রোজা শেষে গরমের ভেতর ব্লু লেগুন মোহিতো খাওয়ার অভিজ্ঞতা।
কারণ প্রথম কয়েকটা রোজায় আমি তেমন একটা ঠান্ডা কিছু খেতে পারিনি। কারণ গত বেশ কিছুদিন ধরে আমার ঠান্ডা জনিত সমস্যা ছিলো। সেই সাথে পরবর্তীতে হয়েছিল হালকা গলায় ব্যথা। সেই কারণে ভয়ে ভয়ে ঠান্ডাটা এড়িয়ে চলছিলাম। তবে গরমের দিনে রোজার ভেতরে ঠান্ডা না খেয়ে আর থাকতে পারছিলাম না। সেই জন্য বাসা থেকে বের হয়ে প্রথমে চিন্তা ভাবনা করে চলে গেলাম আগের দিন যেখান থেকে কয়েক রকমের জুস খেয়েছিলাম সেই দোকানটাতে। সেখানে গিয়ে প্রথমে চিন্তা করতে লাগলাম কি খাওয়া যায়? পরবর্তীতে ব্লু লেগুন মোহিতো অর্ডার করলাম। এই ড্রিংকসটা আমার খুবই পছন্দের। তবে এই ড্রিংকসের একটা ব্যাপার হচ্ছে যদি এটাতে সবকিছুর পরিমাণ একেবারে পারফেক্ট না হয় তাহলে খেতে ভালো লাগবে না।
সেদিন ব্লু লেগুন অর্ডার করার পরে আমার মনে পড়ে গেল বছরখানেক আগেকার কথা। তখন বনশ্রীর ভেতরের একটা দোকান থেকে আমি পরপর কয়েকদিন ব্লু লেগুন মোহিতো খেয়েছিলাম। সেই দোকানের ব্লু লেগুন আমার কাছে দারুণ লেগেছিলো। যাইহোক আমি অর্ডার করে বসে বসে অপেক্ষা করতে লাগলাম। এই জুসের দোকানটার বেচাকেনা দেখলাম বেশ ভালো। সব সময় কাস্টমারের ভিড় লেগেই থাকে। এই দোকান থেকে একদিন আগেও আমি আমার স্ত্রী ভাগ্নে আর মেয়েকে নিয়ে জুস খেয়ে গিয়েছিলাম। সেটা আপনাদের সাথে এর আগে একটা পোস্টে শেয়ার করেছি। যাই হোক আমি বসে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর তারা আমার ব্লু লেগুন মোহিতো দিয়ে দিলো। ঠান্ডা ড্রিঙ্কসটা হাতে নিয়ে চুমুক দিতেই মনটা ভালো হয়ে গেলো।
যদিও আমি যতটা ভালো আশা করেছিলাম ঠিক ততটা ভালো হয়েছিলো না। মনে হচ্ছিলো কোন একটা কিছুর পরিমাণে সামান্য কমবেশি হয়েছে। আমার কাছে মনে হচ্ছিলো সোডার পরিমাণটা একটু বেশি হয়েছে। যাই হোক আমি ধীরেসুস্থে বসে সেখানে আমার মোহিতোটা শেষ করলাম। যদিও শেষ করতে আমার একটু কষ্ট হচ্ছিলো। কারণ আমি নিয়েছিলাম লার্জ গ্লাস। সেই সাথে ওরা গ্লাসের ভিতর যে স্ট্রটা দিয়েছিল সেটাও ছিল বেশ মোটা। যার ফলে প্রতি চুমুকে অনেকটা করে মোহিতো মুখের ভেতরে চলে যাচ্ছিলো। আসলে এতো মোটা স্ট্র দিয়ে খাওয়ার আমার এর আগে কোন অভিজ্ঞতা ছিলো না। যাই হোক ওটা শেষ হলে আমি বিল দিয়ে সেখান থেকে চলে গেলাম আমার কাজের উদ্দেশ্যে।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | বনশ্রী |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এই গরমে ইফতারের সময় ঠান্ডা কিছু না খেতে পারলে আসলেই ভালো লাগে না। তবে ঠান্ডাজনিত সমস্যা থাকলে কিছুই করার থাকে না। কারণ সর্বপ্রথম শরীরের গুরুত্ব দিতে হবে। যাইহোক রাতের বেলায় বের হয়ে বেশ মজা করে ব্লু লেগুন মোহিতো খেয়েছেন। যদিও আপনার কাছে মনে হয়েছিল সোডার পরিমাণটা একটু বেশি। আসলে সবসময় সবকিছু পারফেক্ট ভাবে তৈরি করা যায় না। একটু এদিক সেদিক হতেই পারে। যাইহোক ব্লু লেগুন মোহিতো খেয়ে মোটামুটি ভালোই তৃপ্তি পেয়েছেন তাহলে। এতো চমৎকার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
অনেকেরই ঠান্ডা সর্দির কারনে ঠান্ডা জাতীয় কিছু খেতে পারছে না,এমনকি আমি ও না আমি আগে বরফ খেতাম সেই আমি এই অব্দি ঠান্ডা পানি ছুতে পারিনি।গলা ব্যথায় অস্থির অবস্থা। যাই হোক রোজা রেখে ড্রিংক টা দেখেই পানির তৃষ্ণা বেড়ে গেলো।কিছু কিছু জুস বারে বেশ মজাদার ড্রিংক অথবা জুস ভালোই বানায় তাই ভীড় ও থাকে বেশি।যাই হোক ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
আমার একটা বিষয় কী জানেন শীত হোক বা গরম আমার ঠান্ডা লাগুক বা অন্য কিছু আমি কখনোই এই ঠান্ডা খাওয়া বাদ দেয় না। সবসময় একইভাবে খাই ইচ্ছা হলেই। মোহিত টা তাহলে আপনার খুব একটা ভালো লাগেনি। সবসময় তো ব্যাপার গুলো আমাদের আশানূরূপ হয়না এটাই সমস্যা ভাই।
মোহিতো নামটা কেমন নতুন লাগলো আমার কাছে।তারপর আপনার বর্ণনা পড়ে ও দেখে বুঝতে পারলাম ঠান্ডা পানীয়।এখন আবহাওয়া ঠিক নেই তাই ঠান্ডা খাওয়া কিছুটা ঝুঁকির।আবার ঠান্ডা খেয়েই যেন শান্তি এমনটা মনে হয়।যাইহোক আপনি গরমের ভিতরে দারুণ সময় পার করছেন মোহিতো খাওয়ার মাধ্যমে আশা করি, ধন্যবাদ ভাইয়া।