দীর্ঘদিন পর প্রাতঃভ্রমণ। ১০% সাই-ফক্স।
একটা সময় আমি ডাক্তারের পরামর্শে প্রতিদিন সকালে হাঁটতে বের হতাম। এটা আমার প্রতিদিনকার রুটিনে পরিণত হয়েছিলো। কিন্তু গত কয়েকমাস যাবৎ বিভিন্ন রকম সমস্যা হওয়ায় তারপর পা ভেঙে যাওয়ার কারণে সকালের এই হাঁটাহাঁটি বন্ধ ছিলো। অনেক দিন পার হয়ে গিয়েছে যার ফলে চিন্তা করলাম আবার হাঁটাহাঁটি শুরু করা দরকার।
কারণ সকালের এই সময়টা আমাকে সুস্থ থাকতে অনেক সহায়তা করে। শরীরটা বেশ ঝরঝরে মনে হয়। আমার পা ভাঙার পর থেকে হাঁটাচলা একেবারেই কমিয়ে দিয়েছি। যেহেতু এখন পা খানিকটা ভালোর দিকে তাই চিন্তা করলাম আবার হাটা শুরু করি। সেজন্য আজ সকালে বের হয়েছিলাম হাঁটতে। অবশ্য মাথায় অন্য একটা পরিকল্পনাও ছিলো। চিন্তা করেছিলাম কিছুক্ষণ হাঁটবো। তারপর পদ্মার পাড়ে যাবো। সেখানে শুনেছি সকালের দিকে নদীর টাটকা মাছ পাওয়া যায়। যদি পছন্দমত কোন মাছ পাই তাহলে কিছু মাছ কিনবো।
এই চিন্তা করেই সকালে হাঁটতে বের হয়েছিলাম। প্রায় দুই কিলোমিটার হাঁটার পর দেখি আর হাঁটতে পারছি না। তারপর হঠাৎ হাঁটা থামিয়ে অটোর জন্য দাঁড়িয়ে রইলাম। কিছুক্ষণ পর একটি অটো সেখানে এসে থামলো। তারপর আমি সেই অটোতে উঠে পদ্মা পাড়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সকালে রাস্তা ফাঁকা ছিলো। যার ফলে অল্প সময়ে পদ্মার পাড়ে পৌঁছে গেলাম। পৌঁছে দীর্ঘদিন পর প্রিয় কোন জায়গায় ফিরে আসলে যে অনুভূতিটা হয়। আমার ঠিক সে অনুভূতি হচ্ছিলো।
আমি সেখানে পৌঁছেই লোকজনের কাছে জানতে চাইলাম যে এখানে সকালে মাছ পাওয়া যায় কিনা? দু একজন বলল যে না এখনো মাছের বাজার এখানে বসে না। আরো কিছুদিন পর থেকে এখানে মাছ পাওয়া যাবে। আবার একজন বলল একদম নদীর পারে চলে যান। সেখানে সকালে কিছু মাছ পাওয়া যায়। এই লোকের কথা শুনে আমি সোজা নদীর পাড়ের দিকে রওনা দিলাম।
চর পড়ে যাওয়ার কারণে আমাকে পাড়ে পৌঁছাতে বেশ খানিকটা পথ হাঁটতে হয়েছে। তবে সকালের এই নির্মল পরিবেশে হাঁটতে মোটেও খারাপ লাগেনি। নদীর পাড়ে পৌঁছে আমি প্রথমে কিছুক্ষণ প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য অবলোকন করলাম। নদীর পানি দেখে মনে হচ্ছিল সেখানে পা ভিজিয়ে বসে থাকি। জুতা পড়ে থাকার জন্য সেটা করতে পারছিলাম না। কিন্তু কিছুক্ষণ সেখানে কাটানোর পর জুতা খুলে সোজা পানিতে নেমে গেলাম। সেখানে একটি নৌকায় বসে পানির ভেতর পা দিয়ে রাখলাম।
সে যে কি চমৎকার অনুভূতি সেটা আপনাদের কে বলে বোঝাতে পারবো না। অল্প কিছু দূরেই দেখি ছোট্ট একটি চর নদীর বুকে মাথা উচু করে আছে। মনে হচ্ছিল এই চরে গিয়ে গোসল করতে পারলে খুব মজা হতো। এইভাবে বেশ কিছুক্ষণ কাটানোর পর আমি মাছের খোঁজ করতে লাগলাম। কিন্তু দেখলাম সেখানে এখনো কেউ আসেনি মাছ নিয়ে। যার ফলে আমি আরো কিছুক্ষণ সময় সেখানে কাটিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। আসার সময় মনে মনে চিন্তা করছিলাম। দু এক দিনের ভেতর বন্ধু ফেরদৌসকে নিয়ে আবার নদীতে গোসল করতে আসতে হবে। কারণ নদীর চমৎকার পরিষ্কার পানি দেখে মনে হচ্ছিল এর ভিতর ঝাপ দিয়ে পড়ি।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা। নিয়ে সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ধলার মোড় |
আসলে ভাই এটা একদম ঠিক যে সকালবেলা যদি আমরা হাটতে পারি তাহলে কিন্তু শরীর অনেকটা সুস্থ হয়ে যায়। আর এরকম যদি প্রতিদিন হাঁটার অভ্যাস হয় তাহলে তো খুবই ভালো। আপনার খুবই ভাল একটি অভ্যাস হয়েছিল আবার শুরু করে দেন ভাই। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
চিকিৎসকেরা বলেন সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন একই সময়ে হাঁটাহাঁটি করা শরীরের জন্য খুবই উপকারী ।একসময় আমি এটা মেনে চলতাম । তবে বেশ কিছুদিন হল নিয়মের ব্যত্যয় ঘটছে ।
সকাল-সকাল হাট আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কারণ সকাল বেলার আবহাওয়া খুব ফ্রেশ থাকে পরিবেশ ঠান্ডা থাকে। আর সকাল সকাল নদীর ধারে সব সময় খুব টাটকা টাটকা মাছ পাওয়া যায়। এমন তাজা মাছ খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে ভাইয়া দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
ঠিকই বলেছেন সকালের হাওয়া খুবই ফ্রেশ থাকে । এই সময়ে বাইরে ঘুরতে অন্যরকম লাগে ।
ভাইয়া, আপনার মাধ্যমেই বেশি নদীর ছবি দেখতে পাই।যেটির মাধ্যমে আমি আমার শৈশব কাটানো নদীকে খুঁজে পাই, খুবই ভালো লাগে।ভোরবেলা হাটাহাটি করা শরীরের জন্য খুবই উপকারী সঙ্গে একটু যোগা করলে ও ভালো হয়।আর নদীর পাড় দারুন মনোরম পরিবেশ যেটি শরীরকে স্নিগ্ধ করে তুলবে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
নদীর পাড়ের নির্মল বাতাস শরীর এবং মন দুটোই চাঙ্গা করে দেয় । নদীর পাড়ে সময় কাটাতে আমার বরাবরই ভালো লাগে ।
সত্যি কথা বলতে ভাই এমন পরিবেশ থাকলে আমি প্রতিনিয়ত ও হাঁটতে বের হতাম। আগে নিয়মিত হাটতেন এই অভ্যাসটা গড়ে তোলেন। আসলে শরীরের সুস্থতার জন্য আর কোন বিকল্প নেই। তবে মাঝখানে পা ভাঙ্গার কারণে কিছুদিন খুব কষ্ট পেয়েছেন। যাইহোক মানুষের বিপদ আসে ভাই।তবে আপনার পদ্মার পাড়ের হাটার দৃশ্য যেমন আছে বেশ ভালো লেগেছে ভাই। খুব সুন্দর মনোরম পরিবেশ। প্রকৃতির মাঝে যেন নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার। শুভকামনা আপনার জন্য।
পানিতে যখন পা ভিজিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। সে অনুভূতিটা ছিল চমৎকার ।সকালের পরিবেশটা পদ্মার পাড়ে আসলেই খুব উপভোগ করেছি ।
সকাল বেলার হাওয়া, লক্ষ টাকার দাওয়া
ভ্রমণের সাথে প্রয়োজন ও বিনোদন, সাথে লেখার প্রতি আকৃষ্ট হইয়া ছবি তোলা, পরিশেষে আমাদের সাথে ভাগাভাগি, এ যেন প্রাপ্তিতেই অতিরিক্ত। ভাল ধারনা।
চমৎকার লিখেছেন আপনি। আপনার মন্তব্য পড়ে মজা পেলাম।
💝
ভাইয়া,এই কথাটি একদম ঠিক লিখেছেন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে প্রাকৃতিক সতেজ বাতাস গায়ে লাগলে শরীর মন দুটোই তরতাজা হয়ে যায়।ভাইয়া,আপনার পায়ের সমস্যাটা আল্লাহর রহমতে কিছুটা কমেছে শুনে সত্যিই খুব ভালো লেগেছে।ভাইয়া,আপনার প্রতিটি পোস্টের ফটোগ্রাফি গুলো সত্যিই আমার খুব ভালো লাগে।এই ফটোগ্রাফি অথবা এই দৃশ্যগুলো দেখার সৌভাগ্য আমার এখনো হয়নি।পদ্মার পাড়ে তরতাজা মাছের জন্য সকাল সকাল বের হয়ে অনেকটা কষ্ট করতে হয়েছে কারণ এখনও আপনার পা পুরোপুরিভাবে ভালো হয়নি।যাইহোক ভাইয়া, আপনার পোস্টটি পড়ে সত্যিই আমার খুব ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া,এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।।
সকালের আবহাওয়া আসলেই খুব সুন্দর থাকে। এই সময় ঘুরতে খুব মজা লাগে। আর নদীর পাড়ে এই সময়টা সবচেয়ে ভালো লাগে।