রোজার বিকালে বন্ধুর সাথে ঘোরাফেরা।
গত পরশুদিন আসরের নামাজ পড়ে বের হয়ে বন্ধু রাশুকে দেখতে পেলাম। তাকে দেখে জিজ্ঞেস করলাম কোন জরুরী কাজ আছে কিনা? সে জানালো না কোন কাজ নেই। তখন আমি তাকে বললাম চল তাহলে আমরা আশেপাশে কোন জায়গা থেকে ঘুরে আসি। বলার সাথেই ও রাজি হয়ে গেলো। তারপর দুই বন্ধু মিলে একটি রিকশা নিয়ে চলে গেলাম গ্রামের দিকে। আমাদের বাসাটা শহরের ভেতরে হলেও আমার বাড়ি থেকে ২ কিলোমিটার পরে গ্রামীন এলাকার শুরু। যার ফলে গ্রামীণ প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখতে আমার খুব একটা বেশি দূর যেতে হয় না। যাইহোক ইঞ্জিন চালিত রিক্সা করে আমরা আদমপুর নামক এলাকায় পৌঁছে গেলাম খুব তাড়াতাড়ি। সেখানে পৌঁছে ব্রিজ পার হয়ে রিকশা ছেড়ে দিলাম। আগে থেকেই মনে মনে পরিকল্পনা করে রেখেছিলাম। সেখানে বেশ কিছুটা সময় দুই বন্ধু মিলে ঘুরে ফিরে বেড়াবো আর আড্ডা দেবো। তারপর ইফতারের কিছু সময় আগে বাড়ির দিকে রওনা দেবো। যেহেতু জায়গাটা আমাদের বাড়ি থেকে খুব একটা বেশি দূরে নয়। তাই ইফতারের আগে ফেরা নিয়ে কোন টেনশন ছিলো না। যাই হোক সেখানে পৌঁছে আমরা জায়গাটা একেবারে নিরিবিলি দেখতে পেলাম। ছবিগুলো দেখলে আপনারা বুঝতে পারবেন।
সেখানে ফসলের মাঠের ভেতর দিয়ে একটি রাস্তা চলে গিয়েছে। রাস্তার দুপাশ দিয়ে বিস্তীর্ণ অঞ্চল ফসলের মাঠ। যদিও সেই ফসলের মাঠের ভেতর এখন ধীরে ধীরে বাড়িঘর গড়ে উঠছে। এই বিষয়গুলো দেখলে আমার কিছুটা ভয় লাগে। কারণ আমাদের দেশটা একেবারেই ছোট। সেখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য চাষের জমির পরিমাণ প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে। এই ফসলের মাঠগুলো যখন মানুষের বাড়িঘরে পরিণত হবে তখন আমরা কোথায় চাষ করবো এটা চিন্তা করতেই ভয় লাগে। যাইহোক দুই বন্ধু সেই রাস্তাটা দিয়ে হাঁটতে লাগলাম আর নিজেদের ভেতর গল্প করতে লাগলাম। রাস্তার এক পাশে একটি মাদ্রাসা দেখতে পেলাম। সেখানে দেখতে পেলাম বেশ কিছু বাচ্চারা খেলাধুলা করছে। কিছু দূর আগানোর পরে দেখতে পেলাম রাস্তার পাশে একটি পিলারে জমি জমি বিক্রয়ের সাইনবোর্ড লাগানো রয়েছে।
সেখানে এক মহিলাকে দেখতে পেয়ে তার কাছে জমির দাম জিজ্ঞেস করলে সে বলল জমির দাম আমার জানা নেই। আমি তখন বন্ধু রাশুকে বলতে লাগলাম এই জায়গায় আমাদের এক বন্ধুকে জমি কিনতে বলেছিলাম। সেই বন্ধু জমি কিনতে এসেছিলো। পরবর্তীতে সে এখানে জমি না কিনে অনেক ভেতরের দিকে একটি গ্রামের ভেতরে জমি কিনেছিলো। তখন এখানে জমির দাম ছিল মাত্র এক লাখ টাকা করে শতাংশ। আর এখন সেখানে নাকি তিন চার লাখ টাকা করে দাম হয়ে গেছে প্রতি শতাংশ জমি। যাই হোক আরও বেশ কিছুক্ষণ দুই বন্ধু সেখানে ঘোরাফেরা করে তারপর একটি রিক্সা নিয়ে বাড়ির দিকে ফিরতে লাগলাম। ফেরার সময় দুজনে মিলে পরিকল্পনা করেছি এরপর থেকে আমরা মাঝে মাঝে এভাবে ঘুরতে বের হবো।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বিকেলে গ্রামীণ পরিবেশে ঘুরাফিরা করার মজাই আলাদা। আপনারা দুইবন্ধু মিলে, রোজার বিকেলে দারুণ সময় কাটিয়েছেন ভাইয়া। আপনার পোস্টের ছবি গুলোর মাধ্যমে গ্রামীণ প্রকৃতির অপরুপ ছবি ফুটে উঠেছে।আপনি একদম ঠিক বলেছেন,"জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য চাষের জমির পরিমাণ প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে"। সরকার এখনেই সঠিক পরিকল্পনা না নিলে ভবিষ্যতে আমাদের ভুগতে হবে। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ছেলেদের কি মজা যখন যেখানে মন চায় আড্ডা দেয় ঘুরতে যায় আর মেয়েদের যতসব ঝামেলা।যাই হোক বন্ধুর সাথে অনেক দিন পর ঘুরতে পেরে আপনার বেশ ভালো লেগেছে যেনে ভালো লাগলো।আসলে সব জায়গাতেই এখন জমির দাম দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। এখন ইচ্ছে থাকলেও খুব কম মানুষেই জমি কিনতে পারে।যাই হোক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ
রোজা রেখে বিকেল বেলা একটু হাঁটাহাঁটি করলে বেশ ভালো লাগে। যদিও সেভাবে হাঁটা হচ্ছে না এখন। যাইহোক আপনার বন্ধুকে নিয়ে খুবই সুন্দর জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন। এমন মনোরম পরিবেশে সময় কাটাতে আসলেই খুব ভালো লাগে। জমির দাম প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রায় সব জায়গায়। দিনদিন কৃষি জমি যেভাবে হ্রাস পাচ্ছে, এটা আমাদের সবার জন্য অবশ্যই চিন্তার বিষয়। যাইহোক আপনারা সেখানে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন ভাই। এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এমনি তে বিকেল বেলা হাটাহাটি করতে অনেক ভালো লাগে ৷ আবার যেহেতু রজা আশা করি বন্ধু কে নিয়ে গ্রামের পরিবেশে অনেক সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছেন ৷ আর ভাই বর্তমান সময়ে তাগিদে সবাই ব্যস্ত তাই আগের মতো আড্ডা গল্প হয় না ৷
যা হোক ভালো লাগলো আপনার বন্ধুর সাথে অনেক সুন্দর একটি বিকেল ঘোরাঘুরি করেছেন ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
আসলে ভাইয়া রমজানের রোজায় থাকার পরে সারাটা দিন যেভাবে কাটুক না কেন বিকেলের সময়টা যেন মনে হয় আর যাচ্ছে না। তবে আপনি দেখছি আপনার বন্ধুর সাথে একটু ঘোরাঘুরি করেছেন এবং রাস্তার এক পাশে দেখতে পেলেন একটি মাদ্রাসা সেখানে বাচ্চারা খেলা খেলছে। আসলে ভাইয়া আমিও আসরের সময় অর্থাৎ বিকেলে মাঝে মাঝে আমার সহপাঠীদের সাথে মাদ্রাসা সময়টা কাটাই বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বাহ! দুই বন্ধু মিলে বেশ চমৎকার ঘোরাফেরা করলেন ভাইয়া। চারপাশের পরিবেশ গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো। যেহেতু আপনার বাড়ি থেকে গ্রামের দূরত্ব বেশি নয়। তাহলে তো মাঝে মধ্যে যেয়েই সময় কাটানো যায়। আসলেই যখন সবাই বড় হয়ে যাই সবাই নিজেদের জীবিকার তাগিদে দূরে চলে যায়। বন্ধু-বান্ধব আর তেমন কাছে পাওয়া যায় না। ভাগ্যিস আপনার বন্ধু রাশুকে পেলেন সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করতে পারলেন। এমন সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
সারাদিন রোজা রাখার পর বিকেলে একটু এইরকম গ্রাম্য পরিবেশে ঘুরলে বেশ ভালো লাগে। এই অভ্যাস টা আমারও আছে। আপনি শহরের মধ্যে থাকলেও আপনার বাসা থেকে গ্রাম খুব একটা দূরে না। রিক্সা নিয়ে ঘোরার মধ্যে আরেকটা ভালো লাগা কাজ করে। প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো দেখে বেশ ভালো লাগছে। সবমিলিয়ে দারুণ করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো ভাই। সময় টা সুন্দর কেটেছে আপনার।
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া, আসরের নামাজের পর কোথাও ঘুরতে যাওয়ার মজাটাই আলাদা। তারউপর বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গেলে তো কথাই নেই , সোনালী মুহূর্ত। আর ভাইয়া আমাদের এইদিকেও কিছু বছর আগে যা না জমির দাম ছিল তার থেকে ৩ বা ৪ গুন্ বেরে গিয়েছে বর্তমানে ।