পছন্দের ফটোগ্রাফি পোস্ট।
কয়েকদিন আগে সকালে হাঁটতে বের হয়েছিলাম। হাটাহাটির একপর্যায়ে চলে গিয়েছিলাম পদ্মার পাড়ে। উদ্দেশ্য ছিলো সেখানে গিয়ে নদীর পাড়ের নিরিবিলি মনোরম পরিবেশে কিছুটা সময় কাটানো। আর নদীতে পানি কতোটা বেড়েছে সেটা দেখা। নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়ে এই ছবিটা তুলেছিলাম। ছবিতে আপনারা যে লোকটাকে দেখতে পাচ্ছেন তিনি চর থেকে নিজের ক্ষেতের উৎপাদিত ফসল শহর নিয়ে এসেছেন বিক্রির জন্য।
আমার পোস্ট যারা পড়েন তারা এই ছবিটা চিনতে পারেন। এটা হচ্ছে আমাদের শহরে নদীর পাড়ে অবস্থিত একটা ছোটখাটো রেস্টুরেন্ট। রেস্টুরেন্ট বলতে তেমন আহামরি কোনো কিছু না। তবে এই জায়গাটাতে বসে বর্ষা মৌসুমে নদীর চমৎকার একটা ভিউ পাওয়া যায়। যার ফলে শহরের অনেক মানুষজনই বিকালে এসে এখানে ভিড় করেন। এখানে এসে চা কফি খান আর নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করেন।
এই ছবিটাও নদীর পাড় থেকে তুলেছিলাম। এখানে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একটি নৌকা এসে পাড়ে ভিড়েছে। আর সে নৌকা থেকে কিছু লোকজন নামছে। আসলে এই নৌকাটি নদীর ওপারের চর থেকে মানুষজন নিয়ে এপারে এসেছে। শহরের মানুষজনের সাথে চরের যোগাযোগের জন্য এখনো একমাত্র মাধ্যম হিসেবে নৌকা ব্যবহৃত হচ্ছে। যদিও এখান থেকে কিছুটা দূরে একটা ব্রিজ নির্মাণাধীন অবস্থায় আছে। সেই ব্রিজটা নির্মাণ করা হয়ে গেলে তখন মানুষজন হয়তো সেই ব্রিজ দিয়েই শহরের সাথে যোগাযোগ করবে।
এখন ছবিতে আপনারা যে গাছটি দেখতে পাচ্ছেন এটা সম্ভবত একটা ডুমুর গাছ। যদিও আমি পুরোপুরি নিশ্চিত নই। এই ছবিটা তুলেছিলাম কয়েকদিন আগে। কয়েকদিন আগে আমি আম গাছের চারা কেনার জন্য ফরিদপুর হর্টিক্যালচার সেন্টারে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে আমি বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম। এই ছবিটি তার ভিতরে একটা।
এই ছবিতে আপনারা কয়েকটি স্পিডবোট দেখতে পাচ্ছেন। এই স্পিডবোট গুলো সম্ভবত সরকারি বিভিন্ন সংস্থার। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে যখন পদ্মায় পানি বারে। তখন এই স্পিডবোট গুলো এখানে দেখা যায়। এই স্পিডবোট গুলোতে করে পুলিশ নদীতে টহল দেয়। আবার বন্যার সময় এই স্পিডবোট গুলোতে করে সরকারি কর্মকর্তারা বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করেন।
এই ছবিটা আপনারা বাঁশ দেখতে পাচ্ছেন। নদীর পারে এই বাঁশগুলো রাখা হয়েছে বিক্রির উদ্দেশ্যে। আমাদের শহরে বাশ কেনার জন্য দুটো জায়গা রয়েছে। তবে এখানে তুলনামূলক কম দামে বাঁশ পাওয়া যায়। তাই শহরের অনেকেই এখান থেকে বাঁশ কিনতে আসেন।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @rupok,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
পদ্মা নদীর পাড়ে খুব সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছেন এবং খুব সুন্দর সুন্দর কয়েকটি ফটোগ্রাফি করেছেন।আপনার শেয়ার করা প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি আমার অনেক ভালো লেগেছে ভাইয়া। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমাদের মাঝে এত সুন্দর সুন্দর সব ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আমাদের এখানে তো কয়েকদিন আগে টানা বৃষ্টি হয়েছে, তাও আবার পুরো এক সপ্তাহের মতো। আর তার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বন্যা। এর কারণে কোথাও বের হওয়ার সুযোগ হয়নি। ঘরের মধ্যে অনেকদিন পর্যন্ত বন্দী হয়ে আছি। এখনো পর্যন্ত বাইরে যেতেই পারছি না। ঘুরাঘুরি করতে অনেক বেশি ইচ্ছে করছে। বাইরের মুক্ত বাতাসে সময় কাটাতে অনেক ভালো লাগে। অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি দেখলাম। আমার কাছে তো অনেক ভালো লেগেছে আপনার ফটোগ্রাফি।
আসলেই বৃষ্টির সময় গুরুত্বপূর্ণ কাজ না থাকলে বাহিরে যাওয়া হয় না। তাছাড়া বৃষ্টির দিনে বাহিরে যেতে এমনিতেও বিরক্ত লাগে। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো জাস্ট অসাধারণ হয়েছে ভাই। নদীর পাড়ে থাকা এমন রেস্টুরেন্টে বসে থাকতে খুব ভালো লাগে। কারণ খাওয়া দাওয়া করার পাশাপাশি নদীর চমৎকার দৃশ্য উপভোগ করা যায়। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।