শীতের সকালে মাছ বাজার থেকে মাছ কেনার অভিজ্ঞতা।
নানা কারণে নদীর মাছের পরিমাণ এখন অনেক কমে গিয়েছে। আর আগে খালে বা পুকুরে যে মাছ পাওয়া যেতো সেগুলো ন্যাচারালি বড় হোতো। তবে এখন বেশিরভাগ পুকুরে নানা উপায়ে মাছ চাষ করা হয়। তবে সেই মাছগুলো খেতে খুব একটা ভালো লাগে না। কারণ সেই মাছগুলোকে এমন কিছু খাবার খাওয়ানো হয় যে খাবার খেলে মাছগুলো দ্রুত বেড়ে ওঠে। যদিও কৃত্রিম উপায়ে বড় করা এই মাছগুলো এখন আমাদের দেশের মানুষের মাছের চাহিদার বেশিরভাগ মিটিয়ে থাকে। আমি যখনই মাছ বাজারে যাই তখন প্রথমে একবার পুরো বাজারটা ঘুরে দেখি কি কি মাছ উঠেছে। তারপর পছন্দমত মাছ কেনা শুরু করি। এই দিনেও আমি বাজারে পৌঁছে প্রথমে আমি পুরো বাজারটা একবার ঘুরে ফিরে দেখতে লাগলাম। তবে মাছ বাজারের একটা জিনিস আমার কাছে ভালো লাগে না। সেটা হচ্ছে কিছু কিছু জায়গায় বেশ নোংরা থাকে।
যাই হোক বাজারটা ঘুরে দেখতে দেখতে হঠাৎ করে চোখ গেল এক বিক্রেতারা চিংড়ি মাছের দিকে। চিংড়ি মাছ গুলো দেখলাম তখনো নাড়াচাড়া করছে। এমনিতে বাজার থেকে যে চিংড়ি মাছ গুলি আমরা কিনি সেগুলো বেশিরভাগই খুলনার দিক থেকে আসে। যেগুলো বিভিন্ন ঘেড়ে চাষ করা হয়েছে। তবে সেই মাছগুলো আমরা কখনই এমন তাজা অবস্থায় পাই না। সব বেশ কিছুদিন ধরে ফ্রিজিং করা অবস্থায় থাকে। তাই এই তাজা চিংড়ি মাছ গুলো দেখতে পেয়ে সেটার দাম জিজ্ঞেস করলাম। বিক্রেতা আমার কাছে কেজি চাইলো এক হাজার টাকা করে। আমি তাকে ৮০০ টাকা বললে সে দিতে রাজি হলো না। তখন আমি চিন্তা করলাম আরো একটু ঘুরে দেখি অন্য কোথাও এই চিংড়ি পাওয়া যায় কিনা। তখন বাজারে ঘুরতে ঘুরতে আরো এক বিক্রেতার কাছে সেই একই রকমের তাজা চিংড়ি পেয়ে গেলাম। পরে তার কাছ থেকে ৯০০ টাকা কেজি দরে চিংড়ি কিনলাম। তারপর আবার ঘুরে ফিরে দেখতে লাগলাম এখন কোন মাছ কেনা যায়। তবে গতকাল বাজারে গিয়ে আমার কাছে মনে হয়েছে মাছের দামটা এখন অনেকটা বেশি। কারণ যেই শোল মাছ আগে সাতশো আটশো টাকা করে কেজি বিক্রি করতো সেই শোল মাছ গতকাল এক হাজার বারোশো টাকা করে কেজি চাইছিলো।
তাছাড়া অন্যান্য মাছের দাম ও দেখলাম আগের থেকে বেশ বেড়েছে। আমি আরো কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করে আমার প্রয়োজনমতো আরো কিছু মাছ কিনলাম। মাছ কেনা শেষ হলে আমি সবজি বাজারের দিকে গেলাম। যদিও সবজি কেনার তেমন কোনো ইচ্ছা ছিল না। তারপরেও সবজি বাজার গিয়েছিলাম দেখার জন্য যে পছন্দ মতো কোনো কিছু পেলে সেটা কিনবো। তবে সবজি বাজারে গিয়ে তেমন ব্যতিক্রমী কিছু চোখে পরলো না। তখন আর দেরি না করে সোজা বাসার দিকে রওনা দিলাম। এমনিতেই বেশ কিছুক্ষণ হাঁটার ফলে শরীর কিছুটা দুর্বল লাগছিলো। তাই একটি রিক্সায় করে বাসায় দিকে রওনা দিলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
| ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
|---|---|
| ফটোগ্রাফার | @rupok |
| স্থান | ফরিদপুর |
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন শীতের সকালে মাছ বাজার থেকে মাছ কেনার অভিজ্ঞতা। আপনি মাসে বাজারে গিয়েছেন একটু ঘুরেছেন এরপরে সেখান থেকে ৯০০ টাকা কেজি দরে চিংড়ি কিনেছেন। যাক আপনার পোষ্টের মাধ্যমে চিংড়ি মাছের দামটাও জানা হয়ে গেল। মনে হচ্ছে বাজার একটু বেড়ে গিয়েছে।
আগে প্রচুর পরিমাণে নদীনালা, খাল-বিলের মাছ পাওয়া যেতো, কিন্তু এখন তেমন একটা পাওয়া যায় না। আর পেলেও দাম অতিরিক্ত চায়। যাইহোক মাছের দাম বর্তমানে অনেকটা বেশি। আমি গত পরশু দিন মাছের বাজারে গিয়ে, চিংড়ি মাছ সহ ৬/৭ ধরনের মাছ কিনেছিলাম। দাম বেশি হলেও কিছু করার নেই,কারণ এভাবেই চলতে থাকবে। যাইহোক হাঁটাহাঁটি করে মাছ বাজারে গিয়ে ৯০০ টাকা কেজি চিংড়ি মাছ সহ আরও কিছু মাছ কিনেছেন, এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
মাছ কেনা নিয়ে ভাল একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনি ঠকই বলেছেন, নদীর মাছ সাধরণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। অন্যান্য মাছেরও দাম দিন দিন বাড়ছে। সাধারণ মানুষ এখন বাজার নিয়ে চিন্তিত। কোন ভাবেই নিয়ন্ত্রণ হচ্ছেনা বাজারের আগুন। পোস্টটি শেয়ার দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া,এখন নদীর মাছ আর তেমন বেশি একটা দেখা যায়না।বাজারে উঠলেও সেগুলো যেনো প্রভাবশালীদের অধিকার,গরিব শ্রেণীর মানুষের জন্যে সেগুলো,আকাশ ছোঁয়ার মত।মাছের দাম ও আকাশ ছোঁয়া ,যাইহোক তাও আপনিও জীবিত চিংড়ি পাইছিলেন ৯০০ টাকা দরে।চাষ কৃত মাছ এখন বাজারে বেশি আসলেই।