কাঁঠালের বিচি ও সবজি দিয়ে টেংরা মাছের রেসিপি।
কাঁঠালের বিচি ও সবজি দিয়ে টেংরা মাছের রেসিপি
উপকরণ সমূহ
উপকরণ | পরিমান |
---|---|
টেংরা মাছ | ৬ টি |
আলু | ২ টি |
ঝিঙ্গা | ৩ টি |
কাঁঠালের বিচি | ২০ ইচ্ছা মতো |
পেঁয়াজ কুচি | ৩ টি |
কাঁচা মরিচ | ৪ টি |
পেঁয়াজ বাটা | ৩ টেবিল চামচ |
আদা বাটা | ১ চা চামচ |
রসুন বাটা | ১ চা চামচ |
হলুদ গুঁড়া | ২ চা চামচ |
লাল মরিচ গুঁড়া | ১ চা চামচ |
ধনিয়া গুঁড়া | ১ চা চামচ |
জিরা গুঁড়া | ১ চা চামচ |
লবন | স্বাদমতো |
তেল | পরিমাণমত |
রান্নার প্রনালী
প্রথমে একটি কড়াইয়ে সামান্য তেল নিয়ে নেই। তারপর তেল গরম হয়ে এলে তার ভেতরে কেটে রাখা পেঁয়াজগুলো হালকা করে ভেজে নেই।
এখন কড়াইয়ের ভেতর সমস্ত রকম বাটা মশলা এবং গুড়া মসলা দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নেই।
এখন ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখা টেংরা মাছগুলো কড়াইয়ের ভেতর দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে মসলার সাথে মিশিয়ে নিই। তারপর ভালোভাবে কিছুক্ষণ কষিয়ে নেই। এ সময় অল্প একটু পানি দিতে হবে। মাছ কষানো হয়ে গেলে কড়াইয়ের ভেতর থেকে উঠিয়ে আলাদা একটি পাত্রে রাখতে হবে।
এখন কেটে রাখা সবজিগুলো কড়াইয়ের ভেতর দিয়ে প্রথমে কিছুক্ষণ কষিয়ে নেই। তারপর অল্প একটু পানি দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করি।
যখন কড়াইয়ের ভেতর পানি কিছুটা শুকিয়ে আসবে। তখন আগে থেকে কষিয়ে রাখা মাছগুলো কড়াইয়ের ভেতর দিয়ে আরো কিছুটা পানিযোগ করে কিছুক্ষণ রান্না করি।
ব্যাস তৈরি হয়ে গেল দারুন মজাদার কাঁঠালের বিচি ও সবজি দিয়ে টেংরা মাছের রেসিপি। গরম ভাতের সাথে টেংরা মাছের ঝোল আর সাথে যদি হয় এক টুকরো লেবু তাহলে খাওয়াটা রীতিমতো জমে যায়। শুরুর দিকে রান্না হিসেবে রান্নাটা একেবারে খারাপ হয়েছিলো না। আশা করি আপনারা সকলে বাসায় এই রেসিপিটি তৈরি করে দেখবেন। খেতে খারাপ লাগবে না।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
কাঁঠালের বিচি ও সবজি দিয়ে টেংরা মাছের রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। এতো মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কি যে বলেন ভাই ৷ রান্না বান্না করা বেশ কষ্ট আছে ৷ আমরা যতটা সহজ মনে করি মটেও তা নয় ৷ বিগত কিছুদিন আগে মা আন্তীয় বাড়িতে গিয়েছিল ৷ সেদিন আমি রান্না করতে বুজেছি ৷
যা হোক এখন কিন্তু কাঠাঁলের বিচি দিয়ে যে কোনো তরকারি অনেক ভালো লাগলো ৷
গ্রামের অধিকাংশই বিচি দিয়ে নানা তরকারির সাথে খায় ৷
আপনি বিচি দিয়ে টেংরা মাছের ঝোল করেছেন ৷ দেখে জিভে জল এসে গিয়েছে ৷ ভালো লাগলো ভাই এমন সুন্দর একটি ইউনিক রেসেপি দেখে ৷
যখন যেকোনো একটি বিষয়ের উপরে একজন প্রেজেন্টার্স উপস্থাপনা করে তখন সেটি তাৎক্ষণিক শুনতে বা দেখলে অনেক সহজ মনে হয়। কেননা তারা অনেকবার ট্রাইল দিয়ে তারপরে লোকমুখে সেটি বলে বা করে।
আসলে বাস্তব পক্ষে করতে গেলে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হওয়াটাই স্বাভাবিক।
কাঁঠালের বিচি দিয়ে মাছের খুব মজাদার রেসিপি প্রস্তুত করেছেন দেখেই লোভ হচ্ছে।
এমনিতেই কাঁঠালের বিচি আমার খুব ফেভারিট রেসিপি করে অথবা ভেজে দু রকমই খেতে পারি।
ভাইয়া আপনার জীবনের প্রথম রেসপিটি ছিল চিকেন কড়াই রেসিপি। মনে হচ্ছে প্রথম রেসিপিটি করে বেশ ভালোই অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন কাঠালের বিচি দিয়ে টেংরা মাছ রান্নার রেসিপি। যাক শুনে বেশ ভালোই লাগলো যে ভাবী আপনাকে রান্নায় বেশ সহায়তা করে। তবে আপনার রেসিপি দেখে কিন্তু বেশ বুঝা যাচ্ছে যে রেসিপিটি বেশ মজার ছিলো।
আসলে কাঁঠালের বিচি এই সময় আমার আম্মুর সব তরকারিতেই দেখি দেয়। তবে খেতেও বেশ ভালই লাগে। টেংরা মাছ কিন্তু আমার খুবই পছন্দ একেবারে চলে এসেছে বলতে গিয়ে। রেসিপিটির কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুবই টেস্ট হয়েছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য।
খুব মজার রেসিপি শেয়ার করলেন ভাইয়া।খুব ভালো লাগলো আপনার প্রথম রান্না করা রেসিপি দেখে। টেংরা মাছ তো খুবই মজার মাছ।এর সাথে আলু,কাঁঠালের বিচি,ঝিঙ্গা দিয়ে রান্না করাতে আরো বেশী টেস্টি হয়েছে আশাকরি।যাক একটু একটু রান্না করলে আপুর জন্য বেশ ভালোই হবে। একই হাতের রান্না আসলে মজার হয়না। ডিফারেন্ট মানুষ ডিফারেন্ট রান্না। আর খাবারের স্বাদও ডিফারেন্ট। ধন্যবাদ ভাইয়া মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
কাঁঠালের বিচি ও সবজি টেংরা রেসিপি দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে। এরকম রেসিপি আমারও খেতে খুবই প্রিয়। কাঠালের বিচি বেশি পছন্দের, আর রেসিপিটি তাই আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
মাঝে মাঝে আমিও ফুড ব্লগিং দেখি, যখন সেই ফুড ব্লগিং গুলো দেখি মনে হয় যে, এগুলো রান্না করা একটা ব্যাপারই না। কিন্তু বাস্তবে রান্না করা যে কতটা কঠিন সেটা আপনি হয়তো বা উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। যদিও রান্না করার কাজে আপনার ওয়াইফ আপনাকে সাহায্য করে এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো, যাইহোক কাঁঠালের বিচি দিয়ে টেংরা মাছ রান্নার এই রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু ছিল। মজাদার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাইয়া ইউটিউব দেখে আমিও একসময় রান্না করতাম। তবে ভিডিওগুলো দেখে রান্না করা যতটা সহজ মনে হয়, আসলে রান্না করার সময় বুঝা যায় সেটা ততটা সহজ নয়। যাইহোক আপনি কিন্তু সুমা আপুর হেল্প নিয়ে মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। রেসিপির কালার দেখেই বুঝা যাচ্ছে আপনার হাতের জোস কিন্তু খুবই ভালো। আশা করি সামনে আরো মজার মজার রেসিপি তৈরি করতে পারবেন। আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল।