এই ঝামেলার ভেতর ঢাকা থেকে ফরিদপুর ফেরার অভিজ্ঞতা (শেষ পর্ব)।

in আমার বাংলা ব্লগlast month (edited)

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


শুনতে পেলাম সেখানে নাকি সেনাপ্রধান আসবে পরিস্থিতি দেখতে। তাই আমি সেখানে রিকশা ছেড়ে দিয়ে হেঁটে কিছুটা সামনে আগালাম। তারপর সেখান থেকে আরেকটা রিক্সা নিয়ে গেলাম কদমতলী চৌরাস্তা পর্যন্ত। সেখানে যেতেই দেখতে পেলাম একটি বাস দাড়িয়ে রয়েছে। আমি সেখানে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম বাসটি কোথায় যাবে? বাসের স্টাফ জানালো বাসটি ভাংগা বিশ্বরোড পর্যন্ত যাবে। শুনে আমি খুব খুশি হয়ে গেলাম। আমি আর বেশি দেরি না করে সাথে সাথে সেই বাসে উঠে বসলাম। কারণ একবার ভাঙ্গা পর্যন্ত যেতে পারলে সেখান থেকে ফরিদপুর শহর মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূর। এই রাস্তাটুকু যেতে আমার আর কোন সমস্যা হবে না।

1000009986.jpg

যদিও আমি বাসা থেকে বের হয়েছিলাম অন্য রাস্তা দিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু সেই রাস্তায় নদী পার হতে হবে। সেজন্য আমি সেই রাস্তাতে যাওয়ার পরিকল্পনা বাদ দিয়ে দিলাম। কারণ সেদিন আকাশের অবস্থা খুব একটা ভালো ছিলো না। আর সেখানকার পদ্মা নদীর যে অংশটা পার হতে হবে সেই অংশটা বেশ উত্তাল থাকে বছরের এই সময়টাতে। যার ফলে আবহাওয়া খারাপ থাকলে সেই পথে না যাওয়াটাই ভালো হবে বলে আমার মনে হোলো। যাইহোক আমি বাসে উঠে বসে চিন্তা করছিলাম বাস কতক্ষণ পরে ছাড়বে। কারণ তখনও বাসে বেশি প্যাসেঞ্জার আসেনি। অবশ্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরেই দেখলাম প্রচুর প্যাসেঞ্জার চলে এলো।

তবে প্যাসেঞ্জার এসে বাস ভরে গেলেও দেখি বাস ছাড়ছে না। তখন জানতে পারলাম বাসের চাবি একজন পুলিশ সার্জেন্ট নিয়ে আটকে রেখেছে। পরবর্তী তারা সেই পুলিশকে কিছু টাকা দিয়ে সেই গাড়ির চাবি নিতে সমর্থ হোলো। তারপর বাস ভাঙ্গার উদ্দেশ্যে রওনা দিলো। আমরা সব সময় সাধারণত ফরিদপুরে ভালো মানের পরিবহনে যাতায়াত করি। কিন্তু এখন বাধ্য হয়ে লোকাল বাসে যেতে হচ্ছিলো। অবশ্য লোকাল বাস হলেও খুব একটা সমস্যা হয়নি। কারণ রাস্তাঘাটে তেমন কোথাও থামেনি বাসটা। আর রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকার কারণে আমাদের ভাঙ্গা পৌঁছাতেও খুব একটা বেশি সময় লাগেনি।

যাইহোক নির্ধারিত সময়ের কিছুক্ষণ পরে ভাঙ্গা পৌছালো। সেখান থেকে আমি অন্য একটি বাসে উঠে বসলাম ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে। আমি উঠে বসার কিছুক্ষণের ভেতরেই সেই বাস ছেড়ে দিলো। ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর যাওয়ার রাস্তাটাও বেশ ফাঁকা ছিলো। তবে আমাদের গাড়ির ড্রাইভার কম বয়সী হলেও সে গাড়ি চালাচ্ছিল খুবই আস্তে। ফাঁকা রাস্তায় এত আস্তে গাড়ি চালানোর কারণটা আমি বুঝতে পারলাম না। যেখানে ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর যেতে সর্বোচ্চ ৪০ মিনিট লাগার কথা। সেখানে তারা এক ঘন্টার বেশি লাগিয়ে দিলো এই পথটুকু যেতে। তাদের এই কাজ দেখে আমার মেজাজ খুবই খারাপ হয়েছিলো। তারপরেও যখন আমাদের শহরে পৌঁছলাম তখন সমস্ত মন খারাপ দূর হয়ে গেলো। বাস থেকে নেমেই একটি রিক্সা নিয়ে বাসায় পৌঁছলাম। দীর্ঘদিন পর নিজের বাড়ি ফিরতে পেরে কি যে চমৎকার অনুভূতি হয়েছিলো সেটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। আর এভাবেই আমি ঢাকা থেকে ফরিদপুর পৌছালাম।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসHONOR 90
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানফরিদপুর

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last month 

বর্ষাকালে মেঘ বৃষ্টির কোনো নিশ্চয়তা নেই, তাই মৈনট ঘাট দিয়ে নদী পার হয়ে না গিয়ে, বাসে করে প্রথমে ভাঙ্গা এবং ভাঙ্গা থেকে আবার ফরিদপুর শহরে চলে গিয়েছেন,এটা খুব ভালো হয়েছে। যাইহোক ঠিকমতো বাসায় পৌঁছাতে পেরেছেন, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই। এতো সুন্দর অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last month 

বাসের চাবিও আজকাল পুলিশে নিয়ে আটকে রাখছে! তারপর আবার টাকা দিয়ে সেটা ছাড়াতে হচ্ছে। হা হা হা.. 🤔🤣 তবে পোস্ট পড়ে যতটা বুঝতে পারলাম যে, আপনি বাড়ি যাওয়ার জন্য যথেষ্ট কষ্ট করেছেন। যদিও রাস্তাটা দেখে কোন সমস্যা হতে পারে বলে মনে হচ্ছিল না। যাই হোক, আপনি শেষ পর্যন্ত এই পরিস্থিতির মধ্যেও যে সুস্থভাবে বাড়ি পৌঁছাতে পেরেছেন, এটাই সবথেকে বড় কথা দাদা।

 last month 

মৈনট ঘাট দিয়ে গেলে নদী পার হতে হবে তাই অন্য পথে গিয়ে ভালো ই করেছেন। বাস ও পেয়ে গেলেন ভাঙ্গা পর্যন্ত যাওয়ার।এরপর সেখানে নেমে অন্য একটি বাসে চড়ে ফরিদপুর পৌঁছাতে পারলেন খুব ভালো ভাবে। জেনে ভালো লাগলো। বহুদিন পর পরিবার ও নিজের শহরে পা ফেলার পরের আনন্দটা অনেক বেশি আনন্দের।অনুভূতি গুলো শেয়ার করলেন ভাইয়া এজন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 57912.63
ETH 2348.79
USDT 1.00
SBD 2.37