কাঁঠালের বিচি ও সবজি দিয়ে টেংরা মাছের রেসিপি।

in আমার বাংলা ব্লগlast year

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


কিছুদিন থেকেই রান্নাবান্নার প্রতি আমার আগ্রহ বাড়ছে। আমি যেহেতু খেতে ভালোবাসি তাই ইউটিউবে প্রচুর পরিমাণে ফুড ব্লগ দেখি। মাঝে মাঝে রান্নাবান্নার দু'চারটা ভিডিও দেখি । তবে ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিওগুলি এমনভাবে দেয়া থাকে দেখে মনে হয় রান্না করা খুবই সহজ। কিন্তু বাস্তবে রান্না করতে গেলে অনেক রকম ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয়। তারপরও কিছুদিন আগে ইউটিউব থেকে একটি রেসিপি দেখে বাসায় তৈরি করার চেষ্টা করেছিলাম। বলতে গেলে এটাই ছিল আমার জীবনের প্রথম রান্না করার অভিজ্ঞতা। রেসিপিটি ছিল চিকেন কড়াই রেসিপি। জীবনে প্রথম রান্না হিসেবে খাবারটা খেতে খারাপ হয়নি। অবশ্য রান্নার কাজে আমার স্ত্রী আমাকে অনেকটা সাহায্য করেছিলো। রান্না করার ক্ষেত্রে আমার যে সমস্যা হয় সেটা হোলো রান্নায় ব্যবহার করা উপকরণ গুলোর পরিমাণটা আমার ঠিক মনে থাকে না। এই কারণে আমাকে বারবার স্ত্রীর সাহায্য নিতে হয়। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করি আজকের রেসিপি।


কাঁঠালের বিচি ও সবজি দিয়ে টেংরা মাছের রেসিপি

Polish_20230624_202641679.jpg

উপকরণ সমূহ

Polish_20230624_202930531.jpg

উপকরণপরিমান
টেংরা মাছ৬ টি
আলু২ টি
ঝিঙ্গা৩ টি
কাঁঠালের বিচি২০ ইচ্ছা মতো
পেঁয়াজ কুচি৩ টি
কাঁচা মরিচ৪ টি
পেঁয়াজ বাটা৩ টেবিল চামচ
আদা বাটা১ চা চামচ
রসুন বাটা১ চা চামচ
হলুদ গুঁড়া২ চা চামচ
লাল মরিচ গুঁড়া১ চা চামচ
ধনিয়া গুঁড়া১ চা চামচ
জিরা গুঁড়া১ চা চামচ
লবনস্বাদমতো
তেলপরিমাণমত

রান্নার প্রনালী

IMG_20230621_131347.jpgIMG_20230621_131354.jpg

প্রথমে একটি কড়াইয়ে সামান্য তেল নিয়ে নেই। তারপর তেল গরম হয়ে এলে তার ভেতরে কেটে রাখা পেঁয়াজগুলো হালকা করে ভেজে নেই।

IMG_20230621_131615.jpgIMG_20230621_131710.jpg

এখন কড়াইয়ের ভেতর সমস্ত রকম বাটা মশলা এবং গুড়া মসলা দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নেই।

IMG_20230621_131749.jpgIMG_20230621_132342.jpg

এখন ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখা টেংরা মাছগুলো কড়াইয়ের ভেতর দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে মসলার সাথে মিশিয়ে নিই। তারপর ভালোভাবে কিছুক্ষণ কষিয়ে নেই। এ সময় অল্প একটু পানি দিতে হবে। মাছ কষানো হয়ে গেলে কড়াইয়ের ভেতর থেকে উঠিয়ে আলাদা একটি পাত্রে রাখতে হবে।

IMG_20230621_133832.jpgIMG_20230621_133906.jpg

এখন কেটে রাখা সবজিগুলো কড়াইয়ের ভেতর দিয়ে প্রথমে কিছুক্ষণ কষিয়ে নেই। তারপর অল্প একটু পানি দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করি।

IMG_20230621_134629.jpgIMG_20230621_134334.jpg

যখন কড়াইয়ের ভেতর পানি কিছুটা শুকিয়ে আসবে। তখন আগে থেকে কষিয়ে রাখা মাছগুলো কড়াইয়ের ভেতর দিয়ে আরো কিছুটা পানিযোগ করে কিছুক্ষণ রান্না করি।

IMG_20230624_223451.jpg

ব্যাস তৈরি হয়ে গেল দারুন মজাদার কাঁঠালের বিচি ও সবজি দিয়ে টেংরা মাছের রেসিপি। গরম ভাতের সাথে টেংরা মাছের ঝোল আর সাথে যদি হয় এক টুকরো লেবু তাহলে খাওয়াটা রীতিমতো জমে যায়। শুরুর দিকে রান্না হিসেবে রান্নাটা একেবারে খারাপ হয়েছিলো না। আশা করি আপনারা সকলে বাসায় এই রেসিপিটি তৈরি করে দেখবেন। খেতে খারাপ লাগবে না।


আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসহুয়াই নোভা 2i
ফটোগ্রাফার@rupok

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  
 last year 

কাঁঠালের বিচি ও সবজি দিয়ে টেংরা মাছের রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। এতো মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

কি যে বলেন ভাই ৷ রান্না বান্না করা বেশ কষ্ট আছে ৷ আমরা যতটা সহজ মনে করি মটেও তা নয় ৷ বিগত কিছুদিন আগে মা আন্তীয় বাড়িতে গিয়েছিল ৷ সেদিন আমি রান্না করতে বুজেছি ৷
যা হোক এখন কিন্তু কাঠাঁলের বিচি দিয়ে যে কোনো তরকারি অনেক ভালো লাগলো ৷
গ্রামের অধিকাংশই বিচি দিয়ে নানা তরকারির সাথে খায় ৷

আপনি বিচি দিয়ে টেংরা মাছের ঝোল করেছেন ৷ দেখে জিভে জল এসে গিয়েছে ৷ ভালো লাগলো ভাই এমন সুন্দর একটি ইউনিক রেসেপি দেখে ৷

 last year 

যখন যেকোনো একটি বিষয়ের উপরে একজন প্রেজেন্টার্স উপস্থাপনা করে তখন সেটি তাৎক্ষণিক শুনতে বা দেখলে অনেক সহজ মনে হয়। কেননা তারা অনেকবার ট্রাইল দিয়ে তারপরে লোকমুখে সেটি বলে বা করে।
আসলে বাস্তব পক্ষে করতে গেলে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হওয়াটাই স্বাভাবিক।
কাঁঠালের বিচি দিয়ে মাছের খুব মজাদার রেসিপি প্রস্তুত করেছেন দেখেই লোভ হচ্ছে।
এমনিতেই কাঁঠালের বিচি আমার খুব ফেভারিট রেসিপি করে অথবা ভেজে দু রকমই খেতে পারি।

 last year 

ভাইয়া আপনার জীবনের প্রথম রেসপিটি ছিল চিকেন কড়াই রেসিপি। মনে হচ্ছে প্রথম রেসিপিটি করে বেশ ভালোই অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন কাঠালের বিচি দিয়ে টেংরা মাছ রান্নার রেসিপি। যাক শুনে বেশ ভালোই লাগলো যে ভাবী আপনাকে রান্নায় বেশ সহায়তা করে। তবে আপনার রেসিপি দেখে কিন্তু বেশ বুঝা যাচ্ছে যে রেসিপিটি বেশ মজার ছিলো।

 last year 

আসলে কাঁঠালের বিচি এই সময় আমার আম্মুর সব তরকারিতেই দেখি দেয়। তবে খেতেও বেশ ভালই লাগে। টেংরা মাছ কিন্তু আমার খুবই পছন্দ একেবারে চলে এসেছে বলতে গিয়ে। রেসিপিটির কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুবই টেস্ট হয়েছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

খুব মজার রেসিপি শেয়ার করলেন ভাইয়া।খুব ভালো লাগলো আপনার প্রথম রান্না করা রেসিপি দেখে। টেংরা মাছ তো খুবই মজার মাছ।এর সাথে আলু,কাঁঠালের বিচি,ঝিঙ্গা দিয়ে রান্না করাতে আরো বেশী টেস্টি হয়েছে আশাকরি।যাক একটু একটু রান্না করলে আপুর জন্য বেশ ভালোই হবে। একই হাতের রান্না আসলে মজার হয়না। ডিফারেন্ট মানুষ ডিফারেন্ট রান্না। আর খাবারের স্বাদও ডিফারেন্ট। ধন্যবাদ ভাইয়া মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।

 last year 

কাঁঠালের বিচি ও সবজি টেংরা রেসিপি দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে। এরকম রেসিপি আমারও খেতে খুবই প্রিয়। কাঠালের বিচি বেশি পছন্দের, আর রেসিপিটি তাই আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে।

 last year 

মাঝে মাঝে আমিও ফুড ব্লগিং দেখি, যখন সেই ফুড ব্লগিং গুলো দেখি মনে হয় যে, এগুলো রান্না করা একটা ব্যাপারই না। কিন্তু বাস্তবে রান্না করা যে কতটা কঠিন সেটা আপনি হয়তো বা উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। যদিও রান্না করার কাজে আপনার ওয়াইফ আপনাকে সাহায্য করে এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো, যাইহোক কাঁঠালের বিচি দিয়ে টেংরা মাছ রান্নার এই রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু ছিল। মজাদার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last year 

ভাইয়া ইউটিউব দেখে আমিও একসময় রান্না করতাম। তবে ভিডিওগুলো দেখে রান্না করা যতটা সহজ মনে হয়, আসলে রান্না করার সময় বুঝা যায় সেটা ততটা সহজ নয়। যাইহোক আপনি কিন্তু সুমা আপুর হেল্প নিয়ে মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। রেসিপির কালার দেখেই বুঝা যাচ্ছে আপনার হাতের জোস কিন্তু খুবই ভালো। আশা করি সামনে আরো মজার মজার রেসিপি তৈরি করতে পারবেন। আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 62410.74
ETH 2445.09
USDT 1.00
SBD 2.67