বাইরে ঘোরাঘুরি এবং জুস খাওয়ার অভিজ্ঞতা।
যাই হোক তারাবির নামাজ শেষ করে আমি বাসায় জায়নামাজ টুপি এগুলো রেখে বাইরে বের হলাম। পকেটে করে নিয়ে গিয়েছিলাম আমার নতুন মোবাইলের চার্জারটা। কারন আমার নতুন ফোনটা চার্জ দিতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছিলো। চার্জারের মাথায় একটা থ্রি পিন পয়েন্ট প্রয়োজন ছিলো। চিন্তা করেছিলাম প্রয়োজনীয় জিনিসটা কেনা হবে সেই সাথে কিছুক্ষণ হাটাহাটিও করা যাবে। তবে আমি বাইরে গিয়ে আমার কাঙ্খিত জিনিসটা খুঁজে পেলাম না। তবে হাঁটাহাঁটি করতে গিয়ে হঠাৎ করে মনে পড়ল এখনো রাত খুব একটা বেশি হয়নি। বনশ্রীর ভেতরে দোকানপাট গুলো সব খোলা দেখতে পেলাম। তখন আমি ফোন করে আমার স্ত্রীকে বললাম আমি যেখানে আছি সেখানে চলে আসতে। আমার স্ত্রী বলল সে তো জায়গাটা চেনেনা। তখন আমি বললাম আমার ভাগ্নেকে সাথে করে নিয়ে আসতে কারন জায়গাটা ও খুব ভালোভাবে চেনে।
আমি ওদের জন্য দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলাম। কিছুক্ষণের ভেতর একটি রিক্সায় করে আমার স্ত্রীর সাথে আমার ভাগ্নে আর আমার মেয়ে সেখানে এসে উপস্থিত হোলো। তারপর আমরা কয়েকটা দোকানে ঘুরেফিরে আমার মেয়ের জন্য একটা জামা আর একটা টপস কিনলাম। কেনার পরে আমার মেয়ে বলছিলো কিছু একটা খাবে। এর ভেতরে আমি আমার স্ত্রীকে বলেছিলাম বনশ্রীর ভেতরে বেশ কয়েকটি জুসের দোকান রয়েছে। সেখানে নানা রকম ফল দিয়ে তারা জুস তৈরি করে। তাকে সেখান থেকে জুস খাওয়াতে চেয়েছিলাম। আমার স্ত্রী তখন আমাকে সেই কথা মনে করিয়ে দিলো।
তখন আমি তাদেরকে নিয়ে প্রথমে চলে গেলাম সেই জুসের দোকানে। সেখানে গিয়ে আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম কোন জুস খাবে? সে বলল আনকমন কোন একটা কিছুর জুস খাই। তখন আমি ঠিক করলাম তাহলে জলপাইয়ের জুস খাওয়া যায়। কিন্তু আমি অর্ডার করতে গিয়ে ভুলে জামের জুস অর্ডার করেছিলাম। আমার ভাগ্নে বলেছিল সে জুস খাবে না। তাই তার জন্য অর্ডার করেছিলাম চকলেট কোল্ড কফি। প্রথমে আমি আমার ভুলটা বুঝতে পারিনি। পরবর্তীতে যখন তারা জুসটা পরিবেশন করলো তখন আমার স্ত্রী বলল তুমি না জলপাইয়ের জুস অর্ডার করেছিলে? তখন আমি বললাম আমার সম্ভবত অর্ডার করার সময় ভুল হয়ে গিয়েছে। যাই হোক আমি আমার স্ত্রীকে বললাম সমস্যা নেই তুমি জামের জুসটা শেষ করো আমি তোমার জন্য একটা জলপাইয়ের জুস অর্ডার করছি।
আমার কাছে এমনিতেই এই ধরনের জুস খেতে বেশ ভালো লাগে। তাছাড়া তাদের জামের জুসটা বেশ মজার ছিলো। জুস টা খেয়ে দুজনেই মজা পেলাম। জামের জুস খাওয়া শেষ হলে আমি আমার স্ত্রীর জন্য একটা জলপাইয়ের জুস অর্ডার করলাম। কিন্তু জলপাই জুসটা পরিবেশন করলে আমার স্ত্রীর কাছে সেটা একেবারেই ভালো লাগলো না। তখন আমি আমার স্ত্রীকে বললাম এখানে আরও বিভিন্ন রকম ফলের জুস পাওয়া যায়। তুমি চাইলে ট্রাই করে দেখতে পারো। সে জানালো তার এমনিতেই কাশির সমস্যা রয়েছে। তার ভেতরে সে ইতিমধ্যে প্রায় দেড় ক্লাস জুস খেয়েছে। আরো যদি জুস সে খায় তাহলে তার গলার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। যেহেতু সে আর জুস খেতে চাইলো না তাই আমরা বিল মিটিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে পড়লাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
| ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90 |
|---|---|
| ফটোগ্রাফার | @rupok |
| স্থান | বনশ্রী, ঢাকা |
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া তো দেখছি আমার বাসার বেশ কাছেই আছেন। আগে জানলে তো আমিও আপনাদের সাথে যোগ দিতাম। অবশ্য এখন আর আগের বনশ্রী নেই। এখন বনশ্রী বেশ উন্নত হয়ে গেছে। বনশ্রীতে এখন ঢুকলে নানা রকরেম খাবারের দোকান চোখে পড়ে। যাই হোক দুই কাজ এক সাথে ভালো করে হয়ে গেছে। ধন্যবাদ সুন্দর মূহূর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
রমজান মাসে আসলে বাইরে বের হতে তেমন ইচ্ছে করে না। আর ভাবীকে নিয়ে জুস খেতে গিয়েছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। মেয়ের জন্য জামাও কেনা হলো সাথে ঘুরাঘুরি আর খাওয়াও হলো।তবে আমি কখনো জলপাই বা জাম কোনোটার জুসই খাইনি।আজই প্রথম দেখলাম।
রহমতের মাসে নিজ বাড়ির বাইরে থাকতে তেমন ভালো লাগে না।তবুও কাজেকর্মে বাইরে থাকতে হয়।যাই হোক তারাবির নামাজ শেষে চার্জার নিয়ে বের হলেন কাজ করার জন্য। পাশাপাশি জুস খাওয়ার জন্য আবার ভাবিকে ডাক দিলেন। এতে করে হালকা ঘুরাঘুরি হলো এবং পরিবারের সবার সাথে খাওয়াও হল। আবার মেয়ের জন্য ড্রেসও কিনেছেন। এতে মেয়েটা অনেক বেশি খুশি হয়েছে।জামের জুসটা দেখতে দারুণ লাগছে কিন্তু। যাইহোক মুহূর্তগুলো পড়তে পেরে ভালো লাগলো ভাই।
রোজার সময়ে বের হওয়ার জন্য সময়ই পাওয়া যায় না। ভেবেচিন্তে বের করতে হয়। আপনি তো বের হয়েছিলেন দেখছি তারাবী নামাজ শেষ করে। তারপর মেয়ের জন্য কেনাকাটা করলেন। সরাসরি এইরকম ফলের জুস খুব একটা পাওয়া যায় না। জলপাই জাম এগুলোর জুস পাওয়া যায় ভাবতেই কেমন লাগছে। যদিও বললেন জলপাইয়ের জুস নাকী আপনার স্ত্রীর ভালো লাগেনি। যাইহোক সেটা কোন ব্যাপার না। সবাই মিলে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন।
রমজান মাসে নিজের বাসা ছাড়া কোথাও থাকতে ভালো লাগে না। গত পরশুদিন শ্বশুর বাড়িতে ইফতার করে একটু পরেই বাসায় চলে এসেছিলাম। যাইহোক প্রয়োজন হলে অনেক সময় কিছুই করার থাকে না। ২/১ দিনের মধ্যে ফরিদপুর ফিরে যেতে পারবেন, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই। বিভিন্ন ধরনের ফলের জুস খেতে আসলেই খুব ভালো লাগে। জামের জুসটা দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে দারুণ লেগেছিল। তবে সর্দি ঠান্ডার সমস্যা থাকলে, এমন ঠান্ডা জুস কম খাওয়া ই ভালো। বাহিরে ঘুরাঘুরি করে এবং জুস খেয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন আপনারা। যাইহোক পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শহরে রাতেই মার্কেট করলে ভালো হয় ।সেই সময় খুব একটা ভিড় থাকেনা।আপনি মেয়ের জন্য কেনাকাটা করলেন জামা আর টপস।জলপাই এর জুস অর্ডার করতে গিয়ে জামের জুস অর্ডার করেছিলেন আপনি।শেষে জলপাই এর জুস অর্ডার করেছিলেন আপুর জন্য কিন্তু তার ভালো লাগেনি।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
রমজান মাসে নিজের বাড়িতেই খুব বেশি ভালো লাগে আসলে।তারপরেও কাজের প্রয়োজনে বাইরে থাকতেই হয়।কিছু করার নেই।বাইরে গিয়ে মেয়ের জন্য ড্রেস নিলেন।এরপর আপু,মেয়ে ও ভাগ্নেকে নিয়ে জুস খেতে গেলেন।জলপাইয়ের জুস অর্ডার করতে গিয়ে জামের জুস অর্ডার করলেন।পরে যদিও জলপাইয়ের জুস অর্ডার করেছিলেন।কিন্তু খেতে মজা ছিল জামের জুুসটাই।সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
দাদা, রমজান মাসে আসলে রোজা রাখার পর সন্ধ্যার দিকে শরীর হঠাৎ ছেড়ে দেয়, মনে হয় তখন একটু ঘুমিয়ে নেই। যদিও আমার নিজের এই ব্যাপারে অভিজ্ঞতা নেই, তবে আমার বন্ধুদের কাছে শুনেছি আর কি। দাদা, আপনার পোস্ট পড়ার সময়ই আমার মনে হচ্ছিলো জলপাইয়ের জুস ভালো হবে না । তবে আপনি ভুল করে হলেও জামের জুস অর্ডার করে, ওটাই ঠিক করেছিলেন। যাইহোক, পরিবারের সাথে একটু সুন্দর সময় কাটিয়েছেন, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো দাদা।