সৌদি আরব থেকে ফেরার ক্লান্তিকর যাত্রার অভিজ্ঞতা ( প্রথম পর্ব)।

যাই হোক আসার আগের দিন আমাদের সকলকে বলে দেয়া হলো রাত দুটোর সময় আমরা এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে রওনা দেবো। সকাল ৯ঃ৩০ টায় আমাদের ফ্লাইট। এতক্ষন আগে যেতে হবে এটা চিন্তা করেও বেশ খারাপ লাগছিলো। কিন্তু খারাপ লাগলেও কিছু করার নেই। নিয়ম যেটা সেটা তো মানতেই হবে। আমরা আগে থেকেই আমাদের লাগেজ গুছিয়ে হোটেলের লবিতে রেখে দিয়েছিলাম। রাত দুইটা বাজার কিছুক্ষণ আগে বাস এসে আমাদের হোটেলের সামনে থামলো। তারপর তারা ধীরেসুস্থে লাগেজ গুলো ওঠাতে শুরু করলো। এদিকে আমাদের রুমের যারা ছিলাম তারা একটু বুদ্ধি করে আমাদের লাগেজ গুলো পেছনের দিকে রেখেছিলাম। কারণ আমরা খেয়াল করে দেখেছি মক্কা থেকে মদিনায় আসার পথে আমাদের লাগেজ গুলো সামনে থাকার কারণে প্রথমেই তারা আমাদের লাগেজ গুলো উঠিয়েছিলো। তারপর অন্যদের লাগেজ ওঠানোর কারণে আমাদের লাগেজের উপরে অনেক বড় বড় লাগেজের স্তূপ তৈরি হয়েছিলো। দেখে মনে হচ্ছিল যে কোন সময় আমাদের লাগেজ গুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সেই কারণেই আমরা লাগেজ গুলো কিছুটা পেছনে রেখেছিলাম।

যাইহোক লাগেজ গুলো যখন নেয়া শুরু করলো তখন দেখি আমাদের লাগেজ গুলো নিচ্ছে না। তখন আমরা লাগেজ গুলো নেয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত কুলিদেরকে কিছু টাকা বকশিসের লোভ দেখিয়ে আমাদের লাগেজ গুলো আমাদের বাসে ওঠানোর ব্যবস্থা করলাম। তারপর আমরা সকলে আমাদের ক্যাবিন লাগেজ সহ বাসের ভেতরে উঠে বসলাম। কিছুক্ষণ পর যখন বেশিরভাগ লাগে উঠানো হলো তখন দেখা গেলো কিছু লাগেজ অতিরিক্ত রয়ে গিয়েছে। যেগুলোর জায়গা বাসের লাগেজবুটে হচ্ছিলো না। এটা আমরা আগে থেকেই ধারণা করেছিলাম। কারণ অনেকেই আছে লাগেজের পরিবর্তে কয়েকটা করে কার্টুন প্রস্তুত করেছিল নেয়ার জন্য। এক একজন মানুষের সাথে তিনটা চারটা করে বড় বড় সাইজের কার্টন ছিলো। যার ফলে বাসে করে সব লাগেজ আনা সম্ভব হচ্ছিল না। পরবর্তীতে আমাদের মোয়াল্লেম সিদ্ধান্ত নিলো বাড়তি লাগেজ গুলো নিয়ে তিনি আলাদা এয়ারপোর্ট আসবেন। আমাদেরকে বাদ বাকি লাগেজগুলো নিয়ে চলে যেতে বললেন।

আমরা যখন সকলে বাসে উঠে বসেছি তখন সৌদি আরব এর কিছু লোকজন এসে আমাদেরকে লিস্ট অনুযায়ী চেক করতে লাগলো। পরবর্তীতে তারা আমাদের সাথে থাকা ক্যাবিন লাগেজ গুলো বাসের ভেতর থেকে নামিয়ে দিলো। এটা নিয়ে আমরা বেশ ঝামেলায় পড়লাম। কারণ আমরা চিন্তা করছিলাম এই লাগেজ গুলো পরবর্তীতে কিভাবে এয়ারপোর্টে আমাদের কাছে পৌঁছবে। যদি না পৌঁছায় তাহলে সবাই বেশ সমস্যার সম্মুখীন হবো। যাইহোক তারা কেবিন লাগেজ গুলো বাস থেকে নামানোর কিছুক্ষণ পরে আমাদের বাস ছেড়ে দিলো। আমরা চিন্তা করে দেখলাম যেহেতু মোয়াল্লেম সাহেব সেখানে রয়েছে। তাই ক্যাবিন লাগেজ গুলো তিনি সাথে করে নিয়ে আসবেন। আমাদের হোটেলের সামনে থেকে বাস রওনা দিয়ে মদিনা এয়ারপোর্ট এর উদ্দেশ্যে চলতে লাগলো। আমাদের হোটেল থেকে এয়ারপোর্টের দূরত্ব খুব একটা বেশি না হওয়ায় ঘন্টাখানেকের ভেতরেই আমাদের বাস এয়ারপোর্টে প্রবেশ করলো। তারপর শুরু হোলো লাগেজ নিয়ে যুদ্ধ। (চলবে)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

---

---

🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩

@rupok