মেয়ের জন্য ঈদের কেনাকাটার অভিজ্ঞতা।
যাইহোক যতো কষ্টই হোক তারপরেও প্রত্যেকটা পুরুষ মানুষ চেষ্টা করে তার পরিবারের জন্য কেনাকাটা করতে। আমিও এর বাইরে নই। যদিও এসবিডি পেআউট চালু থাকার কারণে আমাদের এখন ইনকামটা বেশ ভালই হচ্ছে। সেই কারণে কেনাকাটা করতে খুব একটা সমস্যা হয়নি। প্রথমে আমি আমার স্ত্রীকে তার কেনাকাটার জন্য টাকা দিয়ে দিয়েছিলাম। আর মেয়ের জন্য ঢাকা থেকে আসার সময় কিছু কাপড়চোপড় কিনে এনেছিলাম। তারপরেও মেয়ে বায়না ধরেছিল তার মায়ের কাছে তাকে জামা কিনে দিতে হবে। সেই কারণেই গতকাল আমি স্ত্রী আর মেয়েকে নিয়ে চলে গিয়েছিলাম মেয়ের জন্য জামা কাপড় কিনতে। মেয়ে আবার নানী মামা তাদের কাছ থেকেও টাকা পেয়েছিলো কেনাকাটা করার জন্য। সবকিছু মিলিয়ে গতকালকে ছিলো তার শপিং করার দিন। প্রথমে আমাদের পরিকল্পনা ছিল সকালে কেনাকাটার করতে যাওয়ার জন্য। তবে সকালে আমার স্ত্রীর কিছু কাজ থাকার কারণে পরবর্তীতে ঠিক করলাম জুম্মার নামাজের পরে কেনাকাটা করতে যাবো।
সেই পরিকল্পনার মতো জুম্মার নামাজ পড়ে আসার কিছুক্ষণ পরে আমরা তৈরি হয়ে রওনা দিলাম। আমার স্ত্রী তার জামা কেনার সময় একটা দোকান দেখে এসেছিলো। যেখান থেকে সে নিজেও জামা কিনেছিলো। সে আমাকে বলেছিলো সেখানে নাকি বাচ্চাদের জন্য বেশ সুন্দর কিছু ড্রেস দেখে এসেছে। যার ফলে আমরা প্রথমেই সেই দোকানে গিয়েছিলাম জামাকাপড় দেখতে। সেখানে গিয়ে ঢোকার পরেই প্রথমেই যে জামাটি দেখেছিলাম সেটি দারুন পছন্দ হয়ে গিয়েছিলো আমার আর আমার স্ত্রীর। তবে আমার মেয়ের দেখলাম খুব একটা আগ্রহী নয় সেটা নিতে। তারপরও আমরা তাকে মোটামুটি রাজি করিয়ে ট্রায়াল দিতে গিয়ে দেখলাম জামাটি তার সাইজে কিছুটা ছোটো হয়েছে। আমরা দোকানের কর্মচারীকে এর থেকে বড় সাইজ দিতে বললে সে জানালো এটার আর বড় সাইজ নেই। জামাটা আমার আর আমার স্ত্রী এতোটাই পছন্দ হয়েছিলো যে জামা তার সাইজের না পেয়ে দুজনেরই বেশ খারাপ লাগলো। তারপরে আমরা আরো কয়েকটা জামা সেখানে দেখলাম।
তবে কোনটাই আর প্রথমটার মতো ভালো লাগছিলো না। তাছাড়া আমি আরো একটা জিনিস খেয়াল করে দেখলাম এই দোকানে জামাগুলো অনেক বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছিলো। যে ড্রেসগুলো বাইরে থেকে দুই হাজার টাকার ভেতরে পাওয়া যায় সেগুলো তারা সাড়ে তিন হাজার টাকা দাম লিখে রেখেছিলো। যাই হোক সেখান থেকে জামা পছন্দ না হওয়ায় পরবর্তীতে আমরা চলে গিয়েছিলাম ইনফিনিটির ফরিদপুর শাখায়। সেখানে গিয়ে দেখতে পেলাম তাদের জামা কাপড়ের কালেকশন একেবারেই কম। যার ফলে সেখান থেকে আমরা শেষ পর্যন্ত আমাদের পুরাতন গন্তব্যে চলে গেলাম। সেটা হচ্ছে রায় প্লাজা নামক একটি মার্কেট। যেটা ফরিদপুরের নিউ মার্কেটের সামনেই অবস্থিত। আমরা সাধারণত মেয়ের জন্য সেখান থেকেই কেনাকাটা করে থাকি। আমি বেশি ভিড়ের ভেতরে নিউমার্কেটে ঢুকতে চাই না। কারণ সেখানে প্রচুর লোকজন আসে যার ফলে প্রচন্ড গরমে সেখানে অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। তবে রায় প্লাজা এসি মার্কেট হওয়ায় সেখানে এদিক থেকে কোন সমস্যা নেই।
যাই হোক শেষ পর্যন্ত রায় প্লাজায় পৌঁছে মেয়ের জন্য দুটো ড্রেস পছন্দ করতে পেরেছিলাম। অবশ্য রাই প্লাজায় যাওয়ার আগে তার জন্য বাটা থেকে একজোড়া স্যান্ডেলও কেনা হয়েছিলো। কেনাকাটা শেষ হতে হতে প্রায় আছরের সময় হয়ে গিয়েছিলো। যার ফলে আমি আমার স্ত্রীকে বললাম আজকে আর কেনাকাটা করার সময় নেই। অন্য আরেকদিন আসা যাবে। এই কথা বলে আমরা বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে ঈদ মানে খুশি ঈদ মানে আনন্দ আর এই খুশিতে সবাই যে যার মত চেষ্টা করে নতুন জামা কাপড় কিনতে। যাদের সামর্থ্য আছে তাদের তো কোনো সমস্যা হয় না শপিং করতে। কিন্তু যাদের সামর্থ্য নেই তাদের একটু কষ্ট হলেও তারাও চেষ্টা করে ঈদের আনন্দকে একটু বাড়িয়ে তুলতে কিছু কাপড়চোপড় কিনতে। আপনি আপনার মেয়ের বায়না করাতে আপনার মেয়ে এবং আপনার স্ত্রীকে নিয়ে আপনার মেয়ের জন্য শপিং করতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। তবে প্রথমে আপনারা যে জামাটা পছন্দ করেছিলেন সেটা আপনার মেয়ের গায়ে ছোট হওয়াতে সেটা আর কিনতে পারেননি জেনে খারাপ লাগলো। আসলে প্রথমে যেটা পছন্দ হয় সেটা যদি কিনতে না পারা যায় তাহলে খুব খারাপ লাগে। এমনটা একবার আমার সাথে হয়েছিল। যাইহোক তারপরে আপনারা বেশ কিছু শপিংমল ঘোরাঘুরি করে শেষ পর্যন্ত আপনার মেয়ের জন্য রায় প্লাজা থেকে দুইটা ড্রেস পছন্দ করতে পেরেছিলেন জেনে ভালো লাগলো। আসলে শপিং এ গিয়ে সব থেকে বড় ঝামেলা হচ্ছে পছন্দ করা। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে এই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া বছরে এই দুই ঈদে সবাই তাদের সমর্থ্য অনুযায়ী কেনাকাটা করার চেষ্টা করে। ছোট বাচ্চারা এমনই ভাইয়া কি আর করার। অনেক ঘুরে ঘুরে দেখছি মেয়ের জন্য ড্রেস কিনেছেন।বেশ ভালো লাগলো আপনার কেনাকাটার অভিজ্ঞতা পড়ে।ছোট্ট বুড়ির জন্য ভালোবাসা রইলো।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাবি আপনার মন্তব্যের জন্য।
ঈদ বলে কথা কেনাকাটা না করলে হয় ৷ বছরের একটা মাত্র রমজান মাস আর ঈদ তাই সব পেশার মানুষের মনে আনন্দ ৷ তবে কেনাকাটা করা টা সবার হয় না ৷ যেটা সত্য কথা
তবে ভালো লাগলো মেয়ের জন্য অনেক কেনাকাটা করছেন ৷ আর বাবা হিসেবে এটা অনেক আনন্দের ৷ পরিবারের সাথে ঈদ ভালো কাটুক এমনটাই প্রতার্শা ব্যাক্ত করছি ৷
আসলে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে অনেকেই হিমশিম খাচ্ছে প্রতিনিয়ত। তার মধ্যে ঈদের শপিং করাটা অনেকটাই কষ্টসাধ্য হয়ে গিয়েছে তাদের জন্য। যাইহোক ইতিমধ্যেই আমরা নিজেদের জন্য এবং আত্মীয় স্বজনদের জন্য শপিং করে ফেলেছি। মেয়ের জন্য শপিং করতে বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করতে হয়েছে আপনাদেরকে। তবে আপনাদের পছন্দ হওয়া জামাটা একটু বড় সাইজের থাকলে,এতোটা ঘুরাঘুরি করতে হতো না। যাইহোক এতো চমৎকার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া সবকিছুর দাম উর্ধ্বগতি।তারপরেও ঈদ বলে কথা।যার আছে সেও কিনবে। আবার যাদের নেই তারাও কষ্ট করে হলেও কিছু কিনবে।আপনি আপনার মেয়ের জন্য দুটো ড্রেস কিনলেন।আর বাটার স্যান্ডেল ও নিলেন।মামা ও নানীর দেয়া টাকা মিলিয়ে কেনাকাটা বেশ ভালোই হলো।কেনাকাটা করতে করতে প্রায় আছরের সময় হয়ে গিয়েছিল।এরপর বাড়ি ফিরে এলেন।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
এই সময়টাতে মানুষের টাকার অভাব থাকলেও সবাই চেষ্টা করে যে টুকটাক শপিং করে দেওয়ার জন্য তার পরিবারকে। তবে এটা সত্যি কথা যে, বর্তমানে এসবিডি চালু হওয়ার কারণে ইনকাম সবার একটু বেড়েছে। আসলে পরিবার নিয়ে এই উৎসবের দিনগুলোতে শপিং করতেও ভালো লাগে। যাইহোক, শেষ পর্যন্ত আপনারা যে রায় প্লাজায় পৌঁছে কেনাকাটা সম্পূর্ণ করতে পেরেছেন, এটা শুনে বেশ খুশি হলাম। ভালো লাগলো আপনার এই পোস্ট টি পড়ে দাদা।