শীতের সকালের ফটোগ্রাফি।
শুনতে পাচ্ছি ২০২৪ সাল হতে যাচ্ছে নাকি সবচাইতে উষ্ণতম বছর। মানে ২০২৪ সালে তাপমাত্রা সমস্ত রেকর্ড অতিক্রম করবে। ব্যাপারটা চিন্তা করতেই ভয় লাগছে। শুধু যে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়বে তা নয়। সেই সাথে বয়ে নিয়ে আসবে নানারকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ। যাই হোক এখন আর সেটা নিয়ে চিন্তা করে লাভ নেই। যে প্রসঙ্গে ছিলাম সেখানে ফিরে আসি। প্রতিবছর শীতের সময়টাতে আমি আর বন্ধু ফেরদৌস শহরের আশেপাশের সমস্ত জায়গায় ঘুরে ফিরে বেড়ায়। যদি কখনো শীত বেশি পড়ে তখন আমরা সেই শীত মোকাবেলার প্রস্তুত নিয়ে বাইরে বের হই। কিন্তু এ বছর ফেরদৌস না থাকায় আমি অনেকটা গৃহবন্দী হয়ে রয়েছি। যদিও দুদিন আগে ফেরদৌস ফরিদপুরে আসার পরে কিছুটা ঘোরাফেরা করেছিলাম। ফেরদৌস আবার দুই সপ্তাহ পরে ফরিদপুর আসবে। তখন আমরা বন্ধু-বান্ধব মিলে বাইরে ক্যাম্পিং করার প্রোগ্রাম করেছি। আশা করি সবকিছু যদি ঠিকঠাক থাকে তাহলে ক্যাম্পিংয়ের মাধ্যমে শীতের রাতের একটা ভালো অভিজ্ঞতা হবে।
শীতকালের পুরো সময়টাই আমার কাছে ভালো লাগে। সেটা শীতের সকাল হোক অথবা বিকাল। গরমের দিনে আমার সকালে হাঁটাহাঁটি কম হয়। বিশেষ করে যে সময়টাতে গরম বেশি পড়ে তখন আমি সকালেও হাঁটতে বের হই না। কিন্তু শীতের দিনে আমি চেষ্টা করি প্রতিদিনই হাঁটাহাঁটি করার। যদিও এখন অলসতার কারণে মাঝে মাঝে বাইরে যেতে ইচ্ছা করে না। এই কারণে হয়তো ছাদেই হাঁটাহাঁটি করি। তারপরেও কয়েকদিন আগে সকালবেলায় বাসা থেকে বের হয়ে গ্রামের দিকে গিয়েছিলাম হাটার জন্য। এর আগেও আমি আমার কয়েকটি পোস্টে বলেছি আমার বাসা থেকে মাত্র দু'এক কিলোমিটার দূরে গ্রামীণ পরিবেশ দেখা যায়। এজন্য কখনো গ্রামীণ পরিবেশের সংস্পর্শে যেতে ইচ্ছা হলে আমি সেদিকে চলে যায় যায়।
কয়েকদিন আগে আমি শীতের সকালের সৌন্দর্য উপভোগের জন্য গ্রামের দিকে হাটতে গিয়েছিলাম। যখন শহরের পরিবেশ থেকে গ্রামাঞ্চলে প্রবেশ করলাম তখন সেখানকার শীতের সকালের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। শহরের রাস্তায় সকালে কুয়াশাটা এত ভালোভাবে বোঝা যায় না। যখন আমি গ্রামীন এলাকায় প্রবেশ করলাম তখন দেখতে পেলাম সকালের কুয়াশাচ্ছন্ন গ্রামীণ পরিবেশ। যদিও এখনও খুব একটা বেশি কুয়াশা পড়া শুরু হয়নি। কিছুদিন পর যখন আরো বেশি কুয়াশা পড়বে তখন মাঝে মাঝে এমনও হবে যে কিছুটা দূরের সামনের জিনিসও দেখা সম্ভব হবে না। গ্রামীন পরিবেশে পৌঁছে আমি পকেট থেকে মোবাইল বের করে ছবি তুলতে শুরু করলাম। কখনো ফসলের মাঠের ছবি তুলেছি তো কখনো শিশির ভেজা ঘাসের ছবি তুলেছি আবার কখনো পূর্ব আকাশে উদীয়মান সূর্যের ছবি তুলেছি। চারপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে আমি এতটাই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম যে যেটা দেখছিলাম সেটারই ছবি তুলতে ইচ্ছা করছিলো।
আরো খেয়াল করে দেখলাম আমি যেখানে গিয়েছিলাম সেখানকার রাস্তার দুপাশে বেশ কিছু খেজুর গাছ রয়েছে। সেই খেজুর গাছ গুলো থেকে রস সংগ্রহ করার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। মনে মনে আমি একজন খেজুর রস বিক্রেতাকে খুজছিলাম। মনে হচ্ছিলো এক গ্লাস খেজুরের রস খেতে পারলে মন্দ হতো না। যদিও বর্তমানে খেজুরের রস খেতে বেশ ভয় লাগে। কারণ নিপা ভাইরাসের কারণে খেজুরের রস খাওয়া প্রায় ছেড়েই দিয়েছি। তাছাড়া শহর অঞ্চলে খেজুরের রস খুব একটা সহজলভ্য ও নয়। তবে আমি যেদিকে হাঁটতে গিয়েছিলাম সেদিকে কিছু খেজুর গাছ রয়েছে। যার ফলে রস খেতে ইচ্ছা হলে সেই এলাকায় যোগাযোগ করলে হয়তো রস খাওয়ার ব্যবস্থা হবে। তবে খেয়াল করে দেখলাম খেজুর গাছ গুলো থেকে এখনো রস সংগ্রহ করা মনে হয় শুরু হয়নি। কারণ কোনো গাছেই কোন হাড়ি দেখতে পেলাম না। যাই হোক বেশ কিছুক্ষণ আমি সেই গ্রামীন সৌন্দর্য উপভোগ করলাম। তারপর ধীরেসুস্থে বাড়ির দিকে ফিরতে লাগলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
![logo.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZEaz6VZmitMY1N8dSXHuT2tfgXFnDKjY8iV7jNGuNwEE/logo.png)
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
![standard_Discord_Zip.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/standard_Discord_Zip.gif)
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সকাল বেলায় কুয়াশায় মোড়ানো দৃশ্যটা আসলেই দারুন লাগছে প্রতিটা ফটোগ্রাফিতে এই সৌন্দর্যটা উপভোগ করলাম। হ্যাঁ শীতের সময় এরকম পরিবেশে যদি খেজুরের ঠান্ডা রস পাওয়া যায় তাহলে তো আরো বেশি ভালো হয় যদিও নিপা ভাইরাসের কারণে অনেকেই এই রস খাওয়া বাদ দিয়ে দিয়েছে তবে কিছু কিছু এলাকায় খেজুরের রসটাকে বেশ ভালোভাবে সংরক্ষণ করা হয় যেটা অনেকটাই সেইভ।
ভাইয়া আপনি গত সপ্তাহেও শীতের বেশ কিছু সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আজও আপনার ফটোগ্রাফি পোস্টের মাধ্যমে অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু শীতকালীন ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম। সত্যি ভাইয়া আপনার ফটোগ্রাফি প্রতিটিই দেখার মত। আশা করি বন্ধু ফেরদৌস ভাইয়ের সাথে ক্যাম্পিংয়ের মাধ্যমে শীতের রাতের একটা ভালো অভিজ্ঞতার আরো কিছু সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমরা দেখতে পাবো।
ভাই আপনার মতো আমারও শীতকাল খুব পছন্দ। কারণ গরম আমারও সহ্য হয় না। শীতকালে মন ভরে ঘুরাঘুরি করা যায়, মজার মজার খাবার খাওয়া যায়। আর শীতকালীন সবজি তো রয়েছেই। যাইহোক শীতের সকালের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেলাম ভাই। প্রতিটি ফটোগ্রাফি এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে। তবে রাস্তার দুইপাশে খেজুর গাছ থাকা ফটোগ্রাফিটা সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। শীতের সকালে গ্রামে হাঁটাহাঁটি করার মজাই আলাদা। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আবহাওয়া স্বাভাবিকের চেয়ে অস্বাভাবিক হয়ে গেলেই বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগের সম্মুখীন হতে পারি আমরা। বর্তমানে শীতকালে বেস্ট ঠান্ডা আবহাওয়া সবাই শীতের পোশাক পড়ে এবং শীতকালীন সময়ের বিভিন্ন ধরনের খাবার উপভোগ করার মজাই আলাদা সবকিছুতেই শান্তি বিরাজমান। আপনার মত আমার কাছেও শীতকাল খুবই প্রিয় বেস্ট সময়। সকালের এই কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ উপভোগ করতে পারলে খুবই ভালো লাগে। যেটা আপনি উপভোগ করেছেন শীতকালীন ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর ছিল।
শীতকাল আমার খুব পছন্দ সেটা বলব না। তবে ভাই বিষয় টা আমাকেউ বেশ ভাবাচ্ছে। ডিসেম্বর চলে আসলো কিন্তু সেই শীত কোথায়? ২০২৪ সাল সবচাইতে উষ্ণতম বছর এটা আপনার পোস্ট থেকে জানতে পারলাম। শুনে মনের মধ্যে একটা ভয়ের সৃষ্টি হয়ে গেল। সকালে গ্রামের দিকে হাঁটতে গিয়ে ফটোগ্রাফি গুলো বেশ চমৎকার করেছেন ভাই। সত্যি সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
গরমের দিন আমার একদম সহ্য হয় না। কারণ গরমের দিনে না খেতে শান্তি না কোথাও ঘুরতে শান্তি। তবে শীতের দিনে যত শীতই পড়ুক আমার খুব ভালো লাগে। আর এটার একটি মাত্র কারণ আপনার মতই, শীত যতই পড়ুক অন্তত কিছু না কিছু গায়ে দিয়ে শীতকে কভার করা যাবে। কিন্তু গরমকে কভার করার মত সুযোগ সব সময় হয় না। যাইহোক শীতের সৌন্দর্য কিন্তু গ্রামে। গ্রামে বেশিরভাগই শীতকে উপলব্ধি করা যায় এবং গ্রামীণ দৃশ্যপট হৃদয় ছুঁয়ে যায়। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর কিছু অনুভূতি ও ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।