বন্ধুদের নিয়ে ঈদ-পরবর্তী নৌ ভ্রমন (শেষ পর্ব)। ১০% সাই-ফক্স।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


পূর্ববর্তী পর্বের লিংক

ট্রলার ছাড়ার কিছুক্ষণের ভেতরে সবাই ট্রলারের ছাদে গিয়ে বসলো। আসলে আমরা যখনই ট্রলার ভ্রমণ করি চেষ্টা করি বেশিরভাগ সময় ছাদে কাটাতে। কারণ ভেতরে থাকতে আমাদের ভালো লাগে না। তবে যখন অতিরিক্ত রোদ থাকে তখন আর ছাদে বসা যায় না। সেই সময়টাতে আমরা ট্রলারের ছাদের নিচে বসে থাকি। ছাদে ওঠার পর সবাই বসে আড্ডা দিতে লাগলো। এর ভেতর আমি কয়েকটি ছবি তুলে নিলাম তাদের।

IMG_20220505_135351.jpg

IMG_20220505_140956.jpg

নদীর প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে দেখতে আমরা বন্ধু রাফসানের বাড়ির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। ছাদে থাকলে চারপাশের দৃশ্য খুব ভালোভাবে উপভোগ করা যায়। ট্রলার এগিয়ে যাচ্ছিলো আর আমাদের চোখে বিভিন্ন দৃশ্য ধরা পড়েছিলো। যেমন কেউ ছোট ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে মাছ ধরছে আবার কেউ নদীর পাড়ে বসে বড়শি দিয়ে মাছ ধরছে। আবার কোথাও বা মানুষ নদীতে গোসল করছে। এমন বিভিন্ন দৃশ্য দেখতে পেলাম। ট্রলার আরো কিছুদূর যাওয়ার পর আমরা আমাদের মত আরও একটি দলকে দেখতে পেলাম। যারা নৌ ভ্রমণে বেরিয়েছে। এই গ্রুপের ছেলেগুলা বয়সে আমাদের থেকে অনেক ছোট ছিলো। তারা উচ্চস্বরে সাউন্ড বক্স বাজাচ্ছিলো। এই ব্যাপারটি আমার একেবারেই পছন্দ নয়। কিন্তু অল্প বয়সী যারা নদীতে ঘুরতে আসে তাদের সবাইকে দেখেছি এই ব্যাপারে ব্যাপক আগ্রহ। উচ্চ শব্দে সাউন্ড বক্স না বাজালে যেন তাদের ভ্রমণ পরিপূর্ণ হয় না। মিউজিকের তালে তালে তারা অনেকে আবার নাচ ছিলো।

IMG_20220505_140105.jpg

IMG_20220505_135628.jpg

IMG_20220505_135616.jpg

এইরকম বিভিন্ন দৃশ্য দেখতে দেখতে আমরা বন্ধু রাফসানের বাড়ির দিকে যাচ্ছিলাম। আধা ঘন্টার ভেতরে আমরা নির্ধারিত জায়গায় পৌঁছে গেলাম। সেখানে পৌঁছে রাফসানকে ফোন দিলাম সে কোথায় আছে সেটা জানার জন্য। আর রান্নার কি খবর সেটা জানার জন্য। সে জানালো রান্না হতে এখনো কিছুটা সময় লাগবে। শুনে আমার মেজাজ কিছুটা খারাপ হয়ে গেলো। কারন ততক্ষনে বেলা দুইটা বেজে গিয়েছে। আমাদের এমনিতেই বের হতে লেট হয়েছে। তারপর আবার এখানে যদি আরও দেরি হয় তাহলে আমরা বেশিক্ষণ ঘুরতে পারবো না।

IMG_20220505_144415.jpg

IMG_20220505_144407.jpg

ট্রলার রাফসানদের বাড়ির কাছে ঘাটে ভেড়ার পর সবাই ট্রলার থেকে নেমে গেলাম। কয়েকজন চা পাওয়া যায় কিনা সে খোঁজ করছিলো। কিন্তু চার দোকানে গিয়ে দোকানদারকে পাওয়া গেল না। সামনে দেখলাম একজন লোক মুড়ি মসলা বিক্রি করছে। তার কাছ থেকে সবাই মুড়ি খেলাম। তারপর আমরা রাফসান এবং ফেরদৌস এর জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। আপনাদেরকে তো বলা হয়নি। ফেরদৌস আমাদের সাথে সিএন্ডবি ঘাট থেকে উঠতে পারেনি। কারণ তার বাড়িতে মেহমান ছিলো সেজন্য সে কিছুক্ষণ পরে রাফসানদের বাড়ি এসে সেখান থেকে আমাদের সাথে যোগ দেয়ার কথা ছিলো। রাফসানের কথার উপর আমার খুব একটা ভরসা ছিল না। সেজন্য আমি ফেরদৌস কে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম রান্না কতদূর? ফেরদৌস জানালো প্রায় হয়ে গিয়েছে। আর কিছুক্ষণ সময় লাগবে। তারপর আমরা অপেক্ষা করতে লাগলাম।

IMG_20220505_145839.jpg

IMG_20220505_145126.jpg

IMG_20220505_152112.jpg

বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর দেখতে পেলাম একটি ভ্যানে করে রাফসান এবং ফেরদৌস আসছে খাবার নিয়ে। ফেরদৌস কে বলেছিলাম সাথে করে যেন একটি ঠান্ডা কোক নিয়ে আসে। ফেরদৌস সেটা নিয়ে এসেছিলো। ওরা পৌঁছানোর পর আমরা আর দেরি না করে দ্রুত ট্রলারে উঠে পড়লাম। তারপর ট্রলার ওয়ালাকে বললাম আপনি কোনো একটি পরিষ্কার বালির চর দেখে সেখানে ট্রলার থামাবেন। আমরা সেখানে গোসল করব। তারপর খাওয়া দাওয়া করব। অল্প কয়েকদিন আগেও নদীতে প্রচুর চর ছিলো। কিন্তু হঠাৎ করে পানি বেড়ে যাওয়ায় এখন আর সে চর গুলো দেখা যাচ্ছে না। যার ফলে আমরা সামনে আগাতে থাকলাম আর গোসল করার জন্য ভালো জায়গা খুঁজতে লাগলাম।

IMG_20220505_154501.jpg

IMG_20220505_153118.jpg

শেষ পর্যন্ত একটি জায়গা দেখে আমাদের পছন্দ হলো। সেটি একটি চর। সেখানে নদী ড্রেজিং করে সেই বালু ফেলে অনেক উঁচু করা হয়েছে। আমরা সেই চরের পাশেই গোসল করতে চাইলাম। সেই চরে ট্রলার ঘাটে ভেড়ার সাথে সাথে সবাই তৈরি হয়ে নেমে গেলাম। কিন্তু নামার পর দেখি কেউ পানিতে নামছেনা। সবাই খাড়া পাড় ধরে সেই বালির চরের উপরের দিকে উঠছে। কি আর করা পিছুপিছু আমিও উঠতে লাগলাম। যদিও আমার পায়ের সমস্যা থাকার কারণে উঠতে খুব সমস্যা হচ্ছিলো। বেশ কিছুক্ষণ সেখানে নানা রকমের দুষ্টুমি করে তারপর আমরা পানিতে নামলাম গোসল করতে। নদীর পানি ছিল বেশ ঠান্ডা। কিন্তু তার থেকে বড় সমস্যা ছিলো প্রচন্ড স্রোত ছিলো। যার ফলে আমরা ভালো মতো দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিলাম না। মনে হচ্ছিল স্রোত আমাদেরকে টেনে নিয়ে যাবে। সেজন্য আমরা সবাই সবাইকে সতর্ক করছিলাম। যেন কেউ বেশি পানিতে না যায়। কারণ প্রতিবছর নদীতে গোসল করতে গিয়ে অনেক মানুষ মারা যায়। যার ফলে সবাই খুব সতর্ক ছিলাম।

IMG_20220505_180233.jpg

IMG_20220505_180153.jpg

আমরা বেশ কিছুক্ষণ মজা করে গোসল করলাম সাথে তো আড্ডা আর গল্প চলছিলই। পানি থেকে সহজে উঠতে ইচ্ছা করছিলো না। কিন্তু এদিকে খেয়াল করে দেখি সাড়ে চারটা বেজে গিয়েছে। খিদেয় পেট চোঁ চোঁ করছে। যার ফলে ঘন্টাখানেক গোসল করার পর আমরা সবাই পানি থেকে উঠে গেলাম। উঠে সবাই তৈরি হয়ে খেতে বসলাম। অনেক বেলা হয়ে যাওয়ার কারণে সবারই প্রচন্ড ক্ষুধা লেগে ছিলো। সবাই গোগ্রাসে খাবার খেতে লাগলো। রান্নাটা মোটামুটি ভালোই হয়েছিলো। কিন্তু এই সময়ে শুকনো খাবার খেতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছিলো। আমি রাফসানকে বলেছিলাম যেন মুরগির মাংস ভুনা করে নিয়ে আসে। কিন্তু সে সেটা না করে খিচুড়ির ভেতর মুরগির মাংস দিয়ে একসাথে রান্না করে এনেছে। যার ফলে খাবারটা হয়ে গিয়েছে খুবই শুকনো। অবশ্য সাথে লেবু, শসা এবং কাঁচামরিচ থাকায় খুব একটা সমস্যা হয়নি খেতে।

IMG_20220505_181942.jpg

IMG_20220505_181730.jpg

খাওয়া-দাওয়া শেষ করে সবাই ট্রলারের ছাদে উঠে রেস্ট নিতে লাগলাম। আর ট্রলারওয়ালাকে বললাম হাজিগঞ্জ বাজার ঘাটে চলুন। আমরা সেখানে গিয়ে হাজিগঞ্জ বাজারটা ঘুরে দেখবো এবং সেখানকার বিখ্যাত দই খাবো। আমাদের নির্দেশনা মোতাবেক হাজিগঞ্জ বাজার দিকে রওনা দিলো। আধা ঘন্টার ভেতর আমরা হাজিগঞ্জ বাজারে পৌঁছে গেলাম। সেখান থেকে নেমে আমরা প্রথমে গেলাম যে দোকানে দই পাওয়া যায় সেখানে। কিন্তু দুঃখের বিষয় সে দোকানটি বন্ধ পেলাম।

IMG_20220505_174315.jpg

IMG_20220505_174230.jpg

তারপর আমরা বাজারে ঘুরে বিভিন্ন রকম জিনিস খেতে লাগলাম। যেমন একটি দোকান থেকে মিষ্টি খাওয়া হলো। আর এক জায়গা থেকে চা খাওয়া হলো। বন্ধু প্রদীপ এবং রাসেল একটি দোকান থেকে ডিম রুটি খেলো। এভাবে সেখান বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাফেরার পর আমরা উঠে ফিরতি পথ ধরলাম। ট্রলারে উঠে সরাসরি ছাদে চলে গেলাম। এই সময়টাতে ট্রলারের ছাদে থাকতে সবচাইতে বেশি ভালো লাগে। নদীর খোলা বাতাসে মনটা মুহূর্তেই ভালো হয়ে যায়। কয়েকজন কার্ড খেলায় মগ্ন হয়ে গেলো।

IMG_20220505_184836.jpg

IMG_20220505_174722.jpg

আর আমরা কয়েকজন প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করছিলাম। এই শান্ত পরিবেশটাকে খুব ভালোভাবে অনুভব করার চেষ্টা করছিলাম। আমাদের পরিকল্পনা ছিল রাত নটা দশটা পর্যন্ত ট্রলারে ঘুরবো। কিন্তু হঠাৎ করে আমার মনে পড়ল আজকে রাতে হ্যাংআউট আছে। যার ফলে আমাকে একটু তাড়াতাড়ি যেতে হবে। সেজন্যে আমরা সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে শহরের কাছাকাছি একটি ঘাটে ট্রলার থেকে নেমে গেলাম। তারপর আমি বাড়ি চলে এলাম। এভাবেই শেষ হলো আমাদের এবারের ট্রলার ভ্রমণ।

আজকের মতো এখানে শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনার সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসহুয়াই নোভা 2i
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানহাজিগঞ্জ

Sort:  
 2 years ago 

অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন। এরকম নৌকায় উঠলে আমিও ছাদে করে যাই। ভিতরে থাকলে আমার ভয় লাগে। মনে হয় নৌকা ডুবে গেলে সেখান থেকে বের হতে পারব না। তাছাড়া নৌকার উপর বসলে নদীর এবং নদীর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে প্রাকৃতিক দৃশ্য অনেক উপভোগ করা যায়। যাইহোক বন্ধুদের সাথে অনেক ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছেন।

 2 years ago 

ছাদে থাকতেই আমার সবচেয়ে ভালো লাগে। ওখান থেকে আশেপাশের দৃশ্য খুব ভালো দেখা যায়।

 2 years ago 

খুবই আনন্দঘন সময় কাটিয়েছেন ভাই🥰ফটোগ্রাফিও চমৎকার হয়েছে,বিশেষ করে লাস্ট ছবিটির কথা না বললেই নয়😊।
শুভ কামনা রইলো 🥰

 2 years ago 

এই ধরনের ছবি তুলতে আমার কাছে সবসময় ভালো লাগে । সময়টা আসলেই খুব উপভোগ করেছি।

 2 years ago 

অবশ্যই প্রতীক্ষায় ছিলাম আপনার এই পোস্ট টি দেখার জন্য। একটু বেদনাদায়ক হলেও সত্য যে নদী ভাঙ্গন টা আমার খুবই কষ্ট লাগে। তবে প্রতীক্ষায় ছিলাম এটা যে আপনি যদি আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে একটা একটা করে বন্ধুকে চিহ্নিত করে নাম উল্লেখ করতেন তাহলে খুব খুশি হতে পারতাম। খুব ইচ্ছে ছিল আপনার বন্ধুদের চেনার।

 2 years ago 

বন্ধুরা ছবি তুলতে খুব একটা আগ্রহী না। আর নদী ভাংগন পদ্মা পাড়ের খুব চেনা দৃশ্য ।

 2 years ago 

নদীতে গোসল করার অভিজ্ঞতা আমার বেশ কয়েকবার হয়েছিল। তবে এইভাবে নৌকা ভ্রমণ করতে গিয়ে কখনো গোসল করা হয়নি। নদীতে গোসল করার ঘটনাটি পড়তে পড়তে আমার ছোটবেলার একটি ঘটনা মনে পড়লো। আমার দাদা বাড়ির পাশেই একটি নদী ছিল খুব বেশি হলেও ২০০ মিটার দূরে। গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে যখন গ্রামে যেতাম তখন সমবয়সি কাজিনদের সঙ্গে নদীতে গোসল করতে যে। নতুন বন্যার পানি নদীতে প্রচুর স্রোত থাকতো নদীতে যাওয়ার কথা শুনে আমার বাবা লাঠি দিয়ে মারতে গিয়েছিল সবাইকে। যাইহোক ভাইয়া নৌকা ভ্রমনের সময় নদীতে সূর্যাস্তের দৃশ্য টি দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনার আনন্দঘন মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

আমি গরমের সময় সুযোগ পেলেই গোসল করতে যায়। গোধূলি লগ্নে ট্রলার এর ছাদ থেকে সূর্যাস্ত দেখতে চমৎকার লাগে।

 2 years ago 

অনেক ডিটেইল লিখেছ। কোন কিছুই বাদ পড়েনি। সত্যিই অনেক আনন্দের ভ্রমণ ছিল এটি। মাঝে মাঝে এমন আয়োজন করতে পারলে জীবনটাকে উপভোগ্য মনে হয়। ধন্যবাদ

 2 years ago 

আবার এই ধরনের একটা আয়োজন করতে হবে। এবার তো ভালোই হল ।

 2 years ago 

অনেক সুন্দর এবং অনন্দময় সময় কাটিয়েছেন ভাইয়া ৷ সত্যিই নদী ভ্রমণ আমারও অনেক প্রিয় ৷ সময় পেলে আমিও পাশের নদীতে ঘুরতে যাই ৷ আজ আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন তা আপনার তোলা সুন্দর মুহূর্ত গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে ৷ আর দই এর কথা কি বললো , এই প্রচন্ড গরমে দই খাওয়ার মজাটাই আলাদা ৷ কিন্তু দুঃখের বিষয় , আপনি খেতে চেয়ে , খেতে পারেন নি , দোকান বন্ধ 🥰

 2 years ago 

দইটা খেতে পারলে আনন্দ পূর্ণতা পেতো । কিন্তু কি আর করা? সব চাওয়া তো সব সময় পুরন হয় না।

 2 years ago 

ঈদ আনন্দে নদী ভ্রমনের মজা একটি অন্যরকম অনুভুতি। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে খুব মজা হয়েছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

অনেক দিন পর বন্ধুদের সংগে খুব মজা করেছি। এই ভ্রমনের জন্য এবারের ঈদ আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে।

 2 years ago 

ট্রলারে উঠে সরাসরি ছাদে চলে গেলাম। এই সময়টাতে ট্রলারের ছাদে থাকতে সবচাইতে বেশি ভালো লাগে। নদীর খোলা বাতাসে মনটা মুহূর্তেই ভালো হয়ে যায়।

ভাইয়া,আপনি লিখেছেন ট্রলারের ছাদের উপরে বসে নৌ ভ্রমণ করার মজাই আলাদা। ট্রলারের ছাদের উপরে বসলে খুব সুন্দর ভাবে নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়, চারিপাশে প্রকৃতির দৃশ্য গুলো যেন খুব সহজে দেখা যায়। কখনো ট্রলারে উঠেনি তারপরও আপনার লেখাগুলো পড়ে কল্পনা করছি ট্রলারের ছাদে উঠলে নিশ্চয়ই অনেক ভালো লাগবে আর ট্রলারের ছাদের উপরে থাকলে দূষণ মুক্ত বাতাস গায়ে লাগলে সত্যিই অনেক ভালো লাগবে।ভাইয়া, ঈদ পরবর্তী বন্ধুদের নিয়ে নৌভ্রমণে দ্বিতীয় পর্বটি পড়ে খুব ভালো লেগেছে।তবে খারাপ লেগেছে যখন আপনার লেখার মধ্যে পড়েছি বেলা দুটো হয়ে গেছে কিন্তু খাবার রেডি হয়নি তারপরও ঠিক সময় খাবার না আসলেও পরবর্তীতে খাবার এসেছে পড়ে খুব ভালো লেগেছে।ভাইয়া, আপনার বন্ধুদের নিয়ে ঈদ পরবর্তী নৌ ভ্রমনে আনন্দ করেছেন আপনার পোস্টটি পড়ে বুঝেছি।ধন্যবাদ ভাইয়া।।

 2 years ago 

সময় মতো খাবার না পেলে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। আর এইধরনের আয়োজনে অবশ্য ছোটোখাটো সমস্যা হয়েই থাকে।

 2 years ago 

ভাই ঈদের আনন্দ বন্ধুদের সাথে খুবই সুন্দরভাবে পালন করেছেন দেখতেই পাচ্ছি। আসলে ট্রলারে ভ্রমণের ছাদে ভ্রমণ করার মজাটাই অন্যরকম। নদীর খোলা বাতাসে মুগ্ধকর পরিবেশ এর মধ্যে এই ছাদে খুবই ভালো লাগে। আসলে আপনারা খুবই সুন্দর ভাবে ভ্রমণ করেছেন। বিশেষ করে আপনার চা খেতে এসে ছিলাম কিন্তু দোকান বন্ধ ছিল। তবে মুড়ি খেয়েছে এই বিষয়টি আমার ভাল লেগেছে। তবে একটা জিনিস ভালো লাগল খোলা বাতাসে খুবই আনন্দময় সময় পার করেছেন এবং সূর্য অস্ত যাওয়ার ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আপনাদের ভ্রমণকাহিনী খুবই সুন্দরভাবে হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল আপনাদের জন্য।

 2 years ago 

বন্ধুদের সাথে এই ট্যুরে খুব মজা পেয়েছি। বেশ এনজয় করেছি।

 2 years ago 

ভাইয়া ট্রলারের ছাদে বসে থাকার দৃশ্যটি দেখে আমার কিছুটা ভয় লাগতেছে।কারন কোন কারণে যদি কেউ পড়ে যায়।আর আপনি পুরো ভ্রমণটা কে যেভাবে ছবির মাধ্যমে এবং বর্ণনার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন তা দেখে খুব ভালো লাগতেছে। আসলে কিছু সময় এভাবে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে পারলে মনটা অনেক ভালো হয়ে যায়।

 2 years ago 

ভয়ের কিছু নেই। ট্রলার এর ছাদ বেশ বড় ।বন্ধু না পেলেও পরিবার নিয়ে ঘুরে দেখুন মজা পাবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 56588.25
ETH 2399.94
USDT 1.00
SBD 2.32