ঈদের মার্কেটে চোরের উপদ্রব।

in আমার বাংলা ব্লগ5 months ago

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


ইদানিং দিনগুলো প্রচন্ড ব্যস্ততায় কাটছে। রয়েছে কমিউনিটির অনেক রকমের কাজ। সেই সাথে ব্যক্তিজীবনেরও অনেক কাজ রয়েছে। যেহেতু সামনে ঈদ তাই ব্যস্ততা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। সেই কারণে প্রতিদিনই নানারকম পরিকল্পনা নিয়ে ঘুম থেকে উঠতে হচ্ছে। কারণ আমি আগে থেকে পরিকল্পনা করে রাখি কোন কাজটা কোন সময় করবো। এটা করলে আপনার কাজগুলো সময় মতো সমাধা করতে সুবিধা হয়। যাইহোক আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলাম আজ সকালে উঠে প্রথমে পৌরসভায় যাবো। যথারীতি সকালে কমিউনিটির কিছু কাজ ছিলো সেগুলো শেষ করে আমি চলে গেলাম পৌরসভায়। সেখানে গিয়ে আমার প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে চিন্তা করলাম মার্কেটে একটা কাজ রয়েছে সেই কাজটা শেষ করে আসি। সেই কাজটা করার উদ্দেশ্যেই মার্কেটে গিয়েছিলাম।

IMG_20240403_114453.jpg

আমাকে মার্কেটের এক পাশ থেকে যেতে হবে অন্য পাশে। তাই আমি চিন্তা করলাম সোজা মার্কেটের দোতালায় উঠে ওই দিকটাতে গেলে আমার জন্য সুবিধা হবে। কারণ মার্কেটে নিচ তলায় প্রচন্ড ভিড় এর ভেতরে চলাফেরা করাই মুশকিল। দোতলায় উঠে যখন আমি মার্কেটের অপর প্রান্তের দিকে যাচ্ছিলাম হঠাৎ করে দেখি উৎসব জনতা নিচের দিকে তাকিয়ে কি যেনো দেখছে। আমিও তাদের দৃষ্টি অনুসরণ করে দেখার চেষ্টা করলাম। দেখতে পেলাম অনেক মানুষের ভিড়। তার ভেতরে তেমন কিছু দেখা যাচ্ছিল না। তবে বুঝতে পারছিলাম সেখানে কিছু একটা হচ্ছে। পাশে দাঁড়ানো একটা ছেলেকে জিজ্ঞেস করলাম ওখানে কি হয়েছে? ছেলেটা জানলো একটা চোর ধরা পড়েছে। তখন বুঝতে পারলাম আসলে চোরকে উত্তম মাধ্যম দেয়া হচ্ছে। প্রতিবছর যখনই ঈদ আসে তখনই এই ধরনের পকেটমার আর চোরদের উৎপাত দেখা যায়। বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে যায়। আর চুরিগুলো এরা এতো সুক্ষভাবে করে যে সহজে বোঝা যায় না।


IMG_20240403_114502.jpg

বুঝতে পারলাম এই চোরটার হয়তো কপাল খারাপ সেজন্য ধরা পড়ে গিয়েছে। সাধারণত এইসব চোরদের ধরা খুব মুশকিল হয়। বা কখনো মানুষ বুঝতে পারলেও তারা দৌড়ে মার্কেট থেকে পালিয়ে যায়। খেয়াল করে দেখলাম কিছু লোকজন চোরটাকে আরও মারতে চাচ্ছে। আর কয়েকজন চোরকে ঠেকাচ্ছে মার খাওয়ার হাত থেকে। তারা বলছে আর মারবেন না ছেলেটা মারা যেতে পারে। আর মারা গেলে পুলিশে ঝামেলা হবে তারপরেও দেখলাম সাধারণ জনগণ তাকে মারার চেষ্টা করছিলো। এই ঘটনা দেখার পর বুঝতে পারছিলাম না আসলে আমার কি করা উচিত। একবার মনে হচ্ছিলো রোজার ভিতর একজন মানুষকে এভাবে মারছে এটা ঠিক হচ্ছে না। আবার মনে হচ্ছিলো মানুষের অতি কষ্টে উপার্জিত টাকা এরা এইভাবে চুরি করে নিয়ে যায় এদের শাস্তি হওয়াই দরকার।


আসলে যে কোন বিষয়ে হুট করে সিদ্ধান্তে চলে আসা যায় না। ধরুন চোরটা যদি হয় খুবই অভাবী কয়েকদিনের অনাহারি তাহলে আমি বলবো তাকে না মেরে তাকে সংশোধনের একটা সুযোগ দেয়ার জন্য। আর এই চোরটা যদি হয় পেশাদার চোর বা মাদক সেবী তাহলে একে ধরে উত্তম দিয়ে পুলিশে কাছে দিয়ে দেয়া উচিত। যদিও সাধারণ মানুষ নানা বিষয় নিয়ে পেরেশানিতে থাকার কারণে এই ধরনের পরিস্থিতিতে তারা তাদের রাগ মেটায়। যাইহোক কয়েকজন লোককে দেখতে পেলাম চোরটা কে ধরে মার্কেটের বাইরে নিয়ে যাচ্ছে। তারপর আমিও আমার কাজের দিকে রওনা দিলাম।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসHONOR 90
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানফরিদপুর

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 5 months ago 

রোজার মধ্যে মানুষজন ঈদের শপিং করতে যায় বলে মানুষের প্রচুর ভিড় হয়। আর ভিড়ের মধ্যে পকেটমার বা চোরদের সুবিধা হয় চুরি করতে। তারা মানুষের টাকা পয়সা চুরি করে নিয়ে,অনেক মানুষের স্বপ্ন নষ্ট করে ফেলে। অনেকেই ঈদের শপিং এর জন্য আলাদা বাজেট করে থাকে, আর সেই বাজেট যদি এভাবে চুরি করে নিয়ে যায়, তাহলে দুঃখের সীমা থাকে না। যাইহোক চোরটি ধরা পরেছে এবং জনগণ তাকে উত্তম মধ্যম দিয়েছে, এটা দেখে খুব ভালো লাগলো। আমার মনে হচ্ছে এই চোরটি একজন পেশাদার চোর। কারণ এই সময় পেশাদার চোরদের আনাগোনা সবচেয়ে বেশি থাকে মার্কেটগুলোতে। যাইহোক এমন সচেতনতামূলক একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

Posted using SteemPro Mobile

 5 months ago 

চোর দুই ধরনের হয় প্রথমত অভাবী চোর আর দ্বিতীয়ত স্বভাবে চোর। অভাবে চুরি করলে তাদের মাফ করে দেওয়াই যায়। কিন্তু যদি সে স্বভাব চুরি করে সেটা দিয়ে মাদক সেবন করে তাহলে মুশকিল। ঈদের বাজারে এইরকম চোর রয়েছে অহরহ। কিন্তু এটা হয়তো ধরা পড়ে গিয়েছে এটাই হলো ব‍্যাপার। হাতে অনেক কাজ থাকলে আগে থেকে পরিকল্পনা করে রাখাই ভালো।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 58495.77
ETH 2579.09
USDT 1.00
SBD 2.44