মক্কা মদিনার কিছু ছবি।

প্রথমে যে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন এটি মদিনাতে অবস্থিত মসজিদে নববীর ছবি। পুরো বিশ্বের মুসলমানদের কাছে এই মসজিদটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। গুরুত্বের দিক দিয়ে এই মসজিদটি মুসলমানদের কাছে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এই মসজিদের সাথে জড়িয়ে রয়েছে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্মৃতি। তার রওজা এই মসজিদেই অবস্থিত। যার ফলে এখানে সব সময় লাখো মুসল্লির ভিড় লেগে থাকে। মসজিদটি আকারে বিশাল বড়ো। এখানে একসাথে কয়েক লক্ষাধিক লোক নামাজ পড়তে পারে।

এই ছবিটি আমি মদিনাতে আসার পরে রাতের বেলায় তুলেছিলাম। ছবিটাতে আপনারা যে বিল্ডিং গুলো দেখতে পাচ্ছেন এই বিল্ডিংগুলো মসজিদে নববীর ঠিক সামনেই অবস্থিত। এই বিল্ডিং গুলোর বেশিরভাগই হোটেল। হজ্জে আগত লোকেরা এই সমস্ত হোটেলে অবস্থান করে থাকে। অবশ্য এই হোটেল গুলোর ভাড়া অনেক বেশি। যার ফলে সবার পক্ষে এখানে থাকা সম্ভব হয় না।

এই ছবিটি মদিনাতে আসার পথে তুলেছিলাম। মদিনাতে ঢোকার সাথে সাথেই রাস্তার পাশ দিয়ে একটু পর পর ছোট বড়ো নানা রকম খেজুর বাগান দেখতে পাচ্ছিলাম। দেখেই বোঝা যাচ্ছিলো এই শহরটি আসলে খেজুর বাগানের শহর। শহরে ঢোকার সময় দেখেছিলাম এখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে প্রচুর খেজুর বাগান রয়েছে। যার ফলে খেয়াল করে দেখেছি মদিনাতে খেজুরের দাম বেশ কম।

এই ছবিটি মক্কা থেকে মসজিদে হারামের কাছ থেকে তোলা। মক্কায় আমি খেয়াল করে দেখেছি সেখানে বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর কবুতর এভাবে রাস্তার উপরে বসে থাকে। এদের যেনো মানুষ নিয়ে কোন ভীতি নেই। অবশ্য ভীতি থাকার কোন কারণও নেই। কারণ এখানে কেউই কবুতর ধরে না। বরং হজে আগতরা কবুতরের জন্য খাবার এনে খাওয়ার। যার ফলে কবুতরগুলো অনেকটা পোষ মানা কবুতরের মতো আচরণ করে।

মক্কায় থাকাকালী জাবালে নূর পাহাড়ে উঠেছিলাম। সেই পাহাড় থেকে যখন নামি তখন এই ছবিটি তুলেছিলাম। ছবিটি পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত একটি পর্যটন কেন্দ্র থেকে তোলা। এখানকার সৌন্দর্য আপনারা ছবিতে খুব একটা ভালো বুঝতে পারবেন না। তবে সামনাসামনি জায়গাটা আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছিলো। অবশ্য শুধু আমার কাছে নয় সেখানে আগত সকলেই জায়গাটির অনেক প্রশংসা করছিলো।

এই ছবিটি তোলার আগ পর্যন্ত মনে একটা আফসোস কাজ করছিলো। যে মরুভূমির দেশে আসলাম অথচ এখন পর্যন্ত উটের দেখা পেলাম না। তবে এই দৃশ্য দেখার পরে সেই আফসোস চলে গিয়েছে। সেদিন জাবালে নূর থেকে নামার সময় ছবিটা তুলেছিলাম। সেখানে উটের পিঠে ঘুরে বেড়ানোর ব্যবস্থা ছিলো। পাহাড়ের পাদদেশে সমাগত দর্শনার্থীরা অনেকেই উটের পিঠে চড়ছিলো।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

---

---

🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩

@rupok