ফটোগ্রাফি পোস্ট
সেদিন আমি আপনাদের সাথে ফরিদপুরের সরকারি নার্সারিতে ঘোরাফেরার অভিজ্ঞতার সাথে কিছু ছবি শেয়ার করেছিলাম। তবে যতগুলো ছবি তুলেছিলাম তার ভেতর অনেকগুলো এখনো শেয়ার করা বাকি রয়ে গিয়েছে। আজ আমি সেই ছবিগুলো আপনার সাথে শেয়ার করব। তবে সেদিন নার্সারিতে গিয়ে আমার খুব একটা ভালো সময় কাটেনি। কারণ আমি এর আগে যখনই নার্সারিতে গিয়েছি তখন হয় বন্ধু ফেরদৌসের সাথে গিয়েছি না হয় পরিবার নিয়ে গিয়েছি। যার ফলে সময়টা বেশ ভালো কেটেছে। কিন্তু সেদিন একা একা নার্সারিতে গিয়ে বুঝতে পারলাম আসলে একা একা কোথাও ঘুরতে গিয়ে মজা নেই। সাথে যদি কেউ থাকে তাহলে যে কোন জায়গায় ঘোরাফেরার মজাটা অনেক বেড়ে যায়। যাইহোক এখন চলুন আরো কিছু ছবি দেখে নেই।
ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন একটি ডালিম গাছ। নার্সারিতে ঢোকার পরে কিছুদূর আগানোর পরে এই ডালিম গাছটি দেখতে পেলাম। গাছে দেখলাম কয়েকটি ডালিমও ধরে রয়েছে। ডালিম ফলটি অত্যন্ত পুষ্টিকর। তবে এটা এখন আর আমাদের দেশের বাড়িগুলোতে সচরা দেখা যায় না। অথচ একটা সময় ছিল যখন এই গাছগুলো গ্রামের অনেক বাড়িতেই দেখা যেতো।
এই ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন একটি আমগাছ। আকারে ছোট হলেও গাছটিতে দেখতে পেলাম বেশ কিছু আম ধরে রয়েছে। এত ছোট গাছে ফল ধরলে দেখতে বেশ ভালই লাগে। খেয়াল করে দেখলাম নার্সারিতে নানা ধরনের আম গাছ রয়েছে। বাসায় জায়গা থাকলে এখান থেকে দু একটি আম গাছ নিয়ে লাগানো যেতো। তবে শহরের বাড়িগুলোতে যা হয় আর কি। জায়গা সমস্যার কারণে গাছ লাগানোর পরিকল্পনা টা বাদ দিতে হলো।
এই ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন একটি মাল্টা গাছ। গাছে খেয়াল করে দেখলাম একটি মাল্টা ধরে রয়েছে। আমাদের দেশে বর্তমানে মালটার ব্যাপকভাবে চাষ শুরু হয়েছে। যদিও আমাদের শহরে মালটার গাছ তেমন একটা দেখা যায় না। তবে আমি রাজশাহীর দিকে দেখেছি মালটার চাষ হতে।
এটি সম্ভবত একটি ছোট জাতের নারকেল গাছ। যদিও আমি কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দে ভুগছিলাম যে আসলেই নারকেল গাছ কিনা। তাছাড়া গাছের গায়ে কিছু লেখাও দেখতে পায়নি। তবে ছোট সাইজের এই গাছটি দেখতে বেশ ভালোই লাগছিলো।
উপরের ছবিতে যে গাছটা দেখতে পাচ্ছেন এই গাছ সম্বন্ধে আমার একেবারেই কোন ধারণা নেই। আপনারা যদি জেনে থাকেন তাহলে কমেন্টে গাছটার নাম জানাবেন। তবে নাম না জানলেও গাছটা দেখতে বেশ ভালো লাগছিলো।
এই ফুল গাছটি দেখতেও দারুন লাগছিল। তবে অত্যন্ত দুঃখের বিষয় আমার এটারও নাম জানা নেই। তবে এবার একটি ব্যাপার খেয়াল করলাম নার্সারিতে গিয়ে। আগে নার্সারিতে দেখতাম বিভিন্ন গাছের গায়ে গাছের নাম লেখা থাকতো। তবে এবার গিয়ে বেশিরভাগ গাছেই দেখলাম কোন নাম লেখা নেই।
এই ছবিটা তুলেছিলাম নার্সারীর একেবারে শেষ মাথার দিক থেকে। সেখানে দেখতে পেলাম একটি জায়গায় বেশ বড় বড় সফেদা গাছ এবং লিচু গাছ রয়েছে। সেখানে জমিতে দেখলাম ট্রাক্টর দিয়ে চাষ দেয়া হচ্ছে। অবশ্য কি উদ্দেশ্যে ট্রাক্টর দিয়ে চাষ দিচ্ছে সেটা আমি একেবারেই বুঝতে পারিনি।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ভাই আপনি নার্সারিতে গিয়ে বেশ ভালই কয়েকটি সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। প্রতিটি ফটোগ্রাফি বেশ মনোমুগ্ধকর ছিলো। ওই লোকটি হয়তো বাগানের মাটি আগলা এবং ঘাস মুক্ত করার জন্য এই পাওয়ার ট্রিলার দিয়ে চাষ দিচ্ছে। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
নার্সারিতে গিয়ে সময়টা মোটামুটি ভালই কাটিয়েছিলাম। তবে গরম ছিল অত্যাধিক বেশি। যাইহোক আপনার কমেন্ট পড়ে পাওয়ার টিলার দিয়ে চাষ দেয়ার রহস্যটা বুঝতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
হুম ভাই আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমরা আসলে যেখানেই ঘুরতে যাই না কেন প্রিয় কোন মানুষ সাথে না থাকলে সেই ভ্রমণটাই হয়ে ওঠেন নিরামিষ। তবে আপনার বন্ধু ফেরদৌস ভাই আপনার সাথে থাকলে ভাইয়া অনেক ভালই হতো। খুব মজা করতে পারতেন। গত পর্বে আপনার সরকারী নার্সারি ভ্রমণের কাহিনী পড়েছিলাম। আজ সেই নাসারীর কিছু ফল গাছের এবং নাম না জানা কিছু গাছের ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম আপনার পোস্টের মাধ্যমে। বেশ সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন ভাইয়া। মনে হচ্ছে প্রকৃতি যেন জীবন ফিরে পেয়েছে।
ঠিকই বলছেন আপু। ফেরদৌস সাথে থাকলে ঘোরাফেরাটা আরো মজাদার হয়ে উঠতো।
সরকারি নার্সারিতে ঘুরাঘুরি করার পোস্টটি আমি পড়েছিলাম ভাইয়া। আসলে একা একা ঘুরাঘুরি করার চেয়ে, বন্ধু বান্ধবদের সাথে ঘুরতে বেশি ভালো লাগে। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে ভাইয়া। বিশেষ করে মাল্টা গাছের ফটোগ্রাফিটা সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঠিকই বলেছেন ভাই। একা একা ঘোরাফেরা করে একেবারেই মজা নেই। এই কারণে আমি সবসময় চেষ্টা করি বন্ধুদের সাথে ঘোরাফেরা করতে।
ভাইয়া নার্সারিতে গিয়ে তো খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন।সবগুলো ফটোগ্রাফি আমার ভালো লেগেছে।মনে হচ্ছে সবুজের মেলা।আপনি এটা ঠিক বলেছেন একা কোথাও গিয়ে আনন্দ লাগেনা।তবে ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু দারুন তুলেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
আসলে একা একা নার্সারি ভ্রমন করাটা ভালো না লাগারই কথা। তবে নার্সারি থেকে তোলা আপনার বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। বিশেষ করে মাল্টা গাছের ফটোগ্রাফিটি আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। চমৎকার একটি ফটোগ্রাফির পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য প্রিয় ভাইয়া আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।