বন্ধুদের সাথে অপ্রত্যাশিতভাবে ঈদ পরবর্তী আড্ডা (প্রথম পর্ব)।
গত দুদিন থেকেই মনটা কিছুটা খারাপ। কারন ছুটি শেষ হয়ে গেলো অথচ বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে পারলাম না। আজ থেকে বাংলাদেশের বেশিরভাগ অফিস আদালত খুলে গিয়েছে। তাই আমি ধরেই নিয়েছিলাম যে সকল বন্ধু-বান্ধব বাইরে থেকে এসেছিল তারা সবাই আবার চলে গিয়েছে। কিন্তু দুপুরে বন্ধু রাসেলের ফোন পেয়ে আমার সেই ধারণাটা পরিবর্তন হয়ে গেলো। বন্ধু রাসেল ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করল বিকেলে বের হবো? কিনা আমি তখন ওকে প্রশ্ন করলাম তুই কি এখনো ফরিদপুরে আছিস? ও জানালো হ্যাঁ ও ফরিদপুরে আছে।
তখন ওর সাথে কথা বলে ঠিক করলাম বিকাল সাড়ে চারটার দিকে দুইজন ঘুরতে বের হবো। ঠিক ৪:৩০ টার সময় দুইজন এক জায়গায় মিলিত হলাম। তারপর সেখান থেকে আমাদের বন্ধুরা যে এলাকাতে থাকে সেখানের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। তারপর রাসেল ফোনে আরো বেশ কিছু বন্ধু-বান্ধবের সাথে যোগাযোগ করতে লাগলো। কিছুক্ষণ পর ও আমাকে ফেরদৌসের কথা জিজ্ঞেস করলো। আমি তখন ওকে বললাম ফেরদৌস সম্ভবত আজকে চলে গিয়েছে ওর কাজের উদ্দেশ্যে। তখন রাসেল আমাকে জানালো ফেরদৌস সম্ভবত আজকে যায়নি। ফেরদৌস আগামীকাল সকালে কাজের উদ্দেশ্যে রওনা দিবে। পরবর্তীতে ফোন দিয়ে জানতে পারলাম ফেরদৌস এখনো এলাকাতেই রয়েছে। এর ভেতর রাসেল ফোন দিয়ে আরো কয়েকজন বন্ধু বান্ধবকে এক জায়গায় আসতে বললো। কিছুক্ষণ পর আমরাও সেখানে উপস্থিত হলাম।
একে একে আমরা সেখানে চারজন বন্ধু জড়ো হলাম। চারজন এক হওয়ার পর আমরা চিন্তা করছিলাম কোথায় যাওয়া যায়? এর ভেতর সুমন নামে আমাদের এক বন্ধু সে প্রস্তাব দিল চলো আমরা সবাই মিলে পদ্মার পাড়ে ঘুরতে যাই। ওর প্রস্তাবটি সবারই পছন্দ হলো। কারণ আজকে সারাদিন বেশ গরম পড়েছে। যদিও আকাশে সূর্যের দেখা তেমন একটা ছিল না। তারপরেও সারাদিনব্যাপী একটা ভ্যাপসা গরম অনুভব করছিলাম। তাই চিন্তা করে দেখলাম এই আবহাওয়ায় নদীর পাড়ে গেলে হয়তো কিছুটা বাতাস পাওয়া যেতে পারে। সেই উদ্দেশ্যেই আমরা পদ্মার পাড়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
তবে পদ্মা পাড়ে পৌঁছে তো আমরা রীতিমতো অবাক হয়ে গেলাম। সেখানে দেখি লোকে লোকারণ্য। এতো লোকজন সেখানে জড়ো হয়েছে যে আমাদের হাটতেও রীতিমতো কষ্ট হচ্ছিলো। পদ্মা পাড়ের এই অবস্থা দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম এখানে আমরা থাকবো না। অন্য কোথাও চলে যাব সময় কাটানোর জন্য। এর ভেতরে আমাদের বন্ধু সুমন পুরি সিঙ্গারা খাওয়ার বায়না ধরল। কিন্তু ঈদের পরে হওয়ায় এখনো খেয়াল করে দেখলাম পুরি সিঙ্গারার দোকানগুলো খোলেনি। আমরা বেশ অনেকক্ষণ খোঁজাখুঁজি করেও কোন পুড়ি সিঙ্গারার দোকান খোলা পেলাম না। তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা টেপাখোলা লেকপাড়ে গিয়ে চটপটি খাবো। সেখানকার একজন চটপটি ওয়ালার চটপটি আমাদের সকলের কাছেই বেশ পছন্দের। সিদ্ধান্ত নেয়ার সাথেই আমরা সেই চটপটির দোকানের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।(চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | পদ্মার পাড় |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ঈদের ছুটি শেষ।ঢাকার সব কিছু খুলতে শুরু করেছে।কিন্তু আপনার বন্ধুরা এখনো এলাকাতে আছে।আর আপনাকে ফোন দিলে আপনারা একত্রিত হলেন।আপনারা এক হলেন পদ্মার পাড়ে যাবেন।সত্যিই তো আজ অনেক লোকজন এখানে। আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বেশ বুঝতে পারছি আজ লোকে লোকারণ্য। যাক আপনারা পুরি,সিংগারার দোকান খোলা না পেয়ে চটপটি খাবেন বলে ঠিক করলেন।আসলে বন্ধুদের সাথে মূহুর্তগুলো খুব আনন্দের হয়।বন্ধুদের সাথে খুব সুন্দর মূহুর্ত কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।