ঢাকায় গিয়ে পরিবার নিয়ে বড় আপুর সাথে ঘোরাফেরা ও খাওয়া-দাওয়া ( দ্বিতীয় পর্ব)।
তারপর আমরা খুঁজতে লাগলাম কোন রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়া যায়। একটা রেস্টুরেন্টে দেখতে পেলাম রুমালি রুটি বানানো হচ্ছে। ৩০০ ফিটের নীলা মার্কেটের দোকানগুলিতে কমন আইটেম হচ্ছে হাঁসের মাংস আর চাপরি। তবে আমরা যে রেস্টুরেন্টটা দেখেছিলাম সেখানে চাপরির পাশাপাশি রুমালি রুটি ও বানানো হচ্ছিলো। তখন আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম সেখানে বসেই আমরা খাওয়া-দাওয়া করবো। রেস্টুরেন্ট বলতে আপনারা যেমনটা মনে করছেন তেমন কিছু না। যারা নীলা মার্কেটে যাননি তাদের বিষয়টা বুঝতে একটু কষ্ট হতে পারে। রেস্টুরেন্ট বলতে বেশিরভাগ দোকানই রাস্তার পাশে অল্প কিছু জায়গা কাঠ বাঁশ দিয়ে ঢেকে কোনো রকমে তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বসার জন্য প্লাস্টিকের চেয়ার আর টেবিল ব্যবহার করে করা হয়েছে বেশিরভাগ জায়গায়। আমরা সেই রেস্টুরেন্টে ঢুকে হাঁসের মাংস, রুমালি রুটি, আর চাপরি অর্ডার করলাম।
তবে তাদের দোকানে প্রচুর ভিড় থাকার কারণে তারা খাবার পরিবেশন করতে বেশ দেরি করলো। কয়েকবার তাড়া দেয়ার পর আমাদের টেবিলে খাবার এলো। প্রথমে তারা টেবিলে চাপরি পরিবেশন করেছিলো। চাপরির সাথে দুই তিন রকমের ভর্তাও ছিলো। তবে সেখানকার চাপরিটা আমার কাছে খুব একটা বেশি ভালো লাগেনি। কারণ এর আগের বার যখন নিলাম মার্কেটে এসে চাপরি খেয়েছিলাম সেটা ছিল বেশ স্পাইসি এবং ক্রিসপি। কিন্তু সেদিনের চাপরিটা মোটেও ক্রিস্পি ছিল না। বুঝতে পারলাম সবগুলো রেস্টুরেন্টে একই জিনিস রান্না করলেও খাবারের স্বাদে তারতম্য রয়েছে। যাইহোক কিছুক্ষণ পর আমাদের টেবিলে তারা হাঁসের মাংস পরিবেশন করল সাথে দিলো রুমালি রুটি। তাদের হাঁসের মাংস রান্নাটা আসলেই বেশ ভালো হয়েছিলো। হাঁসের মাংস দিয়ে রুমালি রুটি আর চাপড়ি খেতে বেশ ভালো লাগছিলো। আমরা চারজনে মিলে খাবো না খাবো না করেও প্রায় নয় দশটা চাপরি খেয়েছিলাম। সাথে নিয়েছিলাম কয়েকটি রুমালি রুটি। রুমালি রুটি দিয়ে হাঁসের মাংস খেতেও দারুন লেগেছিলো। যাইহোক সবকিছু মিলে খাবারের টেস্টটা মোটামুটি ভালই ছিলো।
আমাদের খাওয়া দাওয়া শেষ হলে আমার ভাগ্নের জন্য আর গাড়ির ড্রাইভার এর জন্য খাবার পার্সেল নেয়া হয়েছিলো। তারপর সেখান থেকে বিল মিটিয়ে আমরা বাইরে চলে এলাম। সেই রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে আমরা চিন্তা করছিলাম এখন কি করা যায়? এর ভেতরে খেয়াল করে দেখলাম সেখানে যাওয়ার পর থেকে আমার মেয়ের মেজাজটা খুব একটা ভালো না। কারণ তার কাছে এই ধরনের ঘোরাফেরা পছন্দ হচ্ছে না। আসলে বাচ্চারা এইভাবে ঘোরাফেরা করতে খুব একটা পছন্দ করে না। বাচ্চাদের কাছে ঘোরাফেরা মানে পার্কে গিয়ে কোন রাইডে চড়া। আমরা নীলা মার্কেটে পৌঁছানোর পরে একটি জায়গায় দেখেছিলাম বাচ্চাদের চরার জন্য কয়েকটি রাইড বসানো হয়েছে। আমার মেয়ে শুরু থেকেই সেদিকে যাওয়ার প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছিলো। কিন্তু সেই জায়গাটা কিছুটা দূরে হওয়ায় আমি খুব একটা আগ্রহী ছিলাম না (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | নিলা মার্কেট |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার বড় আপুকে সাথে নিয়ে ঢাকায় ঘুরাঘুরি ও খাওয়া-দাওয়া করে, বেশ আনন্দে সময় কাটিয়েছেন, তা আমরা বেশ বুঝতে পারছি ভাইয়া! পরিবারের সাথে এ রকম আউটিং মনে প্রশান্তি নিয়ে আসে। কাজে উদ্দীপনা যোগায়। বাইরে ঘুরতে গেলেই হাসের মাংশ খাওয়ার চল চলছে এখন।বেশ মার্কেট পেয়েছে হাসের মাংশ। পোস্টের ছবি গুলো সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে, পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আজকে উত্তরা থেকে আসার সময় পূর্বাচল দিয়ে বাসায় এসেছিলাম। যদিও এই বছর এখনো বাণিজ্য মেলায় ঢুকিনি। যাইহোক নীলা মার্কেটের দিকে ঘুরাঘুরি করতে এবং খাওয়া দাওয়া করতে ভীষণ ভালো লাগে। রুমালি রুটি আমার ভীষণ পছন্দ। খাসির কড়াই গোস্ত দিয়ে গরম গরম রুমালি রুটি খাওয়ার মজাই আলাদা। যাইহোক চাপড়ি ছোটবেলায় প্রচুর পরিমাণে খেতাম। যদিও আমাদের দিকে এটাকে চাপটি বলা হয়। হাঁসের মাংস দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে ভাই। যাইহোক আপনারা সবাই বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন সেখানে। যদিও আপনার মেয়ের মন খারাপ হয়ে গিয়েছে এভাবে সময় কাটানোর জন্য। আশা করি পরবর্তীতে আপনার মেয়ের মন ভালো হয়েছিল। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।
হ্যাঁ ভাইয়া ৩০০ ফিটের দুই একটি জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলাম ।তার মধ্যে নীলা মার্কেটেও কয়েকবার যাওয়া হয়েছিল। সেখানের পরিবেশটা প্রথম যখন কয়েকবার গিয়েছিলাম তখন ভালো লেগেছে ।কিন্তু এখন পরিবেশটা নষ্ট হয়ে গেছে। তখন আমরাও চাপটি ভর্তা আর হাঁসের মাংসের সাথে রুমালি পিঠা খেয়েছিলাম। তবে এটা ঠিক কথা বলেছেন ভাইয়া সব দোকানে খাবারের স্বাদ কিন্তু একরকম নয়। আমরা যে দোকানগুলোতে খেয়েছিলাম সেখানে খাবারগুলো ছিল অসাধারণ। যেমন ধরেন আমরা যারা এই প্লাটফর্মে কাজ করি সবাই এখানে অনেকেই দেখা যায় প্রায় একই ধরনের পোস্ট করি ।কিন্তু সে পোস্ট গুলোর মধ্যে এক একটি পোস্ট একেক ধরনের হয়। তবে পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘোরাফেরার মজাটা কিন্তু আলাদা। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে। ঢাকায় এসে আপনার পরিবার নিয়ে ঘোরাফেরা ও খাওয়া দাওয়ার সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য
ঠিক বলেছেন ভাইয়া খাবার একই হলেও বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের খাবারের টেস্ট ভিন্ন রকম হয়। তবে হাঁসের মাংসটা দেখেই মনে হচ্ছিল খেতে বেশ ভালো হয়েছিল। আর বাচ্চারা একটু পার্কের মত জায়গায় ঘুরতে বেশি পছন্দ করে। কারণ তারা সেখানে গেলে অনেক আনন্দ পায়।