বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের রিভিউ।
তারপরে শুরু হয় তাদের লড়াই ব্র্যান্ডন ব্রায়ান এবং জোনাথন ক্যাম্বেল দারুন দুটি কার্যকরী ইনিংস খেলে। এই দুজন মাত্র সাত ওভারে ৭৩ রানের জুটি গড়ে তোলেন। জোনাথন ক্যাম্বেল মাত্র ২৪ বলে ৪৫ রান করে আউট হয়ে যান। জিম্বাবুয়ের রান তখন ১৭ ওভারে ১১৫। শেষ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রান সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়। ব্রায়ান বেনেট শেষ পর্যন্ত ২৯ বলে ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
স্ক্রিনশট নেয়া হয়েছে Rabbitholebd Sports চ্যানেল থেকে।
১৩৮ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের দুই ওপেনার দেখে শুনে খেলা শুরু করেন। যেহেতু রান রেট খুব একটা বেশি ছিলো না তাই তারা সময় নিয়ে খেলছিলেন। দলীয় ছয় ওভারের সময় ৪১ রানে তানজিদ তামিম আউট হয়ে যান। আউট হওয়ার আগে তিনি ১৯ বলে ১৮ রান করেন। তানজিদ আউট হয়ে গেলে ব্যাটিংয়ে নামেন ক্যাপ্টেন শান্ত। তিনি লিটন দাসের সাথে ২০ রানের একটি ছোট্ট পার্টনারশিপ উপহার দেন। তারপরেই বাংলাদেশ দল পরাপর দুটো উইকেট হারিয়ে বসে। মাত্র একরানের ব্যবধানে শান্ত এবং লিটন দাস দুজনেই আউট হয়ে যান। তখন বাংলাদেশের দলীয় রান ৬২। ক্রিজে তখন ব্যাটিং করতে আসেন জাকির হোসেন এবং তৌহিদ হৃদয়। হৃদয় এদিনও তার দুর্দান্ত ফর্ম ধরে রাখেন। এই দুজনে মিলে ৩১ রানের একটি পার্টনারশিপ উপহার দেন। দলীয় ৯৩ রানে জাকের আলী আউট হয়ে গেলে ক্রিজে আসেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
তিনি এসে তার স্বভাবসুলভ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন। মাত্র ১৬ বলে ২৬ রান করে রিয়াদ বাংলাদেশের ম্যাচ জয়ে দারুন ভূমিকা রাখেন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন তৌহিদ হৃদয়। তিনিও ২৫ বলে ৩৬ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ১৮.৪ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ম্যাচটি জিতে যায়। এই ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে গেলো। পরাপর দুটি উইকেট পড়ে যাওয়াই বাংলাদেশ দল চাপের ভেতরে পড়েছিলো। সেখান থেকে তৌহিদ হৃদয় দারুণ একটি ইনিংস খেলে বাংলাদেশ দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। তার এই চমৎকার ইনিংসের জন্য তিনি ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে গত কালকে বাংলাদেশ এবং জিম্বাবুয়ের খেলাটি বেশ ভালোভাবে উপভোগ করেছিলাম। গতকাল বাংলাদেশের বোলিংরা বেশ ভালোভাবেই জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং দের প্রথম থেকে চেপে ধরেছিল। বাংলাদেশের বোলিংদের মধ্যে আমার কাছে সব থেকে সাইফুদ্দিনের বোলিং বেশি ভালো লেগেছে। অবশেষে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে এসে ১৮ ওভারেই ম্যাচ জিতে যায়। জিম্বাবুয়ের সাথে বাংলাদেশের ৫ ম্যাচের সিরিজ রয়েছে সেখানে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
খেলাটি আমিও উপভোগ করেছি। সবচাইতে বেশি উপভোগ করেছি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ব্যাটিং। বাংলাদেশ খুবই ভালো খেলেছে এমন যদি সব দলের সাথে খেলতো। ধন্যবাদ আপনাকে খেলাটি আমাদের মাঝে রিভিউ করে তোলার ধরার জন্য।
তাওহীদ হৃদয় এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটিং বরাবরই বেশ উপভোগ করে থাকি। তাদের ব্যাটিং স্টাইল দারুণ। টানা দুই ম্যাচে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে, এটা দেখে আসলেই ভীষণ ভালো লেগেছে। আশা করি বাংলাদেশ দল চলতি সিরিজ জয়লাভ করতে সক্ষম হবে। এই পারফরম্যান্স টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ধরে রাখতে পারলে ভালো কিছু হবে ইনশাআল্লাহ। যাইহোক এই ম্যাচের রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ে খেলাটি আমি উপভোগ করছি।তবে দুইটি ম্যাচ হলো আমি কোন রকমেই জিম্বাবুয়ের পার্ফরমেন্স দেখতেছি না।যাইহোক তারা খেলতে খেলতে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রান টার্গেট দেন।তবে বাংলাদেশের তৌহিদ রিদয় এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের খেলা আমার কাছে সব সময় ভালো লাগে। কালকে তৌহিদ রিদয় সুন্দর ইনিংস টা না করলে তারা চাপে পড়তো।যাইহোক আপনার পোস্টে রিভিউ টি পড়ে খুবই ভালো লাগলো ভাই। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
যাই বলেন ভাই। এই বয়সেও বাংলাদেশে টি টুয়েন্টিতে রিয়াদের বিকল্প নেই। এখনও কী অসাধারণ খেলে। বাংলাদেশের মাঠে টি টুয়েন্টি মানে একটা ফাজলামি। একেবারে অল্প রান হয় বিরক্ত লাগে আমার। আর এইসব পিচে খেলার জন্য বাংলাদেশ টি টুয়েন্টি এর মুভমেন্ট টাই আর বোঝে না।