পরিবার নিয়ে বাইরে খেতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা।
আমি মাগরিবের নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় তাকে বলে গেলাম তৈরি হয়ে থাকতে। আমি নামাজ পড়ে এসে তারপর তাকে বাইরে নিয়ে যাবো খাওয়ার জন্য। প্রথমে চিন্তা করেছিলাম শুধু মেয়েকে নিয়ে বাইরে যাই। নামাজ পড়ে ফিরে চিন্তা করলাম মেয়ের মাকেও সাথে নিয়ে যায়। সেই সাথে আমি আমার মাকেও বললাম আমাদের সাথে যাওয়ার জন্য। কিন্তু আমার মা কিছুতেই রাজি হোলো না। আমার মা বাইরের খাবার একেবারেই পছন্দ করেনা। সেই কারণেই তার বাইরে খেতে যাওয়ার প্রতি আগ্রহ কম। তাছাড়া তার বয়স হয়ে গিয়েছে। এখন চলাফেরা করতেও কিছুটা সমস্যা হয়। এই জন্য সে পারতো পক্ষে বাইরে যেতে চায় না। যাইহোক মাকে অনেক বলার পরেও যখন সে রাজি হোলো না। তখন মনে মনে চিন্তা করলাম আমরা খাওয়া-দাওয়া করে আসার সময় মার জন্য কিছু খাবার নিয়ে আসবো। তারপর আমরা তৈরি হয়ে তিনজনে বের হয়ে গেলাম। ফুচকা খাওয়ার জন্য আমাদের তিনজনেরই ফেভারিট একটা দোকান রয়েছে। বাসা থেকে বের হয়ে আমরা চলে গেলাম সরাসরি সেই দোকানে।
সেখানে পৌঁছে আমি ফুচকার অর্ডার দিয়ে টেবিলে বসে অপেক্ষা করতে লাগলাম। আমরা অর্ডার করেছিলাম দই ফুচকা এবং ভাঙচুর নামের একটি খাবারের। বেশ কিছুক্ষণ পার হয়ে গেলেও যখন দেখলাম যে খাবার দিচ্ছে না। তখন আমি তাদের কিচেন এ গিয়ে তাড়াতাড়ি খাবার পরিবেশন করতে বললাম। তখন তারা আমাকে জানালো আমরা যে দুটো খাবার অর্ডার করেছি তার কোনটাই আজকে এভেলেবেল নেই। যে ছেলে আমার কাছ থেকে অর্ডার নিয়েছিলো সে বলল স্যার আমি আপনাকে এখনই বলতে যাচ্ছিলাম। তারপর সে বললো আমরা কি আপনাকে অন্য ফুচকা দেবো। তখন আমি তাকে নিষেধ করলাম। তারপর আমরা সেখান থেকে বের হয়ে চিন্তা করতে লাগলাম এখন কোথায় যাওয়া যায়? কিছুখন চিন্তা ভাবনা করার পরে ঠিক করলাম আমাদের শহরে একটি বড় পুকুর রয়েছে। সেটার পাড়ে সন্ধার সময় বেশ কিছু ফুড কার্ট বসে। সেখানে সন্ধ্যার পরে রীতিমতো জমজমাট অবস্থা তৈরি হয়। আমরা তিনজন মিলে ঠিক করলাম সেখানেই যাবো ফুচকা খেতে।
তবে রিকশায় উঠে যখন সেই জায়গার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। কিছুক্ষণ পরে আমরা আমাদের মত পরিবর্তন করলাম। মত পরিবর্তন করে আমরা অন্য একটি রেস্টুরেন্টের দিকে রওনা দিলাম। সেই রেস্টুরেন্ট টার কথা আমি আমার মেয়ের কাছ থেকেই শুনেছিলাম। যাইহোক আমরা তিনজন মিলে চলে গেলাম সেই রেস্টুরেন্টে। সেখানে বসে আমরা চিকেন চাওমিন আর নাচোস অর্ডার করলাম। কিন্তু সেখানে ও সেদিন একই সমস্যা হোলো। তারা জানালো চিকেন নাচোসটা হবে না। বুঝতে পারলাম সেদিন আমাদের কপালে কাঙ্খিত খাবার গুলো নেই। তখন আমরা নাচোসের বদলে আরো একটা চিকেন চাওমিন অর্ডার করলাম। সেই সাথে ড্রিংস হিসেবে অর্ডার করেছিলাম ম্যাংগো মিল্কশেক। অর্ডার করার কিছুক্ষণ পরেই তারা আমাদের টেবিলে খাবার পরিবেশন করেছিলো। তাদের চাওমিনটা খেতে ছিলো দারুন। চাওমিনটা খেয়ে এতটাই ভালো লেগেছিল যে পরে আমি আরও একটা চাওমিন অর্ডার করেছিলাম। আর এদিকে আমার মার জন্য থাই সুপের অর্ডার করেছিলাম। আমার আম্মা বাইরের খাবারের ভিতরে সুপটাই একটু পছন্দ করে। যাই হোক খাওয়া দাওয়া শেষ হলে বিল মিটিয়ে পার্সেল নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাইরে খাবার খেতে গেলে পরিবারের প্রিয় মানুষদের নিয়ে যেতে বেশ মজাই লাগে। আপনার আম্মু বয়স্ক হওয়ার কারণে তাকে নিয়ে যেতে পারলেন না কিন্তু অবশ্য তার জন্য সুপ নিয়ে গেছিলেন যেটা দারুন একটা বিষয়। আসলে পোস্টটা পড়ার সময় একটু হতাশ হচ্ছিলাম, কারণ আপনি যেই কাঙ্খিত খাবার গুলো খেতে গিয়েছিলেন তার কোনটাই এভেলেবল ছিল না । পরপর দুটা রেস্টুরাতেই মোটামুটি একই রকম দশা হয়েছিল যাই হোক অবশেষে চিকেন চাওমিন টা বেশ ভালই মজা করে খেলেন 😋।
হ্যাঁ চাওমিনটা আসলেই বেশ মজার ছিলো। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ভাইয়া খাবার সেই রেস্টুরেন্টে পাওয়া যাবে না বলেই হয়তো আপনার মন সায় দিচ্ছিল না সেদিন যাবার।তাই আর দই-ফুচকা খাওয়া হলো না।এরপর অন্য একটি রেস্টুরেন্টে গিয়ে চিকেন চাওমিন খেতে হলো।আর বেশ সুস্বাদু ছিল চিকেন চাওমিনটি।মা সাথে না গেলে ও মায়ের জন্য স্যুপ নিয়ে গেলেন।সবাই মিলে খুব সুন্দর খাওয়া-দাওয়া ও সময় কাটলো।সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
সেদিন মনে হয় কপালটা অনেক খারাপ ছিল ভাইয়া। তাই তো যেখানেই খাবার অর্ডার করছেন সেখানেই সেই খাবার অ্যাভেলেবেল ছিল না। ভাঙচুর নামটা এর আগেও আপনার কাছে শুনেছি। কিন্তু আমাদের এই দিকে এই খাবার পাওয়া যায় বলে মনে হয় না। যাই হোক ভাইয়া অবশেষে আপনার মায়ের জন্য উনার পছন্দের থাই সুপ পার্সেল করে নিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। মাঝে মাঝে পরিবার নিয়ে বাহিরে খেতে গেলে সত্যি অনেক ভালো লাগে। মেয়ে বায়না করেছিল বলেই এত সুন্দর একটি সময় কাটাতে পেরেছেন ভাইয়া।
ঠিক ধরেছেন আপু। আমি এর আগেও আমার বেশ কিছু পোস্টে খাবারটার কথা উল্লেখ করেছি।
দেখেছেন আপনার সন্তানের একটি বাহানার জন্য আপনারা কত সুন্দর একটি মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। তাই আপনার সন্তানকে একটি ধন্যবাদ কিন্তু দাওয়াই যায়, তাই না! আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ঠিকই বলেছেন আপু। অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে হলেও একটা সুন্দর সময় কাটাতে পেরেছি শেষ পর্যন্ত। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
এখনকার কোন বাচ্চারাই কথা শুনতে চায় না ভাই। সব সময় চায় তারা বাইরের খাবার খেতে। তবে ভাই পোস্ট পড়ে যতটা বুঝতে পারলাম আপনাদের বাইরে খাবার খেতে গিয়ে তো যথেষ্ট ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়েছে। যাইহোক আপনার মা এর যেহেতু বয়স হয়েছে এজন্য উনাকে বাইরে খাবার খাওয়াতে না নিয়ে গিয়ে ভালোই করেছেন। তারপর আপনারা যে পরিমাণ দৌড়াদৌড়ি করেছেন এতে করে উনিও অসুস্থ হয়ে যেতেন এরকম দৌড়াদৌড়ি করলে। তবে শেষ পর্যন্ত খাবার খেতে পেরেছেন সবাই মিলে এবং সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এটাই ইম্পর্টেন্ট।
আসলে সেদিন কোনো কিছুই আমাদের পরিকল্পনা মতো হয়নি। অবশ্য শেষ পর্যন্ত আমার কোন কিছু নিয়েই কমপ্লেন নেই। কারণ জীবনে কখনো এমন সময় আসে। যখন কোনো কিছুই আপনার পরিকল্পনা মতো হবে না। ধন্যবাদ আপনাকে দিদি।
এখনকার বাচ্চারা তো অনেক আপডেট। তাই বাহিরে খাওয়া দাওয়া করার ইচ্ছেটা তাদের খুব বেশি। যাইহোক অর্ডার দেওয়ার পর কাঙ্খিত খাবার না পেলে খুবই মেজাজ খারাপ হয়। চাউমিন দেখেই তো বুঝা যাচ্ছে খেতে ইয়াম্মি লেগেছিল। ম্যাংগো মিল্কশেক আমার খুব পছন্দের একটি ড্রিংকস। পরিবারের সাথে সবমিলিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন ভাই। যাইহোক এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
চাওমিনটা আসলেই খেতে দারুন ছিলো। যার ফলে অন্য খাবার খেতে না পাওয়ার দুঃখটা ভুলে গিয়েছিলাম।
সাধারণত মেয়েরা একটু জেদি হয়ে থাকে। আমি দেখেছি তারা যেটা বলবে সেটা তাদের করে দিতেই হবে। তবে প্রতিনিয়ত তারা অবশ্য এটা করে না। এর আগেও আপনার পোস্টে এই ভাঙচুর এর নামটা শুনেছি। নামটা বেশ কৌতূহল সৃষ্টি করেছেন আমার মধ্যে। একদিন খেতে হবে। পরিবার নিয়ে বাইরে খাওয়াই বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন ভাই। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
ভাঙচুর এই নামের একটা খাবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পাওয়া যায়। সেখান থেকেই সম্ভবত এই নামটা আমাদের এদিকে এসেছে। তবে খাবারটার নাম যেমনই হোক খেতে কিন্তুু দারুন।
বাচ্চাদের কথা কি বলবো দাদা, আমাদের নিজেদেরও তো মাঝেমধ্যে বাইরে একটু খাওয়া দাওয়া করতে ইচ্ছা করে। হা হা হা.... তবে দাদা আপনার মায়ের মত আমার মাও একই রকম, বাইরের খাবার একদমই পছন্দ করে না। তবে বাইরে খেতে গেলেও আপনাদের তো দেখছি যথেষ্ট ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়েছে এই খাবার খাওয়া নিয়ে। যাইহোক, শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠু ভাবে খাবার খেয়ে বাড়ি আসতে পেরেছেন, এটাই ভালো কথা।
সেদিন আসলে একপর্যায়ে মেজাজটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিলো। যেখানে যে খাবারটা খেতে যাচ্ছিলাম সেটাই দেখছিলাম নেই। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
এরকমটা আমার সাথেও কয়েকবার হয়েছে দাদা। সত্যি বলতে, এরকমটা হলে মেজাজ খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক।