দীর্ঘদিন পর বন্ধু ফেরদৌসের সাথে ঘোরাফেরার অভিজ্ঞতা (প্রথম পর্ব)।
তাছাড়া আমি আগের দিন যখন শহরে বের হয়েছিলাম তখন কোথাও কোনো ঝামেলা দেখিনি। যাইহোক দুজন মিলে পরিকল্পনা করলাম পরদিন আসরের পরে দুজন ঘুরতে বের হবো। যথারীতি নির্ধারিত সময়ে আমি ফেরদৌসের সাথে গিয়ে দেখা করলাম। তারপর দুজনে মিলে রওনা দিলাম অন্য আরেক বন্ধুর সাথে দেখা করার উদ্দেশ্যে। তবে সেখানে যাওয়ার পথে ঘটল এক বিপত্তি। সেই গল্প পরে একদিন করবো। আমরা সেই ঝামেলা মিটিয়ে পরবর্তীতে মোহাম্মদপুর নামক একটি জায়গার দিকে যেতে লাগলাম। বর্ষা মৌসুমে সেখানকার বিশাল ফসলের মাঠ পানির নিচে চলে গিয়ে বিলের মতো পরিচিতি তৈরি হয়। বিস্তীর্ণ অঞ্চল পানির নিচে থাকার কারণে সেখানে অনেকে নৌকা নিয়ে ঘুরতে বের হয়।
আমরা দুই বন্ধু একাধিকবার সেখানে নৌকায় ঘোরাফেরা করেছি। জায়গাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের কাছে খুবই ভালো লাগে। সেই কারণে আমরা বছরের এই সময়টাতে প্রতিবারই সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করি। তাছাড়া দুই বন্ধু দীর্ঘদিন পর একসাথে ঘুরতে বের হয়ে বেশ ভালো লাগছিলো। নানা বিষয় নিয়ে দুজন গল্প করছিলাম। একবার মনে করলাম নৌকায় করে কিছুক্ষণ ঘুরতে পারলে ভালো হোতো। পরবর্তীতে সেই পরিকল্পনা বাদ দিলাম। এর ভেতরে সেখানে অবস্থানকালীন বেশ কিছু ছবি তুললাম। আমরা দুজন সেখানে দাঁড়িয়ে পুরনো স্মৃতিচারণ করতে লাগলাম। একটা সময় সেখানে একটি ভাসমান রেস্টুরেন্ট ছিলো। সেই রেস্টুরেন্টে দুই বন্ধু মিলে ঘুরে বেড়িয়েছিলাম। সেই অভিজ্ঞতাটা ছিলো দারুণ।
আমরা সেখানে গিয়ে সেই ভাসমান নৌকাটা খোঁজার চেষ্টা করছিলাম। কারণ আমরা এর আগের বছরও এসে দেখেছি ভাসমান নৌকাটা বিলের একটা পাড়ে একটি বাড়ির সামনে রাখা ছিলো। কিন্তু এবার গিয়ে সেই ভাসমান রেস্টুরেন্টটি আর দেখতে পাইনি। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে আমরা ঠিক বললাম আমরা ফরিদপুর সুইসগেটে গিয়ে বসবো। কারণ আসার সময় সেখানে দেখেছি প্রচুর লোকসমাগম হয়েছে। মানুষের সময় কাটানোর জন্য সেখানে বেশ চমৎকার একটি জায়গা রয়েছে। তাই আমরা দুই বন্ধু মিলে ঠিক করলাম সেখানে গিয়ে আমরা কিছুক্ষণ সময় কাটাবো। সেই পরিকল্পনা মোতাবেক আমরা সেদিকে রওনা দিলাম। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অনেক দিন পর দেশে ফিরে শহরে ঘুরতে না পারলে আসলে ভালো লাগে না।আর যেহেতু ফেরদৌস ভাইয়া ফরিদপুরে এসেছে তখন তো বাইরে বের হওয়া খুব সহজ।আর যেহেতু আপনাদের শহরে কোন ঝামেলা নেই বের তো হতেই পারেন।এরপর এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে গিয়ে বিপত্তি ঘটলো। তা না হয় পরেই কোন পোস্টে জানতে পারবো।এরপর আপনারা খুব সুন্দর একটি জায়গায় গেলেন।সেখানে গিয়ে নৌকায় চড়ার ইচ্ছে হলেও সেই ইচ্ছে বাদ দিয়ে দুজন পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করলেন।আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে জায়গাটা যে খুব সুন্দর তা বেশ বুঝতে পারলাম।এরপর দুজন মিলে সুইসগেটের দিকে রওনা দিলেন।মানুষ সময় কাটাতে এই জায়গাতে যায়।তাই ওখানে লোক সমাগম খুব বেশী হয়।পরবর্তী পর্বে আশাকরি দেখতে পাবো।দীর্ঘ দিন পর দুবন্ধুর ঘোরাফেরার অভিজ্ঞতা পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
দীর্ঘদিন পর ফেরদৌস ভাইয়ের সাথে ঘুরতে বের হয়েছেন,এটা জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই। আসলে বর্ষাকালের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যে কাউকে মুগ্ধ করে থাকে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম ভাই। জায়গাটা আসলেই খুব সুন্দর। নৌকা দিয়ে এমন জায়গায় ঘুরতে খুবই ভালো লাগে। আপনারা সেখানে নৌকা দিয়ে ঘুরলে আরও বেশি আনন্দ পেতেন। যাইহোক পরবর্তীতে ফরিদপুর সুইচগেটে গিয়ে কেমন সময় কাটালেন, সেটা জানার অপেক্ষায় রইলাম। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।