যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের লজ্জা জনক হার।
Screenshot নেওয়া হয়েছে Deam Max চ্যানেল থেকে
আর ক্যাপ্টেন শান্ত এবং লিটন দাস যথারীতি তাদের খারাপ ফর্ম ধরে রেখে তারাও অল্প রানে আউট হয়ে যায়। এদিন অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান ও তেমন কিছু করতে পারেনি। তিনিও মাত্র ৬ রানে বিদায় নিলে বাংলাদেশ চার উইকেটে ৬৮ রানের দলে পরিণত হয়। তারপর জুটি গড়েন তাওহীদ হৃদয় এবং অভিজ্ঞ ফিনিশার মাহমুদুল্লাহ। তৌহিদ হৃদয় গত কিছুদিন যাবত দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন। এই দিনও তিনি দারুন একটি ইনিংস উপহার দেন। মাহমুদুল্লাহ এবং হৃদয় মিলে ৬৭ রানের একটি চমৎকার জুটি উপহার দেন। মাহমুদুল্লাহ আউট হওয়ার আগে ২২ বলে ৩১ রান করেন। শেষ পর্যন্ত তৌহিদ হৃদয়ের ৫৮ রানের সুবাদে বাংলাদেশ ২০ ওভার শেষে ছয় উইকেটে ১৫৩ রান করতে সমর্থ হয়। এদিন হৃদয় এবং মাহমুদুল্লাহ ছাড়া বাংলাদেশি আর কোন ব্যাটসম্যান তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো রান করতে পারেনি।
১৫৪ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে যুক্তরাষ্ট্রের উপরের সাড়ির ব্যাটসম্যানরাও খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্র এক পর্যায়ে ৭৮ রানে চার উইকেট হারিয়ে বসে। ৯৫ রানে তারা তাদের পঞ্চম উইকেট হারায়। কিন্তু তারপরে শুরু হয় দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাড়ানোর এক গল্পের। অভিজ্ঞ কোরি অ্যান্ডারসন আর হার্মিত সিং মিলে দুর্দান্ত একটি জুটি গড়েন। পঞ্চম উইকেটের পরে যুক্তরাষ্ট্রের আর কোন উইকেট পরে না। তারা দুজনে মিলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। তবে মূল কাজটা করে দেন হার্মিত সিং। তিনি মাত্র ১৩ বলে ৩৮ রানের একটি বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। মূলত তার এই ইনিংস টার উপরে ভর করেই যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচটা জিতে যায়। আর বাংলাদেশকে উপহার দেয় এক নিদারুর লজ্জা। দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরমেন্সের জন্য হার্মিত সিং ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন।
এই ম্যাচ জিতে যুক্তরাষ্ট্র তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে যায়। এখন দেখা যাক বাংলাদেশ পরের ম্যাচগুলোতে ঘুরে দাঁড়াতে পারে কিনা? এই ম্যাচগুলো বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বড় একটা টুর্নামেন্ট শুরুর আগে যদি তারা ভাল ফলাফল করে। তাহলে তারা ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করতে পারবে। আর যদি তারা সিরিজটা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরে যায়? তাহলে দলের প্লেয়াররা মানসিকভাবে অনেক দুর্বল হয়ে পড়বে। এখন দেখা যাক বাংলাদেশ পরের দুটো ম্যাচ জিতে ঘুরে দেখাতে পারে কিনা।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাই এই ম্যাচটি দেখা হয়নি আমার,কিন্তু স্কোর দেখে রীতিমতো লজ্জায় পড়ে গিয়েছি। আমাদের দেশের বেশিরভাগ ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং দেখলে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। তাওহীদ হৃদয় এবং রিয়াদ ছাড়া কেউ ভালো ব্যাট করতে পারেনি এই ম্যাচে। কয়েকদিন আগে তো দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ে দলকে একেবারে নাস্তানাবুদ করেছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু এখন এমন পারফরম্যান্স দেখে সত্যিই অবাক হয়ে গেলাম। আর এমনিতেই তো বাহিরের দেশে খেলতে গেলে, আমাদের দেশের খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স খারাপ হয়ে যায়। দেখা যাক পরবর্তী দুই ম্যাচে কি করে। যাইহোক এই ম্যাচের রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ম্যাচটা দেখে এমন মেজাজ খারাপ হয়েছিলো যে বলার না। যুক্তরাষ্ট্রের মতো দলের কাছে যদি বাংলাদেশ ম্যাচ হেরে যায় তাহলে আর কিছু বলার থাকে না।
আসলেই ভাই এমন দলের সাথে হার একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। তাছাড়া আর মাত্র কয়েকদিন পর তো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে। বিশ্বকাপের আগে এমন পারফরম্যান্স দেখলে কার না মেজাজ খারাপ হবে। যাইহোক আজকের ম্যাচটি মনে হচ্ছে জিতবে বাংলাদেশ। বেশ ভালোভাবেই টার্গেট চেজ করছে।
কথাটা খারাপ বলেন নি ভাই। ফর্ম রান না করে আউট হয়ে যাওয়ার ফর্ম। এরা যে শেষ কবে ভালো খেলেছিল এদের মনে হয়। আবার উনি প্রতিটা ম্যাচ হারার পরে প্রেস কনফারেন্সে এসে বলে আরও ২০-৩০ রান করতে পারলে ভালো হতো। এর চেয়ে লজ্জার আর কী হতে পারে। কেউই দায়িত্ব নিয়ে খেলেনি। বিশ্বকাপে কীভাবে নাজেহাল হবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জন্য ভয়াবহ সময় অপেক্ষা করছে।
খেলায় হার-জিত থাকবেই তবে নিজের দেশ হেরে গেলে মন থেকে একটু খারাপ-ই লাগে।বাংলাদেশ প্রথম ব্যাট করার সুযোগ পেয়েও হেরে যাওয়ায় পরের ম্যাচগুলির জন্য অনেক কঠিন হয়ে গেল।আশা করি পরের ম্যাচগুলি ভালো পারফরম্যান্স করতে সক্ষম হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।আপনি সুন্দর রিভিউ দিয়েছেন,অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
খেলায় হার-জিত থাকবে এটা ঠিক দিদি। তবে এই রকম নবাগত একটা দলের সাথে ম্যাচ হেরে যাওয়া আসলেই লজ্জাজনক।