পরিবার নিয়ে বাইরে টুকিটাকি কেনাকাটা করা ও খাওয়া দাওয়ার গল্প ( শেষ পর্ব)।

in আমার বাংলা ব্লগ11 months ago

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


আমি যখনই পরিবার নিয়ে বাইরে খাওয়া দাওয়া করার পরিকল্পনা করি। তখন চেষ্টা করি আগে থেকেই কোথায় খাবো বা কি খাবো সেটা ঠিক করে রাখতে। আমি আর আমার স্ত্রী দুজনে মিলে আলোচনা করে ঠিক করি। এই দিনেও মার্কেটে যাওয়ার আগে ঠিক করে গিয়েছিলাম আমরা একটি ফাস্টফুড শপ থেকে শর্মা বার্গার এগুলি খাবো। তবে কেনাকাটা শেষ হলে যখন আমরা সেই ফাস্টফুডের দোকানের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম তখন হঠাৎ করে একটি হোটেলের সামনে আসার পরে আমি আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম চিকেন চাপ খাবে নাকি? সেখানে দেখতে পেলাম গরম গরম চিকেন চাপ ভাজা হচ্ছে। খাবারটা দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছিলো। আমার প্রস্তাবের সাথে সাথে আমার স্ত্রী ও রাজি হয়ে গেলো। কারণ সেও আমার মত চিকেন চাপ খেতে অনেক পছন্দ করে।

IMG_20231029_185339.jpg

যাই হোক সে রাজি হওয়া মাত্রই আমরা সেই রেস্টুরেন্টে ঢুকে পড়লাম। রেস্টুরেন্টটির অবস্থান ফরিদপুর নিউমার্কেটের গেটের সামান্য একটু আগে। এই রেস্টুরেন্ট থেকে আমার খুব একটা বেশি খাওয়া দাওয়া করা হয়নি। যারফলে এখানকার খাবার সম্বন্ধে আমার খুব একটা পরিষ্কার কোন ধারণা ছিলো না। যাই হোক আমরা রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করে ভিতরে দেখতে পেলাম মোটামুটি সাধারণ বসার ব্যবস্থা। সাধারণ ভাত খাওয়ার হোটেল গুলিতে যেমন হয় আর কি। সেখানে একটি টেবিলে বসে আমরা খাবার অর্ডার করলাম। আমরা অর্ডার করেছিলাম দুটো চিকেন চাপ আর তিনটা নান। কিছুক্ষণ পরে আমি হঠাৎ করে আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম এখানে কাশ্মীরি নান পাওয়া যায় খাবে নাকি? আমার স্ত্রী বলল খেয়ে দেখা যেতে পারে। আমিও এর আগে কাশ্মীরি নান খাইনি। তবে ছবি দেখে খাবারটা আমার কাছে ভালোই মনে হয়েছিলো।


IMG_20231029_185533.jpg

যাইহোক সাথে আমরা একটা কাশ্মীরি নান অর্ডার করলাম। তবে আমার কিছুটা সন্দেহ ছিল যে এই চারটি নান আমরা শেষ করতে পারবো কিনা। কারণ আমার সাথে যে দুজন রয়েছেন তারা বাইরে খেতে পছন্দ করলেও তাদের খাওয়ার পরিমাণ খুবই কম। রেস্টুরেন্টটিতে মোটামুটি বেশ ভালোই কাস্টমার ছিলো। সেজন্য আমি চিন্তা করছিলাম খাবার পরিবেশন করতে এরা কত সময় লাগাবে। তবে খাবারের জন্য আমাদেরকে খুব একটা বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি। মাত্র কয়েক মিনিটের ভেতরে আমাদের সামনে চলে এলো আমাদের কাঙ্খিত খাবারগুলি। অবশ্য কাশ্মীরি নানটা কিছুক্ষণ পরে পরিবেশন করেছিলো। কাশ্মীরি নান দেখতে আসলেই দারুন লাগছিলো।


IMG_20231029_184849.jpg

আমার স্ত্রী প্রথম কাশ্মীরি নান থেকে একটু ছিড়ে খেয়ে জানালো সাদটা বেশ ভালো। এটা এমনিতেও খাওয়া যাবে। আমি খেয়াল করে দেখলাম সেই কাশ্মীরি নাম তৈরিতে প্রচুর উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন রকমের ফল ছিলো, কিসমিস ছিলো, জেলো ছিলো। আরো বেশ কিছু উপকরণের সমন্বয় কাশ্মীরি নান তৈরি করা হয়েছিলো। উপরে আবার কিছুটা পাউডার দুধ ছিটিয়ে দিয়েছিল। এটা কেনো করেছিলো আমি জানিনা। তবে এটার জন্য নানটা খেতে কিছুটা অন্যরকম লাগছিলো। যাই হোক ছবি তোলার পর্ব শেষ হলে আমরা খাওয়া শুরু করলাম। চাপের সাথে তারা দুই ধরনের সস পরিবেশন করেছিলো সাথে ছিলো সালাদ। সবকিছু মিলিয়ে খেতে বেশ ভালই লাগছিলো। গরম গরম নান রুটি আর সাথে চিকেন চাপ সন্ধ্যার খাবার হিসেবে একেবারে পারফেক্ট ছিলো। আমরা খেতে খেতে আলোচনা করছিলাম আজ আর রাতে খেতে হবে না। কারণ সবাই প্রায় ভরপেট খেয়েছিলাম। তারপরেও কিছুটা নান বেঁচে ছিলো। যাইহোক খাওয়া দাওয়া শেষ হলে আমরা বিল মিটিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। যাওয়ার সময় আমরা পরিকল্পনা করেছিলাম আবার কখনো সন্ধ্যার দিকে মার্কেটে আসলে এই খাবারটা খেতে হবে। কারণ খাবারটা সবারই বেশ পছন্দ হয়েছিলো। আর এভাবেই আমাদের বাইরের টুকিটাকি কেনাকাটা আর খাওয়া দাওয়ার পর্ব শেষ হলো।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসহুয়াই নোভা 2i
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানফরিদপুর


🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 11 months ago 

কেনাকাটা করে খাওয়া-দাওয়া করে বাসায় এলেন।কোথাও খাওয়ার হলে দুজন মিলে আগেই আলোচনা করে নেন এটা বেশ ভালো একটা দিক।শপে গিয়ে ফাস্টফুড খাওয়ার কথা থকলেও রেস্টুরেন্টের কাছে গিয়ে চিকেন চাপ আর কাশ্মীরি নান খাওয়ার ইচ্ছা করলেন।এরপর কাঙ্খিত খাবার চলে এলে তিনজনেই খুব মজার করে খেয়েছেন।সুন্দর অনুভূতি গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো ভাইয়া। কাশ্মীরি নান যদিও নতুন রেসিপি ছিল।কিন্তু আপনাদের কাছে খুব ভালো লেগেছিল।আবার কখনো খাওয়ার ইচ্ছা ও প্রকাশ করলেন। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।

 11 months ago 

শপিং করতে গিয়ে খাওয়া দাওয়া না করলে মনে হয় যে, কোনো কিছু অসম্পূর্ণ রয়ে গিয়েছে। যাইহোক চিকেন চাপ আমারও খুব পছন্দ। বিকেল বা সন্ধ্যার নাস্তায় নান রুটি কিংবা লুচি দিয়ে চিকেন চাপ খাওয়ার মজাই আলাদা। কাশ্মীরি নান দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। সবমিলিয়ে বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন আপনারা। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 11 months ago 

কাশ্মীরি নান প্রথমবার ট্রাই করে আপুর ভালো লেগেছিল।অনেক উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছিল নান এ।কেনাকাটা করে তারপর খাওয়া দাওয়া করে বাসায় চলে এসেছিলেন আপনারা।সব মিলিয়ে সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন আপনারা।ভালো লেগেছে পোস্টটি।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 11 months ago 

বাইরে ঘুরতে গেলে কিছু না খেলে ঘুরাই অসম্পুর্ন মনে হয়।বিকালের নাস্তায় চাপ আর নান জাস্ট আসাধারন খাবার। আর রেশমী নানটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে ভালই হবে। যদিও আমার খাওয়া হয়নি।পরিবার নিয়ে ঘুরতে বের হওয়া ও খাওয়া দাওয়ার সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

 11 months ago 

ভাই আপনি পরিবার নিয়ে বাইরে কেনাকাটা করেছেন এবং বাইরে খুব সুন্দরভাবে খাবার খেয়েছেন এবং সবগুলো জায়গা থেকে বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 61199.00
ETH 2393.68
USDT 1.00
SBD 2.56