কাচ্চি দরবারের মিরপুর শাখা থেকে কাচ্চি খাওয়ার অভিজ্ঞতা।
তাই ঢাকা যাওয়ার অনেক আগে থেকেই মনে মনে পরিকল্পনা করে রেখেছিলাম সেখান থেকে কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়ার। ঢাকা যেদিন পৌঁছালাম সেদিন বোনের বাসায় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে বের হয়ে পড়েছিলাম। বের হওয়ার আগে পরিকল্পনা করলাম আগে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করি। যেহেতু অনেক সকালে নাস্তা করে বাসা থেকে বের হয়েছি। তাই বেশ ক্ষুধা লেগেছে। সেই জন্য আগে কাচ্চি খাওয়ার পরিকল্পনা করলাম। যদিও মিরপুর এলাকাটা আমি খুব একটা ভালো চিনিনা। তারপরেও ফেসবুক মারফত সেই রেস্টুরেন্টের লোকেশন নিয়ে আমি কারওয়াণ বাজার থেকে মেট্রো তে করে মিরপুর ১০ এ পৌছালাম। সেখান থেকে রিক্সা নিয়ে গেলাম মিরপুর নিউমার্কেটে যেটা মিরপুর ১ এ অবস্থিত। সেখানে পৌঁছতেই আমি রেস্টুরেন্টটা দেখতে পেলাম। তারপর আর দেরি না করে ঢুকে গেলাম সেই রেস্টুরেন্টে। কি খাবো সেটা তো আগে থেকে ঠিক করে রেখেছিলাম। যার ফলে অর্ডার করতে আমার একেবারেই সময় লাগেনি।
আমি অর্ডার করেছিলাম সিঙ্গেল কাচ্চি প্লাটার। এই প্লাটারে ছিলো ২ পিস মাটন, একটা জালি কাবাব, একজনের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ রাইস, আর বাদামের শরবত। অর্ডার করার পরে অবশ্য আমাকে খুব একটা বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। কিছুক্ষণের ভেতরেই তারা আমার টেবিলে খাবার পরিবেশন করেছিলো। আমি যেই টেবিলটাতে বসেছিলাম সেটা থেকে সামনের রাস্তার চমৎকার একটা ভিউ পাওয়া যাচ্ছিলো। একটা জম্পেশ খাওয়া দেওয়ার জন্য জায়গাটা ছিলো একেবারেই পারফেক্ট। কাচ্চি টেবিলে চলে আসতেই আমি দেরি না করে খেতে শুরু করলাম। তবে এবার ছবি তুলতে ভুল করিনি। এবার খাওয়া শুরু করার আগেই কিছু ছবি তুলে নিয়েছিলাম। তবে এই রেস্টুরেন্টটি যে কথা বলে তাদের প্রচারণা চালাচ্ছে তার সাথে তাদের খাবারের একটা অমিল দেখতে পেলাম। তারা দাবি করেছে তারা ঢাকার ভেতরে সবচেয়ে বড় পিসের মাটন দিয়ে কাচ্চি তৈরি করে। কিন্তু আমার প্লেটে যে দুই পিস মাংস পেয়েছিলাম এই দুই পিস ছিলো এভারেজ সাইজের। যদিও মাংসটা খুবই সফট ছিলো। কাচ্চিটাও খেতে বেশ ভালো ছিলো। যেহেতু টেস্ট ভালো ছিলো তাই মাংসের সাইজ নিয়ে আর আমি কোন কমপ্লেন করিনি।
আমি ধীরেসুস্থে খাওয়া-দাওয়া সারছিলাম। এর ভেতরে এক ফাকে ওয়েটার এসে আমাকে জিজ্ঞেস করলো আর কিছু লাগবে কিনা? যাইহোক আমি সময় নিয়ে নিজের খাওয়াটা শেষ করলাম। খাওয়া শেষ হতে যে বাদামের শরবত নিয়েছিলাম ঠান্ডা সে শরবতটা খেতে লাগলাম। এদের বাদামের শরবতটা আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগেনি। কারণ এর আগে আমি মুঘল এম্পায়ার নামক একটা রেস্টুরেন্ট থেকে এই বাদামের শরবত খেয়েছিলাম। তাদের বাদামের শরবত ছিলো অনেক বেশি ঠিক গাঢ়ো। আর এই রেস্টুরেন্টের বাদামের শরবতটা ছিলো একেবারেই হালকা। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ফেরার সময় মনে হচ্ছিলো এই কাচ্চি খেতে এত দূর আসার কোন মানেই হয় না। কারণ এদের কাচ্চির সাথে অন্য রেস্টুরেন্টের কাচ্চি গুলোর তেমন কোন ডিফারেন্স নেই। শুধু শুধু আমাকে বেশ কিছু টাকা খরচ করে সেখানে যেতে হয়েছে। যাইহোক তারপরও যেহেতু কাচ্চির স্বাদ ভালো ছিলো তাই ব্যাপারটাকে একটা নতুন এক্সপেরিয়েন্স হিসেবে নিলাম। আর এভাবেই আমার এবারের কাচ্চি খাওয়ার অভিজ্ঞতা শেষ হোলো।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | মিরপুর |
![logo.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZEaz6VZmitMY1N8dSXHuT2tfgXFnDKjY8iV7jNGuNwEE/logo.png)
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
![standard_Discord_Zip.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/standard_Discord_Zip.gif)
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া আপনি যে একজন ভোজন রসিক মানুষ এটা আপনার পোস্ট পড়েই স্পষ্ট ভাবে বোঝা যাচ্ছে। যদি আপনি ভজন প্রিয় না হতেন তাহলে এত টাকা খরচ করে এত দূরে যেয়ে কাচ্চি খেতেন না। যাই হোক কাচ্চি খাওয়া নিয়ে সুন্দর একটা অনুভূতি লিখেছেন । আসলেই কিছু কিছু খাবার, অনেক দামি রেস্টুরেন্ট গুলোতেও ভালো মানের হয় না। সেটা এই রেস্টুরেন্টেও হয়েছিল বাদামের শরবতে। ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার কাচ্চি খাবার অনুভূতি জানতে পেরে।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। কমেন্টে কিছু বানান ভুল রয়েছে অনুগ্রহপূর্বক সেগুলো ঠিক করে নিন।
ধন্যবাদ ভাই, ভুল ঠিক করে নিয়েছি।
ভাই মেট্রোরেল আছে বলেই আপনি সাহস করে মিরপুর মাজার রোডের দিকে অবস্থিত কাচ্চি দরবারে গিয়েছেন কাচ্চি খেতে। নয়তো জ্যাম ঠেলে মিরপুর যেতে যে কি বিরক্ত লাগতো,তা বলার মতো নয়। আমার ফুফুর বাসা চিড়িয়াখানা রোডে। তাই ওদিকে প্রায়ই যাওয়া হয়। আর কাচ্চি দরবার সনি হল থেকে ২/৩ মিনিট লাগে যেতে। তাছাড়া অল্প একটু সামনে গেলেই জার্মান টেকনিক্যাল রয়েছে। সেখান থেকে আমি কোরিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজ শিখেছিলাম অনেক আগে। যাইহোক এতো কষ্ট করে সেখানে গিয়ে তাহলে তেমন একটা লাভ হয়নি আপনার। তাছাড়া বাদামের শরবত পাতলা হলে খেতে ভালো লাগে না। সবাই শুধু বিক্রির উদ্দেশ্যে হাইলাইট করে সবকিছু। কিন্তু কাজের বেলায় ঠনঠনানি। যাইহোক বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করে খাবার টেস্ট করতেও কিন্তু ভালো লাগে। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন। মেট্রোরেল না থাকলে আমি কখনোই মিরপুরে যাওয়ার সাহস পেতাম না।
আপনি খাওয়া দাওয়ার পর্ব গুলো বেশ ভালোই শেয়ার করেন ভাইয়া। বিশেষ করে আপনার শেয়ার করা খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ লোভনীয় হয়। অনেক ভালো লাগলো আপনার খাবারের মুহূর্ত সুন্দরভাবে বর্ণনা সহকারে আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। যেহেতু সকালে নাস্তা খেয়ে বের হয়েছিলেন বেশ ক্ষুধা লাগারই কথা। যখন পেটে পর্যাপ্ত পরিমাণ খিদা থাকে সেই সময় যদি এত লোভনীয় খাবার সামনে থাকে তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। বেশ ভালো জমে যাবে খাওয়া-দাওয়া গুলো। অনেক ভালো লাগলো আপনার আজকের ব্লগ পড়ে।