তিন বন্ধুর পুরান ঢাকা অভিযান (শেষ পর্ব)।

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


বিউটি ল্যাস্যি এর অবস্থান বিসমিল্লাহ কাবাব ঘর থেকে অল্প কিছুটা দূরে। যার ফলে সেখানে পৌঁছতে আমাদের বেশি সময় লাগেনি। তবে পুরাতন ঢাকার নাজিরা বাজারের এই রাস্তাটা নানা রকম বিখ্যাত খাবারের দোকানে ঠাসা। কারণ আমরা দেখছিলাম হাজির বিরিয়ানি, তার পাশেই হানিফ বিরিয়ানি, তার কিছুটা সামনে বিসমিল্লাহ কাবাব ঘর। আবার এদিকে হাজির বিরিয়ানির আগে কলকাতা কাচ্চি ঘর, তার আগে বিউটি লাস্যি আরো অনেক জনপ্রিয় খাবারের দোকান রয়েছে একই জায়গাতে। সম্ভবত নান্নার মোরগ পোলাও এর আশেপাশে কোথাও অবস্থিত। যার ফলে এই রাস্তাটা ঢাকার খাদ্যপ্রেমীদের কাছে খুবই পরিচিত একটি রাস্তা। সেখান দিয়ে যখন ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছিলাম তখন এক অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছিলো। কারণ আমি ফুড ব্লগারদের ভিডিও দেখি এবং প্রত্যেকটা ফুড ব্লগারকেই দেখেছি আমি পুরাতন ঢাকার এই রাস্তার বিভিন্ন দোকানের খাবারের ভিডিও করতে।

IMG_20231201_174357.jpg

যাইহোক আমরা বিসমিল্লাহ কাবাব ঘর থেকে বের হয়ে অল্প কয়েক মিনিটের ভেতরেই বিউটি লাস্যির দোকানে পৌঁছে গেলাম। এই দোকানটিও অনেক পুরাতন। এরা এদের লাস্যি এবং লেবুর শরবতের জন্য বিখ্যাত ছিলো। সেই সাথে পাওয়া যেত দই চিড়া, ফালুদা ইত্যাদি। তবে বর্তমানে তারা কাচ্চি বিরিয়ানিও বিক্রি শুরু করেছে। এ ব্যাপারটি আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে। ধরুন আপনি এখান থেকে কাচ্চি বিরিয়ানি খেয়ে খাওয়া শেষে এক গ্লাস লাস্যি খেয়ে মনের তৃপ্তি নিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে পারবেন। যাইহোক আমরা সেখানে পৌঁছে দেখলাম খুব একটা বেশি ভিড় নেই। তবে এই দোকানটাতে গরমের দিনে প্রচুর ভিড় লেগে থাকে। কারণ এদের যে মূল আইটেমগুলো সেগুলো গরমের ভেতর খেতে বেশি ভালো লাগে। যেহেতু আমাদের খাওয়া দাওয়া একটু বেশি হয়ে গিয়েছিলো। তাই আমরা চিন্তা করছিলাম এক গ্লাস লাস্যি খেতে পারলে মন্দ হোতো না।


IMG_20231201_174409.jpg

আমরা সেখানে বসে তিনজনের জন্য লাস্যির অর্ডার দিলাম। এদের লাস্যির বিশেষত্ব হচ্ছে এরা লাস্যি তৈরি করতে যে দই ব্যবহার করে সেটা তারা নিজেরাই বানায়। আমরা কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতেই আমাদের সামনে চলে এলো ঠান্ডা এক গ্লাস লাস্যি। গ্লাসে চুমুক দিতেই মনটা ভালো হয়ে গেলো। তিন বন্ধু বসে আমাদের লাস্যি শেষ করলাম। অবশ্য আমার কাছে এ দোকানের লেবুর শরবতটাও দারুন লাগে খেতে। আমি এর আগে যখনই বিউটি লাস্যিতে এসেছি প্রতিবারই লেবুর শরবত খেয়েছি। অবশ্য এই দিনও আমি আসরের নামাজ পড়ে বন্ধুদের কাছে যাওয়ার পথে এক গ্লাস লেবুর শরবত খেয়েছিলাম। বিরিয়ানি এবং কাবাব খাওয়ার পর পেট ভরা থাকার কারণে আর কিছু খেতে ইচ্ছে করছিলো না। বিউটি লাস্যি খাওয়ার পর এবারের মত আমাদের খাওয়া দাওয়া পর্ব শেষ হয়ে গেলো।


তবে আমি আগে পরিকল্পনা করেছিলাম সন্ধ্যার পরে আমরা পেশোয়ারাইন নামের একটি রেস্টুরেন্টে যাবো নিহারি খেতে। কিন্তু এদিন আমাদের খাওয়াটা হয়েছে একেবারে অসময়ে। যার ফলে পেটে আর নিহারি খাওয়ার জায়গা ছিলো না। মূলত আমার পরিকল্পনা ছিল দুপুরের দিকে আমরা কোন একটা রেস্টুরেন্ট থেকে কোন খাবার খাবো। তারপর বিকালের দিকে কাবাব খাবো। তারপরে কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করে সন্ধ্যার পরে যাবো নিহারি খেতে। কিন্তু ফেরদৌসের একটা ভুলের কারণে পরিকল্পনা পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিলো। যাই হোক পরিকল্পনা করে রেখেছি এরপরে তিন বন্ধু ঢাকায় এক হলে আমরা পেশোয়ারাইন নামের রেস্টুরেন্টে যাবো নীহারী খেতে। কারণ শুনেছি তাদের নেহারির স্বাদ দুর্দান্ত।


আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসহুয়াই নোভা 2i
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানঢাকা

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 11 months ago 

বাপরে বাপ। পুরান ঢাকার তো আর কোন জায়গা বাকী রাখেন নি। মোটামুটি সব গুলো হোটেলেই খেয়ে তার টেস্ট নিলেন। ভাবছি সারাদিন এত খাবার কি করে খেলেন। তবে বিউছি লাচ্ছির লাচ্ছি খেতে কিন্তু এখনও ছেলেমেয়েরা গভীর রাতে সেখানে ভিড় জমায়। দারুন ছিল আপনার আজকের পোস্ট। ধন্যবাদ ভাইয়া এত গুলো খাওয়ার রিভিউ শেয়ার করার জন্য।

 11 months ago 

আসলেই ভাই পুরাতন ঢাকায় অনেক অনেক ফুড ব্লগাররা গিয়ে ব্লগিং করে থাকে। যাইহোক হাজির বিরিয়ানি এবং বিসমিল্লাহ কাবাব ঘর থেকে কাবাব খাওয়ার পর আপনারা বিউটি লাচ্ছি খেয়েছেন, এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। সবমিলিয়ে আপনারা দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন। আশা করি পরবর্তীতে ঢাকায় এলে পেশোয়ারাইন রেস্টুরেন্টের নিহারি খেতে পারবেন। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 11 months ago 

পুরান ঢাকার খাবার খুব বিখ্যাত।রোজার সময় টিভিতে দেখি খুব ভালো লাগে। পুরান ঢাকায় বেড়ে ওঠা হলেও কখনও এসব খাবার গিয়ে খাওয়া হয়নি।কারন আমার আম্মুই পাকা রাঁধুনি ছিলেন।তাই বাইরে গিয়ে এসব খাবার পরোখ করা হয়নি।আপনারা তিন বন্ধু মিলে ল্যাস্যি খেতে গেলেন।দোকানে ভীড় তেমন নেই।কারন গরমের দিনে উপচে ভরা ভীড় থাকে।এখন তেমন নেই।তারা নিজেরাই দই তৈরি করে সেই দই দিয়ে ল্যাস্যি করে।আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। এবার পেটে কারোই জায়গা ছিল না। তাই নিহারি খাওয়া হলো না।আশাকরি পরবর্তীতে আবার ঢাকা এলে খেতে পারবেন।এমনটাই ইচ্ছা পোষন করলেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.22
TRX 0.20
JST 0.034
BTC 91793.75
ETH 3121.53
USDT 1.00
SBD 3.17