মাছ বাজারে গিয়ে হতাশ হয়ে ফিরে আসা।
আমি সাধারণত প্রতিমাসের দুই তিন তারিখের ভিতরে মাসের বাজার গুলো করে ফেলি। অনেকে আছেন যাদের বাজার করতে খুব একটা ভালো লাগে না। একটা সময় আমারও একই অবস্থা ছিলো। কিন্তু এখন আমার বাজারে যেতে বেশ ভালোই লাগে। তবে দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতির কারণে মাঝে মাঝে বাজারে গেলে মেজাজটা খুবই খারাপ হয়ে যায়। যাই হোক এই মাসের শুরুর দিকে শারীরিক অসুস্থতার কারণে বাজারে যেতে পারিনি। তবে গতকালকে রাতে স্ত্রী বলছিল সকালে একটু বাজারে যেতে হবে। কারণ কাজের মহিলা কয়েক দিনের ছুটিতে বাড়িতে যাবে। তাই বাজার করে আনলে সে সব কাটাকুটি করে ফ্রিজে রেখে দিয়ে তারপর বাড়ি যাবে।
আমি চিন্তা করলাম কথাটা খারাপ বলেনি। যদিও এখনো আমার শরীরে কিছুটা দুর্বলতা রয়ে গিয়েছে। তার পরেও ফ্রিজ একেবারে খালি হয়ে যাওয়ার কারণে বাজারে না গিয়ে আর উপায় ছিল না। আমি যে বাজারটাই করি সবজি আর ফলমূল বাদে বাকি মাছ, মাংস, তেল, ডাল, চাল থেকে শুরু করে সবকিছুই পুরো মাসের বাজারটা একবারে করে ফেলি। সেই নিয়তে গিয়েছিলাম বাজারে। আজ সকালে বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিলো মূলত মাংস এবং মাছ কেনা। বাজারে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হতে বুঝতে পারলাম গুড়িগুড়ি বৃষ্টি পড়ছে। কিন্তু বৃষ্টিটা এতটাই কম যে চোখে দেখা যাচ্ছে না। তবে গায়ে বৃষ্টির পানির হালকা স্পর্শ টের পাচ্ছিলাম।
সদ্য জ্বর থেকে ওঠার কারণে বৃষ্টির পানিতে কিছুটা ভয় লাগছিলো। মনে হচ্ছিল আবার যদি জ্বর আসে তাহলে ভালো ঝামেলায় পড়তে হবে। যাই হোক তার পরেও কোন কিছু চিন্তা না করে বাজারে রওনা দিলাম। তবে বাজারে যাওয়ার পথে দেখতে পেলাম আজকে বাজারে এমনিতেই লোক সমাগম বেশ কম। কারণ সকাল থেকে হালকা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিলো। এই ধরনের আবহাওয়ায় নিতান্ত্য বাধ্য না হলে কেউ বাড়ি থেকে বের হতে চায় না। যেমন আমাকেও বাধ্য হয়ে বের হতে হয়েছিল। আকাশের এই অবস্থা দেখে আমি মনে করেছিলাম আজকে হয়তো বাজারে বেশ ভালো মাছ পাওয়া যাবে। তবে মাছ বাজারে গিয়ে আমি বেশ হতাশ হলাম।
মাছ বাজারে গিয়ে আমি প্রথম যে কাজটা করি সেটা হচ্ছে পুরো মাছ বাজার টা একবার ভালোভাবে ঘুরেফিরে দেখি কোথায় কি মাছ বিক্রি হচ্ছে। তারপর পছন্দমত মাছগুলো আস্তে আস্তে কিনতে শুরু করি। কিন্তু আজ বাজারে পৌঁছে পুরো বাজার দুইবার ঘোরার পরও পছন্দসই কোন মাছ দেখতে পেলাম না। আর খেয়াল করে দেখলাম বাজারে নদীর মাছের পরিমাণ বেশ কম। আমি আরো চিন্তা করেছিলাম যেহেতু নদী নালা খাল বিলে প্রচুর পানি এসেছে তাই এই নতুন পানির সাথে হয়তো নতুন মাছ ও এসেছে। বাজারে গেলে মনে হয় অনেক মাছ দেখতে পাবো। তবে বাজারে গিয়ে এই মাছ শূন্য অবস্থা দেখে আমি খুবই অবাক হলাম।
আজকে বাজারে যে মাছগুলো উঠেছিল তার ভেতর বেশিরভাগই ছিল পুকুরের চাষ করা মাছ। আমি বাজারে ঘুরছিলাম আর চিন্তা করছিলাম কি করা যায়। কারণ আমি যে মাছগুলো খাই দেখতে পেলাম না। যার ফলে বেশ কিছুখন মাছ বাজারে ঘোরাফেরা করে শেষ পর্যন্ত খালি হাতে বাড়িতে চলে এলাম। অবশ্য আসার আগে বেশ কয়েকটা মুরগি কিনে এনেছিলাম। তারপর সিদ্ধান্ত নিলাম সন্ধ্যার দিকে টেপাখোলা মাছ বাজারে যাবো। দেখি সেখান থেকে ভালো কোন মাছ কেনা যায় কিনা। কারণ সেই বাজারে প্রতিদিন সন্ধ্যার পরে প্রচুর নদীর মাছ ওঠে। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ যায় সেখানে মাছ কিনতে। তাই আমিও সেই বাজারে মাছ কিনতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। তারপর আমি সরাসরি বাড়িতে চলে এলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর মাছ বাজার |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বৃষ্টির দিনে বের হলে সবসময় ছাতা সাথে করে বের হবেন ভাই। মাত্র জ্বর থেকে উঠে আবারো বৃষ্টিতে ভিজা ঠিক হয় নি। সময় ভালো যাচ্ছে না, সবাইকে সাবধানে থাকা উচিত। আশা করছি সন্ধ্যায় টেপাখোলা মাছ বাজারে গিয়ে মন মতোন নদীর মাছ পেয়ে গেছেন...
ভাইয়া বর্ষার এই সময়টাতে ছোট ছোট নদী নালা গুলোতে প্রচুর পরিমাণে মাছ পাওয়া যায়। আর তাইতো আমাদের এদিকেও মাছের দামটা অনেক কমে গেছে। তবে আপনি বাজারে গিয়ে মাছ কিনতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে এসেছেন শুনে খুব খারাপ লাগলো। তবে আশা করছি টেপাখোলা মাছ বাজারে গিয়ে আপনি আপনার চাহিদা মত মাছ কিনে নিয়ে আসতে পারবেন।
নদীতে পানি আসায় অনেক মাছ দেখতে পাওয়ার কথা থাকলেও আপনি বাজারে গিয়ে মাছ পেলেন না।এখন সব জায়গায় চাষের মাছ নয়ত সামুদ্রিক মাছ বেশি দেখা যায়।যাক শুধু মুরগি নিয়ে বাসায় চলে গেলেন।পরে টেপাখোলা মাছ বাজারে গিয়ে মাছ কিনবেন জেনে ভালো লাগলো। তবে বাজারের নামটা কিন্তু অদ্ভুত।ধন্যবাদ ভাইয়া অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
চাষের মাছ আসলে বাধ্য হয়েই খেতে হয়। নদীর মাছ এখন খুব কম পাওয়া যায়। তাছাড়া দাম তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি। যাইহোক বৃষ্টির মধ্যে এতো কষ্ট করে বাজারে গিয়ে নদীর মাছ না পেয়ে বাসায় ফিরলেন। আশা করি টেপাখোলা মাছ বাজারে গিয়ে নদীর মাছ কিনতে পারবেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অসুস্থ শরীর নিয়ে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই সকাল সকাল মাছ বাজারে গেলেন। কিন্তুু এত কষ্ট বৃথা গেল। আপনার পছন্দ মত কোন মাছই পেলেন না। ব্যাপারটা খুবই হতাশা জনক হয়ে গেল। যায়হোক একটি কাজ তো হয়েছে। মুরগি কিনে নিয়ে গেছেন। আর টেপাখোলা মাছ বাজারের অভিজ্ঞতাও জানতে চায়। ধন্যবাদ।