রাজনৈতিক নেতাদের নোংরামি।
প্রতীকি ছবি
তখন একটু ভালোমতো খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারলাম আসলে দুটো খবরের পেছনে একই ব্যক্তি রয়েছে। মূলত স্বল্প মূল্যে খাবার বিক্রির উদ্যোগটা একই মানুষ নিয়েছেন। কিন্তু এই ভালো উদ্যোগটাকে নিজেদের নামে চালিয়ে দেয়ার জন্য শহরের ক্ষমতাসীন দলের নেতারা সেখানে ঢুকে পড়েছেন। যখন ফেসবুকে এই কার্যক্রমের পোস্ট দেখলাম সেখানে দেখতে পেলাম মূল উদ্যোক্তা তিনি এক কোনায় চুপচাপ দাঁড়িয়ে রয়েছেন। আর রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ছবির ফ্রেমের মাঝখানে হাস্যজ্জল মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। বিষয়টা দেখে খুবই খারাপ লাগলো। কারণ একজন মানুষ যখন ভালো একটা উদ্যোগ গ্রহণ করে তখন মানুষ তার প্রশংসা করে। এই প্রশংসা তাকে আরো ভালো কাজ করতে উৎসাহিত করে। কিন্তু যখন কারো ভালো কাজ অন্য কেউ এইভাবে ছিনতাই করে। তখন সেই মানুষটা আশাহত হয়। তখন সে এই ধরনের কাজকর্ম করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।
আর এই ঘটনা থেকে আমাদের দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের নোংরা মানসিকতার আরো একটা প্রমাণ পেলাম। যেখানে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উচিত ছিলো এই লোকটাকে সহায়তা প্রদান করা অথবা তাদের নিজের উদ্যোগে আলাদাভাবে এই ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা। সেটা না করে তারা অন্যের ভালো একটা উদ্যোগকে নিজের নামে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে। অবশ্য সেই চেষ্টাটাতে তারা খুব একটা সফল হয়েছে সেটা বলা যাবে না। কারণ আমার ধারণা ইতিমধ্যে শহরের সবাই ব্যাপারটা বুঝে গিয়েছে। কারণ এই মহৎ উদ্যোগটা যে লোকটা গ্রহণ করেছিল তিনি পেশায় একজন ডাক্তার। আজকে জানতে পারলাম তিনি অন্য আরেকটা জায়গায় স্বল্পমূল্যে ফল বিক্রি করছেন। আমি একসময় চিন্তা করেছিলাম তার এই মহৎ উদ্যোগ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে শহরের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দও এই ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। তারাও দরিদ্র মানুষের মাঝে বা সাধারণ মানুষের মাঝে স্বল্পমূল্যে পণ্য সামগ্রী বিক্রি করবে।
কিন্তু সেটা না করে তারা মানুষের ভালো উদ্যোগটাকে নিজের নামে চালানোর চেষ্টা করেছে। তারা শুধু মুখেই জনগণের বন্ধু জনগণের সেবক। কিন্তু আসলে তারা ক্ষমতার লোভী অর্থলোভী পিশাচ শ্রেণীর মানুষ। তাদের দ্বারা সাধারণ মানুষের কোনো উপকার হয় না। শুধুমাত্র লোক দেখানো কিছু কাজ ছাড়া তারা ভাল কোন কাজেই সম্পৃক্ত হতে চায় না। তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য থাকে ক্ষমতায় গিয়ে কিভাবে দুর্নীতির মাধ্যমে প্রচুর টাকা ইনকাম করবে। আর এই সমস্ত দুর্নীতিবাজ রাজনৈতিক নেতাদের কারণেই আজকে দেশের এত অধঃপতন।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ঢাকা |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমাদের দেশের রাজনৈতিক নেতাদের কাজ একটাই, ক্ষমতায় গিয়ে শুধুমাত্র টাকা ইনকাম করা। দু'চারটে ভালো কাজ করে মাঝেমধ্যে, তবে সেগুলো অবশ্যই লোক দেখানো। তারা জনগণের জন্য একটুও ভাবে না। সেই ডাক্তার লোকটা এতো চমৎকার একটি উদ্যোগ গ্রহণ করলো,আর সেখানেও তারা ক্রেডিট নিতে চায়। ভাবতেই অবাক লাগে, তারা কতোটা নিচে নেমে গিয়েছে। নূন্যতম লজ্জাবোধ থাকলে এমনটা করতো না। তবে তারা জনগণকে যতোটা বোকা ভাবে, ততোটা বোকা না জনগণ। জনগণ অবশ্যই আসল ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে। যাইহোক সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের এরকম কর্মকাণ্ড দেখে সত্যি ই খুব খারাপ লাগলো বিষয়টা। একজন ডাক্তার যিনি মানুষের ভালোর জন্য দ্রব্যমূল্যের এই আকাশচুম্বী দামের সময় স্বল্প মূল্যে অন্য সামগ্রী বিক্রয় করছেন কিন্তু সেখানে রাজনৈতিক রীতিনীতি ঢুকে গিয়েছে বা তারা তাদের নাম সকলের মুখে মুখে নেওয়া জন্য এরকম টা করছে। এভাবেই দেশের রাজনীতির প্রতি মানুষের ঘৃণার সৃষ্টি হচ্ছে। অবশ্যই তাদের উচিত ছিল ভাইয়া নিজেরাও এরকম স্বল্পমূল্যে দ্রব্য সামগ্রী বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা। অবশ্য ওই ডাক্তার লোকটি ভালই করেছে অন্য জায়গায় অন্য বিক্রি করার আইডিয়াটা ধারণ করে। যাইহোক আপনার মাধ্যমে বর্তমান রমজান মাসের রাজনৈতিক নোংরামির বিষয় নিয়ে নতুন একটি আপডেট জানতে পারলাম।
আসলে ভাই এই রাজনৈতিক নেতারা সব সময় নিজেদের নাম কিভাবে উজ্জ্বল করা যায় সেটা নিয়ে ভাবে। জনগণের কথা ভাবে না। আসলে ফরিদপুরের খবরটি আমিও ফেসবুকে পেয়েছি, সেখানে অল্প দামে মাংস ও ফল বিক্রি করছে। আসলে মূল যে ব্যক্তি ছিল সে যে ডাক্তার ছিলো সেটা আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। তবে রাজনৈতিক নেতাদের উচিত ছিল এই কাজে সাহায্য করা, কিংবা এই কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে তারাও এরকম উদ্যোগ নেওয়া। কিন্তু তা না করে সে আরো নিজের নামে চালিয়ে দিচ্ছে। আসলে এরকম নোংরামি আর আমাদের দেশ কবে কমবে সেই দিনের অপেক্ষায় চেয়ে আছি। যানি না সেই দিন আসবে কি না।
কথা ঠিক বলেছেন ভাই তারা শুধু মঞ্চে উঠলে বক্তব্য দেওয়ার সময় জনগণের বন্ধু। বাকি সময় ঐ স্বার্থলোভী ক্ষমতালোভী তারা। এমনটা শুধু আপনার এলাকায় না ভাই আমাদের এলাকায়ও হয়। যে উদ্যোগ নিয়েছে তাকে সাইডে রেখে সব ক্রেডিট নেয় এইরকম কিছু নেতা। এতে করে ঐ লোকের ভালো কিছু করার ইচ্ছা ক্রমেই হ্রাস পেতে থাকে। আর এসব নেতারা নিজেদের স্বার্থ হাছিল করে নেয়।
আসলে আমাদের সমাজে অনেক ভালো মানুষ রয়েছে। যাদের উদ্যোগগুলো খুবই সুন্দর এবং এই উদ্যোগগুলো নিয়ে যদি আমরা সমাজেরও প্রতিষ্ঠিত করি তাহলে খুবই ভালো হয়। কিন্তু সমাজে ভালো উদ্যোগের পেছনে কিছু রাজনৈতিক নেতা রয়েছে। যাদের নোংরামির কারণে এই উদ্যোগগুলো সফল হয় না মডাক্তার সাহেব খুবই ভালো একটা উদ্যোগ নিয়েছে। এই নিউজটা আমি অনলাইনে জানতে পেরেছি। তবে আজকে আপনার মাধ্যমে ভালোভাবে জানতে পারলাম মআর এই রাজনৈতিক নেতারা নিজের নাম ফোটানোর জন্যই তারা উদ্যোগকে সাধুবাদ না জানিয়ে নিজের নাম প্রচারে ব্যস্ত।
অন্যের জিনিস ছিনিয়ে নিয়ে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়া, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের একটা বৈশিষ্ট্য দাদা। তারই আর একটা প্রমাণ পেলাম আপনার এই পোস্টের মাধ্যমে। তবে মানুষ এখন আর এতটা বোকা নেই দাদা, এই জন্য হয়তো সাধারণ জনগণ ব্যাপারটা টের পেয়ে গেছে। তবে যে ডাক্তার এই রোজার মাসে স্বল্পমূল্যে খাবার বিক্রির এই উদ্যোগটা নিয়েছে, সেটা নিঃসন্দেহে অনেক ভালো কাজ।