সরকারি নার্সারিতে কিছুটা সময় কাটানো।
বর্ষাকাল শুরু হয়ে গিয়েছে এখন চলছে বাংলা আষাঢ় মাস। এই মাসে সাধারণত প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় বাংলাদেশে। এজন্য গাছ লাগানোর জন্য এই সময়টাকে বিবেচনা করা হয় সবচাইতে ভালো সময় হিসেবে। যদিও আজকের আগ পর্যন্ত আমাদের শহরে বৃষ্টিপাত একেবারে হয়নি বলতে গেলেই চলে। তবে আজকেই মোটামুটি ভালো বৃষ্টিপাত হয়েছে। আমাদের শহরে একটি সরকারি নার্সারি রয়েছে। সেখানে গাছপালা নিয়ে নানারকম গবেষণাও হয়। সেই নার্সারিতে ঘুরতে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। দীর্ঘদিন থেকে চিন্তা করছিলাম একবার সেই নার্সারিতে গিয়ে ঘুরে আসবো। কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার কারণে আর যাওয়া হচ্ছিল না।
তবে আজ সকালে উঠে খুব বেশি চিন্তা-ভাবনা না করেই নার্সারিতে রওনা দিলাম। কারণ কারণ খেয়াল করে দেখেছি বেশি চিন্তা-ভাবনা করতে গেলে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয় না। যাই হোক বাসা থেকে বের হয়ে অটো রিক্সা করে গেলাম কোর্টপাড় পর্যন্ত। সেখানে গিয়ে আমার প্রিয় একটি জায়গা থেকে লুচি, মিষ্টি, সবজি দিয়ে নাস্তা করে তারপর রওনা দিলাম নার্সারীর উদ্দেশ্যে। অটো রিক্সা করে সরাসরি সেই নার্সারি পর্যন্ত পৌঁছালাম। তবে যখন আমি নার্সারিতে পৌঁছেছি তখন আবহাওয়া ছিল অনেক গরম। নার্সারীর ভেতর প্রবেশ করে আমি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ফিরে দেখছিলাম আর বারবার নিজের ঘাম মুছছিলাম। গরম এতটাই তীব্র ছিল যে নার্সারিতে ঘোরাফেরার আনন্দটাই মাটি হয়ে গিয়েছিলো।
যদিও নার্সারীর ভেতর প্রচুর গাছপালা ছিলো। তবে নার্সারির ভেতরের যে রাস্তাগুলো সেই রাস্তার পাশের গাছগুলো এখনো ছোট ছোট। তাছাড়া তেমন কোন ছায়াদায়ী গাছও রাস্তাগুলোর পাশে নেই। যার ফলে নার্সারির ভেতরে রাস্তাতে হাঁটতেও আমার বেশ কষ্ট হচ্ছিলো। অনেক গরম হলেও আমি ধীরেসুস্থে নার্সারীর শুরু থেকে শেষ মাথা পর্যন্ত সবকিছু ঘুরে ফিরে দেখতে লাগলাম। সেখানে যেমন নানা রকমের ফুলের গাছ দেখতে পেলাম। আবার সেই সাথে অনেক ফলের গাছও ছিলো নার্সারিতে। খেয়াল করে দেখলাম বিভিন্ন প্রজাতির আমের গাছে আম ধরে রয়েছে। আবার কয়েকটি আম গাছে দেখলাম অনেকগুলো ডাল লাগিয়ে কলম তৈরি করা হচ্ছে।
নার্সারির ভেতর ঘুরতে ঘুরতে নার্সারীর এক লোকের সাথে দেখা হয়ে গেলো। তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম আপনাদের নার্সারীর ভেতরের ফল গাছগুলোতে যেই ফল হয় সেই ফলগুলো আপনার বিক্রি করেন না? তিনি বললেন হ্যাঁ আমরা বিক্রি করি। কিন্তু খুচরা বিক্রি করি না। টেন্ডারের মাধ্যমে একবারে সব ফল বিক্রি করে দেয়া হয়। তবে বিষয়টি আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগেনি। আমি আশা করেছিলাম সেখান থেকে কিছু ফল কিনতে পারবো। কারণ এখান থেকে ফল কিনতে পারলে সেই ফলটা ফ্রেশ পাওয়া যেতো।
তবে টেন্ডারের মাধ্যমে যে সমস্ত ব্যবসায়ীরা এখান থেকে ফল কিনে নেয় তারা সেই ফলগুলো যখন বাজারে বিক্রি করে তখন হয়তো সেই ফলগুলোতে ক্ষতিকর কেমিক্যাল মেশায় তারা। অথচ এই নার্সারি থেকে যদি সাধারণ জনগণের কাছে ফল বিক্রি করা হতো। তাহলে আশেপাশের এলাকার মানুষজন ক্ষতিকর কেমিক্যাল ছাড়া ফল খেতে পারতো। যাইহোক আমি ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন রকম ফুলের গাছ ফলের গাছ দেখছিলাম আর ছবি তুলছিলাম। এভাবে বেশ কিছুক্ষণ সেই নার্সারির ভেতর কাটানোর পরে আমি বাজারের দিকে রওনা দিলাম। কারণ সেখানে আমার কিছু জরুরী কাজ রয়েছে।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ভাজন ডাঙ্গা |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমিও এটা জানি যে সরকারি নার্সারি গুলোতে টেন্ডারের মাধ্যমে ফল বিক্রি করা হয়। তবে কি ভাইয়া, সরকারি নার্সারি গুলোতে যদি আপনার পরিচিত কোন লোক থাকে, তাহলে এই টাটকা টাটকা ফলগুলো এমনিতেই প্রচুর পরিমাণে খাওয়া যায়। বেড়াতে গেলে অনেক সময় হাতেও ধরিয়ে দেয়। যাই হোক ভাইয়া, সরকারি নার্সারিতে কাটানো মুহূর্তে আপনি খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন এবং সুন্দর বর্ণনা করেছেন এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভাইয়া সরকারি নার্সারির ভেতরের অংশের পরিবেশটি দেখতে বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে। কিন্তু টেন্ডার এর মাধ্যমে ফল বিক্রয়ের বিষয়টি জেনে আমার কাছে খুবই খারাপ লাগলো। যাহোক সরকারি নার্সারিতে কাটানো মুহূর্তটুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া ঢাকার আগারগাও একটি সরকারি নার্সারি আছে। সেটা হল কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর ভিতরে। ভিতরের পরিবেশ অনেক গোসল এবং পরিপাটি। আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে আমার সেই সরকার নার্সারীর কথা মনে হয়ে গেল। অসাধারণ লিখেছেন ভাইয়া।
বাহ্! নার্সারির ভিতরের পরিবেশটা দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে ভাইয়া। এমন পরিবেশে বিশেষ করে বিকেল বেলা হাঁটতে বেশি ভালো লাগে। এমন ফ্রেশ আম খাওয়ার মজাই আলাদা। যদিও ফ্রেশ আম পাওয়াটা বেশ কঠিন হয়ে গিয়েছে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।