খেলা দেখতে গিয়ে স্টেডিয়াম থেকে হতাশ হয়ে বাড়ি ফেরা।
অনেকদিন ধরে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে আমাদের লোকাল একটি খবর ভেসে বেড়াতে দেখছিলাম। সেটা হচ্ছে ফরিদপুর স্টেডিয়ামে একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ফরিদপুর ফুটবল দল বনাম ব্যারিস্টার সুমনের ফুটবল ক্লাবের ভেতরে। ব্যারিস্টার সুমন কে সেটা বাংলাদেশি আপনারা যারা আছেন আশা করি তারা ভালোভাবেই জানেন। তিনি পেশায় একজন আইনজীবী সাথে একজন ইউটিউবার। তিনি নানা রকম জনকল্যাণমূলক কাজ করে থাকেন।
এই প্রীতি ফুটবল ম্যাচ আয়োজনের মূল কারণ হচ্ছে ফরিদপুরের কৃতি সন্তান মোরসালিন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের পক্ষ হয়ে অত্যন্ত ভালো পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেছে। তাই ফরিদপুর জেলা প্রশাসক তাকে সংবর্ধনা দেয়ার জন্য এই ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করেছেন। দীর্ঘদিন ফরিদপুর স্টেডিয়ামে তেমন কোন খেলা হয় না। সেই কারণে স্টেডিয়ামে যাওয়াও হয় না। তাই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট থেকে এই খবরটি দেখে আগে থেকেই চিন্তা করে রেখেছিলাম খেলাটি দেখতে যাবো। যদিও ক্রিকেট বাংলাদেশের সবচাইতে জনপ্রিয় খেলা। কিন্তু এখনো সবচাইতে বেশি মানুষ ফুটবল খেলা দেখার জন্য স্টেডিয়ামে যায়।
কিন্তু খেলার দিন সকাল থেকেই আকাশ কালো হয়ে ছিলো। দেখে মনে হচ্ছিল যে কোন সময় বৃষ্টি শুরু হবে। সকালের দিকে এক পশলা বৃষ্টি হয়েও গেল। তারপর আবহাওয়া কিছুটা ভাল হয়েছিলো। তখন মনে করেছিলাম আপাতত এখন আর কোন সমস্যা নেই। এখন খেলা দেখতে যাওয়া যাবে। খেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল তিনটার দিকে। যদিও আমি জানি এই সমস্ত খেলা শুরু হতে দেরি হয়। খেলা কখন শুরু হবে এটা জানার জন্য আমি আমার খালাতো ভাই লাবিবকে ফোন দিয়েছিলাম। ও জানিয়েছিল আমাকে ও ওর বন্ধুবান্ধবদের সাথে খেলা দেখতে যাবে। তাই চিন্তা করলাম ওর কাছ থেকেই জেনে নিই খেলা শুরু হয়েছে কিনা। আমি ওকে যখন ফোন দিলাম তখন বাজে বেলা সাড়ে তিনটা।
ও আমাকে জানালো এখনো খেলা শুরু হয়নি। কিছুক্ষণের ভেতরেই খেলা শুরু হয়ে যাবে। আমি তখন ওকে জিজ্ঞেস করলাম স্টেডিয়ামে লোকসমাগম কেমন হয়েছে। ও জানালো প্রায় পুরো স্টেডিয়াম ভরে গিয়েছে। ওরা তখন যে গ্যালারিতে ছিলো সেই গ্যালারিতে নাকি সামান্য জায়গা ফাঁকা ছিলো। তাই আমাকে বলল তাড়াতাড়ি আসলে এখনো জায়গা পেতে পারো। আমার অবশ্য যেতে ইচ্ছে করছিলো। কিন্তু আগের রাত্রে ঘুম ভালোমতো না হওয়ায় প্রচন্ড ঘুম আসছিল। তাই আমি চিন্তা করলাম আধা ঘন্টা ঘুমিয়ে তারপর স্টেডিয়ামে যাই। যাই হোক আধা ঘন্টা পর ঘুম থেকে উঠে আমি স্টেডিয়ামে রওনা দিলাম।
কিন্তু স্টেডিয়ামে গিয়ে যে দৃশ্য আমি দেখলাম সেটার জন্য একেবারেই প্রস্তুত ছিলাম না। স্টেডিয়ামে আমার যাতায়াত অনেক আগে থেকে। একসময় আমি নিজেও খেলাধুলার সাথে সামান্য জড়িতো ছিলাম। কিন্তু আমি আমার জীবনেও ফরিদপুর স্টেডিয়ামে কখনো এত লোক দেখিনি। স্টেডিয়ামের গ্যালারি তো দূরের কথা স্টেডিয়ামে ঢোকার রাস্তাতেও পা ফেলার জায়গা ছিল না। আমি বেশ কিছুক্ষণ পর স্টেডিয়ামের গেটের ভেতরে ঢুকে গ্যালারিতে জায়গা পাওয়ার চেষ্টা করতে লাগলাম। আর চিন্তা করছিলাম কোনভাবে ভিতরে জায়গা পাওয়া যাবে কিনা। কিছুক্ষণ চেষ্টা করার পর যখন গ্যালারিতে জায়গা পেলাম না তখন সেখান থেকে ফিরে চলে এলাম। সেখানে এতটাই ভিড় ছিল যে ভালোভাবে ছবি পর্যন্ত তুলতে পারিনি। এই পোস্টে যে ছবিগুলো ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো লাবিবের কাছ থেকে নেওয়া। শেষ পর্যন্ত খেলাটি না দেখতে পেরে হতাশ হয়ে বাড়িতে ফিরে এলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
| ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | স্যামসাং |
|---|---|
| ফটোগ্রাফার | @rupok |
| স্থান | ফরিদপুর স্টেডিয়াম |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
এরকম ঘটনার অনেকগুলো আমিও সাক্ষী হয়েছি। এমন পরিস্থিতি দ্বারায় সেখানে খেলাধুলার উপভোগ করার পাশাপাশি বিরক্তিবোধই বেশি হয়। যাই হোক অনেক লোকের সমাগম হয়েছিল বিশেষ করে মুরসালিনের কারণেই এত লোক জমায়েত হয়েছে ।আর ফুটবল খেলা মানুষের কাছে খুবই প্রিয় সেই মুহূর্তের দৃশ্য দেখে ভালো লাগলো।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.