি আবার আপুর গাড়ির কাছে ফিরে এলাম।


IMG_20240202_190638.jpg

সেখানে আমরা আসতেই সবাই মিলে গাড়িতে উঠে রওনা দিলাম। গাড়ি কিছুদূর যাওয়ার পর আমার দুলাভাই বলতে লাগলো বাণিজ্য মেলা কিন্তু এখান থেকে খুবই কাছে। যেহেতু তোমরা এতদূর এসেছো তাই বাণিজ্য মেলা থেকে ঘুরে যাও। তখন আমি আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম বাণিজ্য মেলায় যেতে চাই কিনা? তবে সে শারীরিকভাবে কিছুটা অস্বস্তি বোধ করছিলো। আমরা বেশ কিছুক্ষণ দোটানায় ভুগলাম। একবার তার মুখ দেখে মনে হচ্ছিল সে যেতে চায় আবার মনে হচ্ছিল যাওয়ার জন্য খুব একটা আগ্রহী নয়। শেষ পর্যন্ত এভাবে কিছুক্ষণ কাটার পর আমরা সবাই বাণিজ্য মেলার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আমরা যেখানে ছিলাম সেখান থেকে বাণিজ্য মেলা দূরত্ব ছিল খুবই সামান্য। যার ফলে আমরা অল্প সময়ে বাণিজ্য মেলা গেটের কাছে পৌঁছে গেলাম। (চলবে)।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসহুয়াই নোভা 2i
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থান৩০০ ফিট

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 6 months ago 

আসলে এমন জায়গায় গিয়ে বাচ্চাদেরকে রাইডে না চড়ালে, তাদের মুখের দিকে তাকানো যায় না। যাইহোক আপনার মেয়ে রাইডে চড়ে অবশেষে বেশ খুশি হয়েছিল তাহলে। ঢাকা শহরে জ্যামের জন্য কোনো কিছুই সময়মতো করা যায় না। বাণিজ্য মেলার দূরত্ব সেখান থেকে খুবই অল্প, তাই আপনারা খুব ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাণিজ্য মেলায় প্রবেশ করার। যাইহোক পরবর্তী পর্বে তাহলে বাণিজ্য মেলায় ঘুরাঘুরি করার গল্প জানতে পারবো। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 61228.86
ETH 2663.22
USDT 1.00
SBD 2.54