দীর্ঘদিন পর তিন বন্ধুর আড্ডাবাজি, ঘোরাফেরা ও হালকা খাওয়া-দাওয়া ( প্রথম পর্ব)।
যাই হোক যথারীতি পরদিন দুপুরে ফেরদৌসের ফোন পেলাম। ফেরদৌস জিজ্ঞেস করলো ঘুরতে বের হবো কিনা। আমি তো সাথে সাথেই রাজি হয়ে গেলাম। তখন আমি ওকে বললাম আমার বের হতে আধা ঘন্টার মতো সময় লাগবে। ও আমাকে বলল তিনটা চল্লিশের দিকে লালের মোড় নামক স্থানটাতে থাকতে। সেখান থেকে ওর মোটরসাইকেলে করে দুজন ঘুরতে বের হবো। আমি নির্ধারিত সময়ের কয়েক মিনিট পরে নির্ধারিত স্থানে পৌঁছালাম। সেখানে পৌঁছে আমি ফেরদৌসের জন্য দাঁড়িয়ে রইলাম। একটু পরে দেখি ফেরদৌস পাশের একটা দোকানের থেকে বের হচ্ছে। আমার কিছুটা দেরি হওয়াতে ফেরদৌস আমাকে খোঁচা মারলো। সাধারণত সব সময় ও লেট করে আসে তাই আমি ওকে দু কথা শুনিয়ে দেই। আজকে ও সুযোগ পেয়ে সেই সুযোগ আর হাতছাড়া করেনি।
দুজনে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলার পর মোটরসাইকেলে করে রওনা দিলাম রাফসানের এলাকার উদ্দেশ্যে। যাওয়ার পথে ফেরদৌস আমাকে বলল রাফসানকে একটা ফোন দিতে এটা জানার জন্য যে রাফসান ওর শোরুমে আছে কিনা। মূলত ফেরদৌসের উদ্দেশ্য ছিলো একটা আপেল কুল বাগানে যাওয়া। রাফসানের এলাকায় একটা আপেল কুল বাগান আছে। গত বছর আমরা কয়েকবার সেই বাগানে গিয়ে আপেল কুল কিনেছিলাম। তাই আমি রাফসানকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম যে ও শোরুমে আছে কিনা। তখন রাফসান আমাকে জানালো সে বাড়ি থেকে শোরুমের উদ্দেশ্যে বের হচ্ছে। এই কথা শোনার পর আমি বললাম তাহলে তাড়াতাড়ি আয় আমরা সেই আপেল কুল বাগানে যাবো। এই কথা বলে আমরা শোরুমের দিকে আগাতে লাগলাম। সেখানে পৌঁছে দেখি রাফসান তখনও আসেনি। রাফসাদের এলাকায় গিয়ে ওর দেরি দেখে আমি আর ফেরদৌস ওর বাড়ির দিকে আগাতে লাগলাম। কিছুদূর আগানোর পর দেখতে পেলাম রাফসান আসছে। তখন আমরা মোটরসাইকেল ঘুরিয়ে ওর শোরুম এর কাছে এসে থামলাম।
ইতিমধ্যে আসরের আজান হয়ে গিয়েছে। তাই আমি ফেরদৌসকে বললাম তুমি ওর শোরুমে বসো আমি নামাজ আদায় করে আসি। আমি নামাজ শেষ করে ফিরে আসতেই তিনজনে মিলে রওনা দিলাম। সেই বাগানের উদ্দেশ্যে। কিন্তু সেখানে গিয়ে খুবই হতাশ হলাম। শুনতে পেলাম বাগানি এবার তার বাগানের যত্ন না নেয়ায় এবার আর তার বাগানে ফল আসেনি। খেয়াল করে দেখলাম বাগানটা অযত্ন অবহেলায় পড়ে রয়েছে। আরও একটা জিনিস খেয়াল করলাম। গত বছরে আমরা যে গাছগুলিকে ছোট দেখে গিয়েছিলাম এবছর সেই গাছগুলো বেশ বড় হয়ে গিয়েছে। যার ফলে বাগানের চেহারাটাও কিছুটা পাল্টে গিয়েছে। বাগানের ভেতরে প্রচুর আগাছা দেখতে পেলাম। কিছু গাছে দু-চারটে আপেল কুলও দেখতে পেলাম। তবে খেয়াল করে দেখলাম সেগুলো এখনও খাওয়ার মতো হয়নি। তখন আমরা সেখানে আর সময় নষ্ট না করে রাফসানের শো রুমের দিকে ফিরতে লাগলাম।
ফেরার পথে ফেরদৌস রাফসানকে জিজ্ঞেস করলো তোর এখন কোন জরুরী কাজ আছে নাকি? তখন রাফসান বললো না। তখন ফেরদৌস বললো তাহলে চল আমরা সেই ব্রিজের উপর বসে কিছুক্ষণ আড্ডা দিই। তারপর আমরা চলে গেলাম সরাসরি আমাদের প্রিয় সেই জায়গাটির উদ্দেশ্যে। সেখানে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম। তারপর সন্ধ্যার একটু আগে রাফসান বলল চল এখন শোরুমের দিকে ফিরে যাই। আমি বললাম হ্যাঁ প্রায় সন্ধ্যা হয়ে আসছে। এখন চা খেতে পারলে ভালো লাগবে। তারপর আমরা রাফসানের শোরুম এর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সেখান থেকে রওয়ানা দেয়ার কিছুক্ষণের ভেতরেই আমরা রাফ্সানের শোরুমে পৌঁছে গেলাম। সেখানে বসে তিন বন্ধু আড্ডা দিতে লাগলাম। এর ভেতরে রাফসান জিজ্ঞেস করলো তোরা কি খাবি? আমি আর ফেরদৌস সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না যে কি খাবো। তখন রাফসান আমাদের জন্য হালিম অর্ডার করলো। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
| ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
|---|---|
| ফটোগ্রাফার | @rupok |
| স্থান | ফরিদপুর |
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি কিছুটা দেরি করে গিয়েছিলেন বলে, ফেরদৌস ভাই সেই সুযোগে খোঁচা মেরে দিলো আপনাকে😂। আসলে বন্ধু বান্ধবদের সাথে একটু খোঁচাখুঁচি না করলে জমে না। যাইহোক রাফসান ভাই নিজের শো-রুম না খুলে,আপনাদের সাথে বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছে। যদিও আপেল কুল বাগানে গিয়ে হতাশ হতে হলো। আসলে বাগানের পরিমিত যত্ন না নিলে, গাছগুলো এমনিতেই নষ্ট হয়ে যায়। যাইহোক পরবর্তীতে রাফসান ভাইয়ের শো-রুমে ফিরে তাহলে হালিম খেয়েছেন আপনারা। সন্ধ্যার সময় হালিম এবং চটপটি খেতে বেশ ভালোই লাগে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।
ভাইয়া আপনাদের এমন দুষ্টমিষ্টি বন্ধত্বের গল্প শুনতে কিন্তু আমারও বেশ ভালো লাগে। বেশ খোঁচাখুচি করেই তাহলে সময় পার করেন। আর আপনার পোস্ট পড়েই কিন্তু বোঝা যায় যে আপনি বেশ বন্ধু পাগল। যাক অপেক্ষায় রইলাম পরবর্তী পর্বের হালিম খাওয়ার অনুভূতি জানার জন্য।
হাহাহা! ফ্রেন্ডদের মাঝে এটা খুব চলে ভাইয়া। একটু লেইট হলেই খোচা মেরে কথা বলা। তবে কেউ কাউকে কিন্তু ছাড় দেয়া হয় না। তবে তিনবন্ধু মিলে ভালো সময়ই অতিবাহিত করেছেন। যদিও শীতের মাঝে ঘুরতেও ভালো লাগে না। বাইকে করে গেলে তো বাতাসে শেষ অবস্থা
তিন বন্ধুর ঘোরাঘুরি নিয়ে দারুণ একটি পোস্ট শেয়ার দিয়েছেন ভাইয়া। ফেরদৌস যে আপনার ঘনিষ্ট বন্ধু সেটা ক্লিয়ার করে বুঝিয়ে দিয়েছেন। কারণ ফেরদৌস ফরিদপুরে না থাকলে আপনার ঘোরাঘুরি হয়না। আপনাদের বন্ধুত্বের জয় হোক। আপেলকুল খেতে যেয়ে আপেলকুল খেতে পারলেন না, সরাসরি বাগান থেকে, তাতেঙ্কি, বাগানের বর্তমান অবস্থাও জানলেন,ঘোরাঘুরিও হল। এবং সুন্দর সময় কাটালেন। আপনাদের তিন বন্ধুর জন্য শুভ কামনা। ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার দেয়ার জন্য।
জি চলবে মানে, একদম দৌড়াবে ভাইয়া। নেক্সট পার্টের অপেক্ষায় থাকলাম। আর আসলেই এখন যে ঠান্ডা বিকেলের দিক বাইরে থাকায় মুশকিল। আর বন্ধুদের সাথে ঘুরাঘুরি আসলেই অনেকটা ভালো লাগে, যদি আপনারা আপেল কুল বাগানে পানি কিন্তু বন্ধুদের সাথে সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন বোঝাই যাচ্ছে। তবে হালিম কিন্তু আমারও প্রিয় খাবার ভাইয়া।