সকালের হাঁটাহাঁটি ও কয়েকটি ছবি।
যাই হোক এর ভেতরেও সময় পেলে আমি হাঁটাহাঁটি করার চেষ্টা করছি। তেমনি আজকে সকালে আমি হাটতে বের হয়েছিলাম. বাইরে বের হলেই আমি সুযোগ পেলেই দু-চারটে ছবি তুলি। তবে হাঁটাহাঁটি করার সময় ছবি তুলতে আমার খুব একটা ভালো লাগে না। কারণ আমাকে একবার এক ডক্টর বলেছিলেন যখন ব্যায়াম করার জন্য হাঁটাহাঁটি করবেন তখন হাঁটতে হবে একেবারে ননস্টপ। হাঁটার ভেতরে থামা যাবে না। যদি দ্রুত বেগে না থেমে অন্তত ৪০ মিনিট হাঁটা যায় তাহলে সেটা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এই কারণে আমি সকালে হাঁটার সময় ছবি তোলাটা এভয়েড করার চেষ্টা করি। তবে আজকের আবহাওয়াটা এত চমৎকার ছিল সকালে যে ছবি তোলার লোভটা আর সামলাতে পারিনি। সেই ছবিগুলোর ভেতর থেকে কিছু ছবি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
ছবিতে আপনারা যেই লাল রঙের বিল্ডিংটি দেখতে পাচ্ছেন এটা আসলে ফরিদপুরের সার্কিট হাউজের পুরাতন ভবন। এই ভবনগুলো নির্মাণ করা হয়েছিলো ব্রিটিশ আমলে। এই ভবন গুলো দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। শত বছরের বেশি বয়স হয়ে যাওয়া এই ভবনগুলো এখনো বেশ শক্তপোক্তভাবেই টিকে রয়েছে। এই বিল্ডিং গুলোর আরেকটি বিশেষত্ব হচ্ছে এই বিল্ডিংগুলোর ভেতরে বেশ ঠান্ডা থাকে।
এটি ফরিদপুর উকিল বার ভবন। এখানে ফরিদপুরের কোর্টের সমস্ত উকিলেরা বসেন। জেলার যে সমস্ত মানুষের থানা পুলিশ নিয়ে কাজ থাকে তারা সকলেই এখানে আসেন। কেউ আসেন আসামি ছাড়াতে আবার কেউ আসেন বিচারের আশায়।
উপরের ছবিতে যে কানেক্টিং প্যাসেজ দেখতে পাচ্ছেন সেটা আসলে উকিলবার ভবন থেকে সরাসরি জজকোর্টে গিয়ে শেষ হয়েছে। আগে এই স্থাপনাটা ছিলো না। কয়েক বছর আগে এটি নির্মাণ করা হয়েছে উকিলদের কোর্টে যাবার সুবিদার্থে।
উপরের ছবিতে যেই বিল্ডিংটি দেখতে পাচ্ছেন এটা ফরিদপুর জজ কোর্ট বিল্ডিং। ফরিদপুর বাংলাদেশের পুরাতন জেলাগুলোর ভেতরে একটি। যার ফলে এখানে ব্রিটিশ শাসনামল থেকেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা তৈরি করা হয়েছিলো। এই জর্জ কোর্ট বিল্ডিং সেটার ভিতরে অন্যতম।
উপরের ছবিতে আপনার দেখতে পাচ্ছেন ফরিদপুর ডিসি অফিস। এই অফিসটি বিশাল বড় করে তৈরি করা হয়েছে প্রায় ১০-১৫ বছর আগে। আগেকার পুরাতন ডিসি অফিস টি ছিল একেবারেই ছোটখাটো। কিন্তু এবার বিশাল পরিসরে এই বিল্ডিংটি তৈরি করা হয়েছে।
এই ছবিটি তোলা হয়েছে ডিসির বাসভবনের সামনে থেকে। ফরিদপুরের ডিসির বাসভবনের অবস্থান ডিসি অফিসের ঠিক সামনের দিকে। ডিসির বাসভবনের চারদিকে সব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। একপাশে জজ কোর্ট, এক পাশে এসপি অফিস, আর এক পাশে সার্কিট হাউস এগুলোর মাঝখানে ডিসির বাংলোর অবস্থান। ডিসির বাংলোতে ঢুকলে মনে হবে কোন জমিদার বাড়িতে চলে এসেছি।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া, নিয়মিত না হাঁটতে পারলে সেটা আর কোনো কাজে লাগেনা। সকালে বৃষ্টি হলে হাঁটতে অনেকটা অসুবিধা হয়ে যায়।হাঁটার সময় একটানা হাঁটলেই ভালো হয়,সেটা শরীরে কাজে দেয় বেশি।আমিও আগে হাঁটতাম,তাই বিষয়টা আমার জানা।আজকের প্রকৃতি সুন্দর ছিল অনেক,তাই আর ছবি না তুলে পারেন নি।বৃষ্টির দিনগুলোতে প্রকৃতি একটু বেশিই ভালো লাগে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
এটা ঠিক ভাইয়া, রেগুলার এক সপ্তাহ হাটঁতে পারলে সেটা শরীরের জন্য খুবই কাজের। তবে সকালে এখন আমাদের দিকেও রেগুলার বৃষ্টি হচ্ছে। আরামছে ঘুম হয়, হাটাঁ হয়না। ডাক্তার অবশ্য ঠিক বলেছেন একটানা ৪০ মিনিট হাটঁতে পারলে ভালো। তবে এমন ওয়েদারে ছবি না তোলেও থাকা যায় না । যাক আপনাদের ফরিদপুরের বেশ কিছু জায়গা সম্পর্কে পরিচিত হলাম।
সকালে হাঁটলে শরীর মন দুটোই ভালো থাকে।তবে বৃষ্টি হলে আসলে হাঁটা মুস্কিল।আমাদের এখানে দুপুরের দিকে বৃষ্টি হয়।আপনি বেশকিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন।ফটোগ্রাফির সাথে অনেক তথ্য ও জানা হলো।ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
সকালে নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করা খুব ভালো একটা অভ্যাস। তবে দ্রুত হাঁটলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। আসলেই বেশ কয়েকদিন ধরে ভালোই বৃষ্টি হচ্ছে এবং বৃষ্টির কারণে সবকিছু এলোমেলো হয়ে গিয়েছে। দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ভাই। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।